অনেকটা যেন স্বস্তি মিলল আজ। ক্ষতস্থানে অন্য রকম প্রলেপ লাগল যেন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক কাঠামো রাত পোহালেই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উদ্যাপনে মাতবে। তার আগে আন্তর্জাতিক আঙিনার দুই বৃহৎ শক্তি স্বীকার করে নিল, সন্ত্রাসবাদের নখ বার বার ক্ষতবিক্ষত করছে ভারতকে। আর সেই সন্ত্রাসের আঁতুড় ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তানই।
নতুন কথা নয়। ভারত যে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে বার বার, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। আবার দেখেও দেখেনি কেউ কেউ। বুড়িছোঁয়া সমবেদনা প্রকাশ আর নিয়মরক্ষার নিন্দাবাক্য শুনিয়েই দায় সেরেছে পশ্চিম। এ বার কিন্তু তাদের সুরটা চড়া বেশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পঠানকোট হামলার কড়া নিন্দা আগেই করেছেন। আজ আবার করলেন। পাক জঙ্গিদের ছত্রখান করার আশু প্রয়োজনের কথাও বললেন বলিষ্ঠ উচ্চারণে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁর স্বরেও ওবামার কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পেলাম যেন। ভারতের রাজধানীতে বসে ওলাঁর বার্তা, সন্ত্রাস রুখতে নয়াদিল্লির হাত ধরে লড়বে প্যারিস।
পশ্চিমের এই বার্তা না পেলে সব বিফলে যাচ্ছিল না নিশ্চয়ই। ক্ষতে প্রলেপ পড়ছিল না, তাও বলছি না। দেড় দশক ধরে সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পথ হাঁটছে ভারত। পাক ভূখণ্ড থেকে ভারতের দিকে ঠিকরে আসা ছায়াযুদ্ধ পশ্চিমের জানলায় ছায়াপাত ঘটায়নি বলে থেমে থাকেনি ভারতের পথ হাঁটা। তবু তো বার্তা এল। অবশেষে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০