সারাদেশব্যপী হঠাৎ করেই বাস চালক ধর্মঘট,জনজীবনে দুর্ভোগের আন্ত নাই। ধর্মঘট যুক্তিক – অযুক্তিক নিয়ে পক্ষে – বিপক্ষে আলোচনা, বক্তব্য, মন্তব্য এবং মতামত শুনলাম – পড়লাম। বাস চালক ধর্মঘট যুক্তিক – অযুক্তিক এই আলোচনায় যাবো না। কোর্টের রায় নিয়ে কোন মন্তব্যে যাবো না। তবে যে বিষয় নিয়ে খুব বেশি সংকিত তা হল, কোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলা হচ্ছে, কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। একটি স্বাধীন – সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিচারবিভাগ একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগসমূহের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আজ দেশের বিচার ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, মানুষের শেষ আশ্রয়টুকু, বিশ্বাস -আস্থার শেষ জায়গাটুকুকে আজ কোথায় দাড়ঁ করানো হয়েছে। কোথায় যাচ্ছে আমাদের বিচারবিভাগ – বিচার ব্যবস্থা
যদি কোন নাগরিক বা গোষ্ঠী মনে করেন যে, সেঁ বা তারাঁ নিম্ন আদালতে ন্যায় বিচার পাই নাই ; সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য আপিল করতে পারেন। যদি মনে করেন পক্ষপাতিত্ব রায় দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে বিচারক অনাস্থা জানিয়ে আপিল করতে পারেন। তবে বিচারিক রায় – বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অনাস্থা জানানো একটি রাষ্ট্রের জন্য কখনোই শুভকর নয়, সুবার্তা নয়।
গ্যাসের দাম বাড়ানো সরকারি গণ-বিজ্ঞপ্তির পর সারাদেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ, মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র সমর্থনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার আহবানে রাজধানীতে হরতাল পালিত হয়। জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল এই হরতালে। একটি শান্তিপূর্ণ গণদাবির হরতাল। জনসাধারণ রাজপথে দাঁড়িয়ে সরকারের এই অযুক্তিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকে ‘ না ‘ বলে প্রত্যাখ্যান করে সরকারের গণ-বিজ্ঞপ্তি সরকারের মুখে ছুড়ে দিয়েছে।
ফ্যাসিস সরকারের পুলিশ যেমন আচরণ করে, তেমনি আচরণ ছিল গ্যাস দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদী আওয়াজিদের সাথে। শুরু থেকেই মারমুখী অবস্থানে ছিল পুলিশ লাঠি – রাবাল বুলেট – টিয়ারগ্যাস – জল কামান। তা টেলিভিশন – সংবাদপত্র অনলাইন সংস্করণে এসেছে।
হরতাল রাজধানীতে হয়েছে। সারাদেশের মানুষ দেখেছে টেলিভিশন – সংবাদপত্র অনলাইন সংস্করণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়।আর যারা সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও দেশের চলমান পরিস্থিতি খবরাখবর রাখবার চেষ্টা করে তাদের কাছে আজকের গ্যাস দাম বৃদ্ধির সরকারের অযুক্তিক গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রতিবাদে জনসাধারণের যুক্তিক দাবিকে সরকারের মিডিয়া সেল মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যই কাকতালীয় ‘কুকুরকান্ড’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করিয়ে – টেলিভিশন – সংবাদপত্র বারবার – প্রথম পাতায় প্রচার করা হচ্ছে।
সরকারের মিডিয়া সেল আমাদের আমাদের চিন্তা – চিন্তার জায়গা নিয়ে যা ইচ্ছা, যেমন ইচ্ছা খেলে যাচ্ছে।আর আমরাও প্রশিক্ষিত খেলোয়াড়দের মত খেলে যাচ্ছি, বুদ্ধিমত্তাহীন – বিবেকহীন প্রাণীর মত।
আমরা চিন্তা করছি না, এই সরকারের শাসনামলে কতবার তেল- গ্যাস – বিদুৎতের দাম বাড়াল।
আমরা জানতে চেষ্টা করছি না, এই দাম বাড়ানোর পেছনে আধ কোন যুক্তিক কারন আছে কিনা।
আমরা প্রশ্ন করছি না, কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সত্যিই কি আপনি আমাদের সেবা করতে এসেছেন?
মনে হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ী পন্থানুসরণ করে সেবা এসেছেন।
ফাইজলামি করার জাগয়া পান না!