৩০ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ১৬ বা তার অধিক জনগণের উপর চেপে বসা সরকার এখন যে স্বৈরাচার সরকার তা বিবেকবোধ অধিকার সচেতন প্রতিটি মানুষ জানে। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ এই নিয়ে তাদের আশংকা এবং উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রধান যে উদ্বেগের বিষয় তা হল যে, গরিব মানুষ যাদের জিবন চলে রক্ত জল করা টাকায় তাদের উপর যখন অন্যায় হয়,তখন তাদের প্রতিবাদ করার যে অধিকার তা তারা হারিয়ে ফেলে এবং ফেলবে। হলও তাই।
আমাদের দেশের প্রধান যে কর্মক্ষেত্র পোশাক গার্মেন্টস, যার উপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নির্ভর করে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ। দেশের জন্য তাদের অবধান এবং তাদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আমাদের যে সন্মান হয়েছে তা সবারই জানা।
তবে আজ এখন কেমন আছে তারা, এই প্রশ্ন মাঝেমধ্যে উঠে আসে দেশের মানুষের মাঝে যা সব সময় উঠা উচিত। এই গার্মেন্টস শ্রমিক মানুষের জিবন -জীবিকা কেমন তা নিয়ে খুব কমই প্রশ্ন উঠে। রানা প্লাজা ধস আমাদের বিবেক নারা দিলেও সেই শ্রমিক মানুষদের হত্যার জন্য রানার বিচার লোক দেখানো চলছে। ক্ষোভ নিয়ে বেচে আছে কোটি মানুষ।
বেতন বৈষম্য এবং বেতন নিয়ে টালবাহানা গার্মেন্টস মালিক এবং সরকারের উপর এই মানুষদের প্রশ্ন অনেকদিনের। মাঝেমাঝে নামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, কার্যকর হয় না। এই চাপা ক্ষোভ নিয়ে, বেচে থাকার দাবি নিয়ে যখনি ক্ষেতে মানুষগুলো রাস্তায় নেমে আসে; তাদের উপর অন্যায়ের ন্যায় বিচার চাইতে রাস্তায় নেমে আসে। তখনি এই বেচে থাকার দাবিতে গুলি করে কথিত সরকার বাহিনী পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন আসে বারবার করে তাহলে কি এদের বাচার অধিকার চেয়ে আওয়াজ করার যাবেনা?
আজ যখন গুলি এই গার্মেন্টস শ্রমিক মানুষদের উপর হল হল, এখনি যদি প্রতিবাদ আওয়াজ সর্বস্তরের পেশা-মানুষের কাজ থেকে না আসে। তাহলে গুলি খাওয়ার পুর্বপ্রস্তুতি নিয়ে চুপ থাকার এবং স্বৈরচারী শাসকে মেনে নেওয়ার মানুষিকতা গড়ে তুলুন।
খারাপ আছেন, ভাল থাকার জন্য প্রশ্ন, আওয়াজ এবং ঐক্যবদ্ধ হন।