একজন পেশাজীবী মানুষ শাহনাজ আক্তার। তিনি বাইক রাইড শেয়ার করে উপার্জন করেন। এই খবর দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ জানেন বলে বিশ্বাস করি। শুধু দেশে সীমাবদ্ধ নেই এই খবর, বলা যায় বিশ্বব্যাপী জানে।
দেশে এখন প্রধান সংবাদ হল শাহনাজ আক্তার তার স্কুটি ফিরে পেয়েছেন পুলিশের আন্তরিক সহায়তায়। অভিনন্দন পুলিশ, ধন্যবাদ পুলিশ এবং জয় হোক বাংলাদেশ পুলিশের।
চ্যানেল আই রিপোর্ট করেছে, সেই রিপোর্ট আমি আবার ইউটিউবে দেখেছি। শাহনাজ আক্তার আপার সহজ-সরল কথা, মানুষটাকেও সহজ সরল মনে হল।
আমি একটু হলাম চিন্তা করে, পুলিশ চুরকে ধরেছে। এখানে চিৎকার করে পুলিশ মহত বলে শ্লোগান দেওয়ার কী হল; পুলিশের কাজই তো চুর ধরা। যে কারনে আমরা তাদের বেতন দেয়।
আমি অনেক খবর পড়ে চিন্তা করে যা বের করলাম,
তাহলো- শাহনাজ আক্তার আপাকে নিয়ে তার স্কুটি চুরি হওয়ার আগে প্রথমআলো খবর করেছে, যা সর্বমহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেক প্রশংসা এবং শুভকামনা। তারপর কি হল, স্কুটি চুরি হল। একদিনেরও কম সময়ে স্কুটি উদ্ধার, চুর আটক। স্কুটি চুর হওয়ার খবর ছিল গত দুই দিনের প্রধান সংবাদ, সম্পাদকীয় লিখেছেন অনেকেই। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে স্কুটি খোজতে সহায়তা করতে অনেকেই আগ্রহ জানান এবং আশপাশ দেখার আহবান ব্যাপক সাড়াদেয়।
এখানেই শেষ। আরে না, এখানেই শুরু-
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, সারাদেশব্যপী মানুষের ভোট চুর হয়। সে চুরে প্রত্যক্ষ- পরোক্ষভাবে সহায়তা দান করে পুলিশ। এখন পুলিশ হল দেশের সবচেয়ে বড় চুর,ভোট চুর করে সরকার বানিয়েছে। মানুষ সরকারের উপর অনাস্থা জানিয়ে প্রতিবাদ করছে, যেকোনো সময় গণ-আন্দোলনে সরকার ভেঙ্গে যাবে। যেহেতু পুলিশ সরকার বানিয়েছে, পুলিশের এখন প্রধান কাজ হল জনগণের মুল আকর্ষণ দিক খোজে তার উপর কাজ করা এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা। আর এই কাজগুলো করে ভরশার জায়গা তৈরি করা। হলও তাই।
এখন প্রশ্ন হল, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের ১০ কোটি মানুষের ভোট যে চুররা চুরি করল সেই চুরদের কি পুলিশ ধরবে?
ভুল প্রশ্ন করলাম?