এই পোষ্ট শুধুমাত্র যারা জানেনা ডঃ মুহাম্মাদ ইউনুস কি করেছেন বাংলাদেশের জন্য তাদের জন্য
পল্লী ফোনঃ
১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া পল্লী ফোন বা ভিলেজ ফোন কর্মসূচী দেশের গ্রামাঞ্চলের ২ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে, যাদের অধিকাংশই নারী, জীবিকা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে। পল্লী ফোন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাও এখন সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রিয়জনদের কাছে থাকতে পারছে। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ কার্যক্রমের মাধ্যমে একদিকে যেমন গ্রামবাসীরা সহজেই ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি পল্লী ফোন অপারেটররা নিজেদের জীবিকা অর্জন করতে পারছে।
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রান্সের কানে গ্লোবাল জিএসএম কনগ্রেস অনুষ্ঠানে ভিলেজ ফোনের এ কার্যক্রমকে ‘‘জিএসএম ইন দ্য কমিউনিটি’’ পদকে ভূষিত করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস এ উদ্যোগের জন্য ২০০২ সালে গ্রামীণফোন-কে ‘‘বেস্ট জয়েন্ট ভেনচার এন্টারপ্রাইজ অফ দ্য ইয়ার’ পদক প্রদান করে।
এই ছিল গ্রামীণ ফোনের এড
এখন আমি বলি, এই পল্লী ফোন ছিল বিধায় আজ ঘরে ঘরে আপনি আমি মোবাইল ব্যবহার করছি আর বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তরে কথা বলছি, টেলিভিশনে এড দিচ্ছে যে কোন জায়গায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে যখন প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেল পা রাখে তা ছিল শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক, জানেন হয় তো ?? ঢাকার বাইরে গেলে গাছের আগাতে উঠলেও নেটওয়ার্ক পাওয়া যাইতনা, কেন?? সে সময় আরও একটা অপারেটর কিন্তু ছিল “সেবা”। তারা কিন্তু বাংলাদেশ কে টাইম দেয়নি, তাই তারা শুধু ঢাকা কাভার করেছে, আর গ্রামীণ ফোনকে ডঃ ইউনুস নিয়ে আসেন তিনি কাভার করেছেন পুরো বাংলাদেশ।আজও প্রতিটি মোবাইল অপারেটর কে জিপির নেটওয়ার্কের কাছেই ধরনা দিতে হয়। তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন পল্লী উন্নয়নে। গ্রামীণ ফোনের সিস্টেম তো জানেন এটি মহিলাদের কে ঋণ দেয়।
পল্লী ফোন নেয়ার সিস্টেম ছিল কোন মহিলা সদস্য হবেন, তারপর যদি মোবাইল ফোনে ব্যবসা করতে চায় তবে আবেদন করতে হবে, সিরিয়াল অনুযায়ী তাকে তা দেয়া হবে। মোবাইল নিয়ে সে তার স্বামী অথবা সন্তান কে এই ফোন দিয়ে ব্যাবসা করতে পারবে। ঢাকা বাসি যখন কল করত ৬.৯০ পয়সায় তখন ঢাকার বাইরের অধিবাসিরা কল করত ৩.৪৫ পয়সায়। অবাক হচ্ছেন?? এই সুবিধার কারনে ঢাকার বাইরের লোক মোবাইলে অভ্যস্ত হয়ে পরে, বাকিটা আপনার অনুমান করে নিতে পারবেন।
শিক্ষা ঋণঃ
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা খাতে ঋণ দিত যা কোন ব্যাংক দেয় না। আরও সুবিধা আছে, শিক্ষা চলা কালিন এই ঋণের কোন সুদ চার্জ হয় না। বাংলাদেশের কোন ব্যাংক আছে কি??
ক্ষুদ্র ঋণঃ
আপনার সমব্যয় সমিতি টাইপ কিছু শুনেছেন কি?? অনেকটা এই রকম। ধরুন একজন রিক্সা ওয়ালা ঋণ চাইছে রিক্সা কিনবে। কোন ব্যাংক কি দেবে?? না। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক দেবে? কি ভাবে, যে রিক্সা কিনবে লোন তার ওয়াইফ নিবে। রিক্সাওয়ালা রিক্সা কিনবে, এবং সাপ্তাহিক বা দৈনিক একটা পরিমান কিস্তি বাবদ দেবে, এইভাবে রিক্সা ওয়ালার নিজের একটি রিক্সা হবে আর ব্যাংক তার ঋণ ফেরত পাবে।
এখন অনেকের প্রশ্ন আসবে, মহাজনি টাইপ কিছু যে করছে, অনেকে মারা যাচ্ছে। তাকে প্রথমে আমি বলে রাখি, সব ব্যাংকই তাদের অর্থ আদায়ে কঠোর। এই জন্যই আপনারা আমরা ব্যাংকে রাখা অর্থ কে সেফ বলি। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যেমনঃ ব্র্যাক ব্যাংক এসসিবি থেকে যদি লোন নিয়ে থাকেন, দেখবেন এক কিস্তি মিস করবেন, গালাগালি শুরু হয়ে যাবে। :O আরও বাজে অবস্থা হয় বললাম না

এই গ্রামীণ ব্যাংক বিরুদ্ধে আপনারা যে এতো লাফাচ্ছেন, কিসের জন্য??
ক্ষুদ্র ঋণ এর এই তত্ত এখন বিশ্ব সমাদৃত। আমাদের বর্তমান প্রত্যকটি ব্যাংক এই তত্তের উপর ঋণ দিচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংক বলুন আর ট্রাস্ট ব্যাংক বলুন, বা যে কোন ব্যাংক বলুন না কেন??
এমনকি কিছুদিন আগে তো চীন এই ধরনের ঋণ প্রথা চালু করেছে।
ছি ছি ছি। চীন চালু করেছে
আমাদের টিচার সেদিন ক্লাস নিতে নিতে বললেন তোমরা তো এই মানুষটাকে পায়ে ঠেলে দিলে, কিন্তু কিছুদিন পর তোমরাই এর বই পড়বা, মাইক্রো ক্রেডিট নামে নতুন সাবজেক্ট আসবে তখন তোমরা হয়তো বুঝবা। আফসোস।
আমরা লাফাই হুজুগে, কিছু জানিনা কিছু বুঝিনা, লাফাও বাঙালী লাফাও
নিজের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পর্ষদ থেকে তাকে হটানোর কি অধিকার আছে সরকারের? তার চাইতে অনেক বয়স্ক লোক অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে?