somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা একটি ত্রুটিপুর্ন শিক্ষাব্যবস্থা

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাদ্রাসা অধ্যক্ষরে কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনা এখন ঢাকার টক অব দ্যা টাউন। ছাত্রীটি খুব সম্ভবত বাচঁবে না কিন্ত অভিযুক্ত অধ্যক্ষ্য যে আইনের ফাক ফোকড় গলিয়ে বিস্তর টাকা পয়সা খরচ করে বেরিয়ে আসবে তা একপ্রকার নিশ্চিত বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে। মাদ্রাসা ছাত্রীটি হয়ত মৃত্যূর মুখে পতিত হওয়ায় এই ঘটনা মিডিয়ায় এসছে কিন্ত প্রতিনিয়ত মাদ্রাসাগুলোর অভ্যন্তরে এইরকম হাজারো নোংরা আচরনের শিকার হচ্ছে অবুঝ শিশু কিশোর কিশোরীরা যার বেশীরভাগই প্রচারের আলোয় আসার সুযোগ পায় না।

র্ধম একটা বিশ্বাস যেটা ভালবেসে , অন্তরে ধারন করতে হয়। কিন্ত মাদ্রাসাগুলোতে র্ধম জোড়র্পুবক চাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। ধরে নিলাম যে সকল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্য বা শিক্ষকেরা অবস্যই এই সোনাগাজীর মাদ্রাসার অধ্যক্ষর মত নয়। কিন্ত ইসলাম নিয়ে পরিপুর্ন গবেষনা করা ,আধুনিক উচ্চশক্ষিত কোন মানুষ কি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন ? না করেন না। মোল্লা গোছের , কুসংস্কারছন্ন মানুষরো সেখানে শিক্ষকতা করেন যাদের একদিকে ইসলাম সর্ম্পকে পরিপুর্ন জ্ঞান নাই আবার আধুনিক শিক্ষার জ্ঞানও নাই। কোরআনে হাফেজ হওয়াটাই সেখানে সবচয়েে বড় যোগ্যতা কিন্ত আরবীতে মুখস্থ করা সেই কোরআনের পরিপুর্ন র্অথ তারা কেউ জানে না। আবার অন্ধকারছন্ন এইসব সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বললইে বলা হয় যে '' ফিতনা '' করার চেষ্টা হচ্ছে। আরবী এই ফিতনা শব্দের র্অথ কয়জন বুঝে তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা মুলত আমাদরে দেশে ভয়ভীতি প্রর্দশনের মাধ্যমে র্ধম পালন করার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিদেেশে এসে বরং ধর্মের ব্যপারে অহতেুক ভয়ভীতি দূর হয়ছে।উচ্চশক্ষিায় শিক্ষিত ইসলামকি স্কলাররা বরং এখন কোরআন,হাদিসের ভাল ব্যখ্যা দেন যেগেুলো শুনলে মানুষরে মনে ভয়ের বদলে শ্রদ্ধার উদ্রেক হয়।

পরিপুর্ন ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় এই দেশের মানুষের মেয়েদের প্রতি সম্মানবোধ গড়ে ওঠেনি। আর তাইতো ইভটিজিং এর ঘটনা ঘটলে এই দেশের সংখ্যাগরষ্ঠি জনগন কেন সেই মেয়ে র্পদা করেনি তা নিয়ে সরব হইয়ে ওঠে। এই জাতীয় কথাবার্তা বলে তারা যে একটা অপরাধকে সমর্থন করছে এবং এইসব জঘন্য অপরাধীদের উলটো প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটা ভাবছে না। এইসব পরস্পরবিোরিধী মানসিকতার ব্যক্তিদের আবার মাদ্রাসা ছাত্রীটির ঘটনায় মুখে কুলুপ আটতে দেখা যায়। মাদ্রাসা ছাত্রীটি যে কিনা সহি র্পদা করত, সে কেন এই পরিস্থিতিরি শিকার হল? আসলে এভাবে মানুষকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। নীতি নৈতিকতার শিক্ষা না পাওয়া এবং কুসংস্কারছন্ন ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাবে এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের এই ধরনের অপরাধপ্রবন মানসিকতা গড়ে উঠেছে।

ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী লাইফ সাপোর্টের যাওয়ার আগে চিকিৎসকদের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন গতকাল রোববার। তিনি তাঁর বক্ত‌ব্যে বলেছেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা প‌রি‌হিত চারজন তাঁর গা‌য়ে আগুন ধ‌রি‌য়ে দেন। এই খুনীরা বাইরের কেউ নয় , সেই মাদ্রসারই শিক্ষার্থী। ওই চারজ‌নের একজনের নাম ছিল শম্পা। ভেবে দেখুন যে পরিপুর্ন পর্দা মেনে চলা এই মাদ্রাসার মেয়েরা অধ্যক্ষের প্ররোচনায় খুনের মত ভয়ঙ্কর অপরাধে লিপ্ত হয়েছে!!

সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠা উচিৎ কুসংস্কারছন্ন এই ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে। যে শিক্ষাব্যবস্থা মেয়েদের সম্মান করতে শেখায় না, যে শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি নৈতিকতার জ্ঞান দেয়া হয় না, যে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান আধুনিক শিক্ষা হতে কয়েক আলোক বর্ষ দূরে সেটা একটা ক্রুটিপুর্ন, অমানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×