ঈশ্বর,
অনেক কাঁদিয়েছো আর কাঁদিয়োনা আমায়।
এবার ক্ষান্ত হও।
ঈশ্বর, তোমার কি মনেহয় না
আমার চোখের অশ্রুফোটাও নির্মম প্রতিশোধ নিতে পারে?
ইস্পাতসম অশ্রুফোটার কাঠিন্য
তুমি কখনো দ্যাখোনি তাই বলছি
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি চাষা হই
ক্রমাগত তোমার বুক ফুড়ে ফালি ফালি করবো লাঙ্গলে
ক্রমাগত তোমার বুকে সেচ দেব লবনাক্ত পনি
ক্রমাগত কেড়ে নেব আমার ক্ষুধার অন্ন।
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি শ্রমিক হই
তোমার বুকে ঘাঁ দিয়ে যাবো- চালাবো গাইতি-শাবল
তোমার বুকে ভাত রাঁধতে বানাবো উনুন, জ্বালবো অনল।
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি কামার হই
অবিরত হাতুড়ি পেটাবো তোমার ঐ দূর্বল মেরুদন্ডে
অবিরত নিক্ষেপ করবো তোমায় অগ্নি শিখায়।
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি কুমোর হই
তোমায় নিজ হাতে আকৃতি দান করবো
তারপর
তোমায় আগুনে পোড়াবো যতক্ষন না কঠিন হও আমার মতো।
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি কুলি হই
নিমিষেই মাথায় তুলে আছড়ে ফেলবো কংক্রিটে
নিমিষেই ভেঙে দেব তোমার ঐ রুগ্ন কোমড়।
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি চামার হই
তোমার পিঠের ঐ পুরু চামড়া তুলে নেব
তোমার পিঠের ঐ চামড়া শোভাবে আমার পাদুকা’য়।
মনে রেখ তুমি মাটির তৈরী
তাই বলছি,
আমাকে আর কাঁদিয়োনা, ঈশ্বর
ক্ষ্যাপে গিয়ে আমি যদি দিনমজুর হই
নিমিষেই সৃষ্টি হবে বণ্যা আমার লবনাক্ত ঘামের বৃষ্টিতে
নিমিষেই ভেসে যাবে তুমি সে বানের স্রোতে।
ঈশ্বর,
অনেক কাঁদিয়েছো আর কাঁদিয়োনা আমায়।
এবার ক্ষান্ত হও।
আমার অশ্রুফোটা-ও নির্মম প্রতিশোধ নিতে পারে..