যখন রাজনীতির মাঠে নাম নিয়ে নাটক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নাম খোঁজে ব্যস্ত সার্চ কমিটি এমন সময় নিজের নাম নিয়ে হাজির নূর হোসেন পাটোয়ারী। তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্র, সংবাদপত্র - টেলিভিশন - সোস্যাইল মিডিয়া - ব্লগ সব সব খানেই।নাম নূর হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান।
গত ৩০ জানুয়ারি, সোমবার চাঁদপুরের হাইমচরের নীলকমল ওছমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ছাত্রদের পদ্মা সেতুর প্রতীকী পিঠের উপর হেঁটে সেতু পাড় হয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য সর্বস্তরে নিন্দার ঝড় বইছে। তাঁর দাবি, ইচ্ছে না থাকলেও ছাত্রদের অনুরোধে তিনি এটা করেছেন৷ এখন এ-জন্য জবাব বেহায়া নূর হোসেন পাটোয়ারী কোন অনুশুচনা নাই। বরং তিনি বলছেন সেতুটি বানানোর পুরস্কার হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের পাঁচ হাজার টাকা দেন।
ভাল কাজের কোন নির্দিষ্ট সময় নাই। যখন কাজটা ভাল বলে সর্বজন সাক্ষ্য দিচ্ছে তখনি ভাল কাজের সময়। স্বাভাবিক বিবেক সম্পন মানুষ এ শিশু ছাত্রদের পিঠের উপর হেঁটে পাড় হওয়াকে কখনই স্বাভাবিকভাবে নিবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য অনেক সংবাদপত্রের দেখলাম যে, প্রধান শিক্ষক এবং সেই বিদ্যালয়ের ক্রিয়া শিক্ষক এর পক্ষে সাফাই গাইছেন। তাঁদের দাবি হল এটা বিদ্যালয়ের অনেকদিন আগে থেকে চলে আসছে। যেঁ এই ক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে এসেছেন সেই এই শিশু ছাত্রদের পিঠে উপর মানবসৃষ্ট সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে গেছেন। নিন্দা জানানোর ভাষা নাই, কাকে নিন্দা জানাবো !
আচ্ছা, এই গেল নির্লজ্ব, বেহায়া, বদমাশ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী কথা। যখন এমপি - মন্ত্রী কোন এলাকায় যায় , প্রায় লক্ষ্য করা যায় বিদ্যালয়য়ের ছোট - ছোট শিশুদের রাস্তার দুইপাশে রৌদের মাঝে ঘণ্টার - পর- ঘণ্টা হাতে পতাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরিবর্তনটা কোথায় হওয়া দরকার, কাদের হওয়া দরকার ।
কোথায় জানি পড়েছিলাম অথবা শুনেছি, বইয়ের বাইরেও বিদ্যালয়য়ের বারান্দায় - মাঠেও শিক্ষা আছে। যদি সেই শিক্ষা এমনটি হয় তবে এই শিক্ষার দরকার খুব বেশি দরকার নাই।