somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাগর ১

১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্দালয় পড়ুয়া সাগর আমার ছোটবেলার বন্ধু। সে খুবই মজাদার পাব্লিক। আড্ডার ছলে সে আমাদের সাথে প্রতিনিয়তও মজা করে। তার এই মজার জন্য আমাদের আড্ডা সবসময় মুখরিত থাকে। সে যে কাউকে হাসির খোরাক বানাইতে পারে ।সে এমনি এক কমেডিয়ান চরিত্ত যাকে নিয়া লিখাও যায় এবং হয়ত নাটকও বানানো যাইতে পারে ।আমি সাগর ১ এ তার কিছু মজাদারর মূহুর্ত তুলে ধরছি যাতে আপনারাও পড়ে মজা পান ।

একদা এক আড্ডার সময় সুজন আসে ।তাকে জিজ্ঞেশ করলাম কথায় ছিলি ।সে খুবই হাসিমুখে বলল -
- নওশিন কে নিয়া একটু বাইর হইছিলাম ......আজকে ঢাকা শহরে রিকশা ভমন করসি...... নওশিন আসার সময় আমাকে জোর কইরা দুইটা বডি স্প্রে কিনা দেয়।
- ওহ তাই নাকি ...জটিল ত ।
আমরা সবাই সুজন রে দেইখা অনুভব করতাছিলাম যে প্রেম কত মজার । হঠাত সাগর বইলা উঠল -
- আরে জানস না ওর গার্লফ্রেন্ড ওরে বডি স্প্রে কিনা দিসে কে
- কে দোস্ত কে
- আরে বেটা ...যখন কোন মাইয়া রিকশায় উইঠা দেখে যে তার লগে পোলাটা তুলার মধ্যে আতর মাইখা কানে দিয়া রাখসে ত অরে বডি স্প্রে কিনা দিব না ত কি আমগরে কিনা দিব ।

হা হা হা হা ......দশ থেকে পনেরজনের একটা হাসির কলরব উঠল......বেচারা সুজন ।

এভাবেই সাগর সাবলীলভাবে কথা বলে যেটা ছিল খুবই এক্সপারটনেসস । তো একদিন এক ফ্রেন্ড সোহান কথায় কথায় কি কারনে জানি বাজি ধরতে চাইল -

- আয়......এক লিটার আর সি বাজি ধর তাহলে...
- আজব তো...তুই মনে হয় আর সি খাস ? ( সাগর )
- কে...আর সি খামু না কে...আর সি তো সবাই খায়
- কি কস ...কালকে তর বাপ রে দেখলাম দুইটা ভারজিন নিয়া যাইতে......একটা ভারজিন কিনলে একটা ফ্রী দেয় ......এটা তুই জানস না ।
- সাগর...মামা ......ভুল হইয়া গেছে......মামা তুই চুপ থাক ...বাজি ধরুম না ।
- অই অই তোরা জানস ......সোহান যে মাটির বাঙ্কে টাকা জমায় ।
- না ত...এটা তো কহনও হুনি নাই ।
- হালায় টাকা জমায়া প্রতি সপ্তায় রমনা পার্কে গিয়া সূপ খায়
- আবার কয় আর সি বাজি লাগব.........হালায় আসলেই একটা বস্তি ।

হো হো ঠিক কইছস সাগর ......হালাই একটা বস্তি ।

- মামা ......ভুল হইয়া গেছে...আর পচাইছ না ।
- ঠিকাছে একটা আর সি কিন্না আন......আর কিছু কমু না ।

এই হল সাগর ...হাসতে হাসতে সময় পার ।যতটা না তার কথা ততোটাই হাসি পায় তার বাচনভঙ্গি দেখে ।
একবার আমার পানি পিপাসা লাগলে সাগররে কই
- বন্ধু চল হোটেল এ যাই...পানি খাইয়া আসি ।
- হোটেল এ যাবি কেন.........সাথির বাসা থেকে এক বোতল ঠান্ডা পানি নে
- কি কস.........সাথির মায়ে পানি দিবো নাকি......চল হোটেল এ চল ।
- কেন দিবে না একশ বার দিবে.........ভাইয়ের সাথে চল ......দেখ

সাগর যখন বলসে....আর মানা করতে পারলাম না.....গিয়া দেখি হইতেও পারে ।
- চল বন্ধু
- আন্টি.....সামালাইকুম...কেমন আছেন । (বারান্দায় )
- এই ত ভাল । ( খুবই গম্ভির হয়ে )
- আন্টি কি আচার শুকাচ্ছেন......আন্টি আপনার আচারের কিন্তু অ...নে...ক সুনাম শুনেছি ......এবার কিন্তু আমাদের আচার খাওয়তে হবে ।
- আচ্ছা খাওয়বনি ।

আমি সাগরের পাশে দাঁড়িয়ে এক গাল হাসি নিয়ে সাথির আম্মার দিকে চেয়ে আছি......আর এদিকে সাগরে কথা বলার মাঝখানে দরজার দিকে উকি মেরে সাথি কে দেখার বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছে ।

- আন্টি ......।এক বোতল ঠান্ডা পানি দেওয়া যাবে ।
- দাড়াও দিচ্ছি ।
- দেখছো......বলসি না ...ভাই গেলে পানি দিব ।
- হ বন্ধু ...ঠিক বলস ।
প্রায় দশ মিনিট পর সাথির আম্মা পানি নিয়ে আসলো । সাগর খুব খুশি হয়ে - আন্টি ......আপনি কষ্ট করে আনলেন কেন...বাসাই কি আর কেউ নাই ।
এটা কি কইলি সাগর......সাথে সাথে সাথির আম্মার চেহারা চেংজ হইয়া গেল ।

- আছে কেন
- না এমনেই.........আপনি আনলেন ত ...তাই ...যাই আন্টি ।

হাসি সংবরন কইরা আমি আর সাগর ধূর্ত সেখান থেকে চলে আসি । আর আমি মনে মনে বলি ওরে সাগর চুপ থাক ......আর কত হাসাবি রে ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×