মাদ্রাসা অধ্যক্ষরে কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনা এখন ঢাকার টক অব দ্যা টাউন। ছাত্রীটি খুব সম্ভবত বাচঁবে না কিন্ত অভিযুক্ত অধ্যক্ষ্য যে আইনের ফাক ফোকড় গলিয়ে বিস্তর টাকা পয়সা খরচ করে বেরিয়ে আসবে তা একপ্রকার নিশ্চিত বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে। মাদ্রাসা ছাত্রীটি হয়ত মৃত্যূর মুখে পতিত হওয়ায় এই ঘটনা মিডিয়ায় এসছে কিন্ত প্রতিনিয়ত মাদ্রাসাগুলোর অভ্যন্তরে এইরকম হাজারো নোংরা আচরনের শিকার হচ্ছে অবুঝ শিশু কিশোর কিশোরীরা যার বেশীরভাগই প্রচারের আলোয় আসার সুযোগ পায় না।
র্ধম একটা বিশ্বাস যেটা ভালবেসে , অন্তরে ধারন করতে হয়। কিন্ত মাদ্রাসাগুলোতে র্ধম জোড়র্পুবক চাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। ধরে নিলাম যে সকল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্য বা শিক্ষকেরা অবস্যই এই সোনাগাজীর মাদ্রাসার অধ্যক্ষর মত নয়। কিন্ত ইসলাম নিয়ে পরিপুর্ন গবেষনা করা ,আধুনিক উচ্চশক্ষিত কোন মানুষ কি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন ? না করেন না। মোল্লা গোছের , কুসংস্কারছন্ন মানুষরো সেখানে শিক্ষকতা করেন যাদের একদিকে ইসলাম সর্ম্পকে পরিপুর্ন জ্ঞান নাই আবার আধুনিক শিক্ষার জ্ঞানও নাই। কোরআনে হাফেজ হওয়াটাই সেখানে সবচয়েে বড় যোগ্যতা কিন্ত আরবীতে মুখস্থ করা সেই কোরআনের পরিপুর্ন র্অথ তারা কেউ জানে না। আবার অন্ধকারছন্ন এইসব সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বললইে বলা হয় যে '' ফিতনা '' করার চেষ্টা হচ্ছে। আরবী এই ফিতনা শব্দের র্অথ কয়জন বুঝে তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা মুলত আমাদরে দেশে ভয়ভীতি প্রর্দশনের মাধ্যমে র্ধম পালন করার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিদেেশে এসে বরং ধর্মের ব্যপারে অহতেুক ভয়ভীতি দূর হয়ছে।উচ্চশক্ষিায় শিক্ষিত ইসলামকি স্কলাররা বরং এখন কোরআন,হাদিসের ভাল ব্যখ্যা দেন যেগেুলো শুনলে মানুষরে মনে ভয়ের বদলে শ্রদ্ধার উদ্রেক হয়।
পরিপুর্ন ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় এই দেশের মানুষের মেয়েদের প্রতি সম্মানবোধ গড়ে ওঠেনি। আর তাইতো ইভটিজিং এর ঘটনা ঘটলে এই দেশের সংখ্যাগরষ্ঠি জনগন কেন সেই মেয়ে র্পদা করেনি তা নিয়ে সরব হইয়ে ওঠে। এই জাতীয় কথাবার্তা বলে তারা যে একটা অপরাধকে সমর্থন করছে এবং এইসব জঘন্য অপরাধীদের উলটো প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটা ভাবছে না। এইসব পরস্পরবিোরিধী মানসিকতার ব্যক্তিদের আবার মাদ্রাসা ছাত্রীটির ঘটনায় মুখে কুলুপ আটতে দেখা যায়। মাদ্রাসা ছাত্রীটি যে কিনা সহি র্পদা করত, সে কেন এই পরিস্থিতিরি শিকার হল? আসলে এভাবে মানুষকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। নীতি নৈতিকতার শিক্ষা না পাওয়া এবং কুসংস্কারছন্ন ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাবে এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের এই ধরনের অপরাধপ্রবন মানসিকতা গড়ে উঠেছে।
ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী লাইফ সাপোর্টের যাওয়ার আগে চিকিৎসকদের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন গতকাল রোববার। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরিহিত চারজন তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এই খুনীরা বাইরের কেউ নয় , সেই মাদ্রসারই শিক্ষার্থী। ওই চারজনের একজনের নাম ছিল শম্পা। ভেবে দেখুন যে পরিপুর্ন পর্দা মেনে চলা এই মাদ্রাসার মেয়েরা অধ্যক্ষের প্ররোচনায় খুনের মত ভয়ঙ্কর অপরাধে লিপ্ত হয়েছে!!
সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠা উচিৎ কুসংস্কারছন্ন এই ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে। যে শিক্ষাব্যবস্থা মেয়েদের সম্মান করতে শেখায় না, যে শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি নৈতিকতার জ্ঞান দেয়া হয় না, যে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান আধুনিক শিক্ষা হতে কয়েক আলোক বর্ষ দূরে সেটা একটা ক্রুটিপুর্ন, অমানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা।