somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েটি কি সেচ্ছায় গান ছেড়েছে ?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



''গান ছাড়ছে জাইমা নুর'' শিরোনামে একটি সংবাদ এসেছে গনমাধ্যমে। মেয়েটার গান আগে কখনও শোনা হয়নি। খবরটা পড়ে তার গান শুনতে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখি অসাধারন সব গান গেয়েছে মেয়েটি। অসম্ভব সুরেলা কন্ঠ ও দরদ দিয়ে গান গায় মেয়েটি। ব্লগারদের অনুরোধ করছি মেয়েটির '' আমার একটা মন ছিল '' এবং '' বাবা'' গান দুটো শুনে দেখার। এত অসম্ভব সুন্দর গানগুলো আগে কেন শোনা হয়নি তাই ভাবছি। মেয়েটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানলাম-

জাইমা নূরের জন্ম রাজশাহী বিভাগের চাপাইনওয়াবগঞ্জে। মাত্র ৬ বছর বয়সে ২০১৫ সালে রমজান মাসে বৈশাখী টিভির সংগীত প্রতিযোগিতা ‘লক্ষ প্রাণের সুর’-এ ইসলামী নাশীদ গাওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় জাইমা’র। সুললিত কণ্ঠ, বিমোহিত সুরে প্রতিটি গানই অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গত ছয় বছরে বিভিন্ন টেলিভিশনে রমজানে সংগীতানুষ্ঠান থেকে শুরু বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে গেয়েছে অসংখ্য গান। গতবছর রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে আয়োজিত কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ‘বাবা’ গান গেয়ে ব্যাপক পরিচিতি পায় জাইমা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই গানটি প্রায় সাড়ে ১১ কোটি বার দেখা হয়েছে। জাইমা মূলত ইসলামী নাশীদ ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে থাকে। একটি সংগীত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানে হাতেখড়ি হয় তার। এখন পড়াশোনা করছে পঞ্চম শ্রেণিতে। সুত্র ইত্তেফাক''

এত চমৎকার গান গাইতে পারা মেয়েটি কেন হঠাত গান ছেড়ে দিল? মাত্র পঞ্চম শ্রেনীর একটি বালিকা গান ছাড়ার বিষয়ে যে ব্যখ্যা দিয়েছে তা নিতান্তই শিখিয়ে দেয়া বক্তব্য বলে মনে হচ্ছে। মেয়েটির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন কমেন্ট সেকশনে ধন্যবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে !! গান না ছাড়ার অনুরোধ সংক্রান্ত কোন কমেন্ট চোখে পড়েনি!

ইদানিং লোকদেখানো ধর্মের কালচার দিনদিন বাড়ছে যার মারাত্মক প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবন যাত্রায়। আমাদের বাল্যকালে ধর্ম এবং সামাজিক জীবন যাপনের মাঝে একটা ব্যলেন্স ছিল। ধর্মকে আলিঙ্গন করাতে শেখানো হয়েছে আমাদের , জোড়পুর্বক চাপিয়ে দেয়া নয়। এর মানে কি আমাদের পিতা মাতা , ময় মুরুব্বীরা ধার্মিক ছিলেন না? অবস্যই তারা ধার্মিক ছিলেন। আমরা আমাদের পিতা মাতা , ময় মুরুব্বী সবাইকে নামাজ, রোজা, যাকাত , সামর্থনুসারে হজ্বসহ সকল ফরজ আদায় করতে দেখেইতো বড় হয়েছি যা এখন আমরা নিজেরাও পালন করে থাকি। আমাদের সময়ে ধর্মীয় রীতি পালনের তাৎপর্য শেখানো হত। ধর্মীয় আলোকে সততা, সত্যবাদিতার পাঠ পড়ানো হত। কিন্ত একই সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থাকেও গুরুত্ব দেয়া হত।

অত্যন্ত দুঃখজনক যে লোকদেখানো ধর্মীয় কালচারের নিষ্ঠুর শিকার হচ্ছে ইদানিং শিশুরা। যে বয়সে শিশুদের খেলাধুলা করার কথা, গান গাইবার কথা , দুরন্ত শৈশবকে দারুনভাবে উপভোগ করার কথা সেই বয়সে তারা ধর্মীয় বুলি আউড়াচ্ছে!! এসবতো তাদের নিজের কথা নয়, তোতা পাখির মত শেখানো কিছু বুলি। গান যে গাইতে পারে তার পক্ষে কোনদিনও গানকে ভুলে থাকা সম্ভব নয়। জাইমা নামের এই দুর্দান্ত ক্ষুদে গায়িকার গান গাইবার পরিবেশ যদি নিশ্চিত করা সম্ভব হত, তাহলে মেয়েটি কোনদিনও গানকে বিদায় জানাতো না।

পোস্টটা একটু এডিট করে একজন মুসলিম স্কলারের গান বাজনা সম্পর্কিত বক্তব্য যুক্ত করছি।

The Muslim scholar al-Qaradawi states that singing and music in itself is permissible and pleasurable. He places several restrictions on them though. The content of the song should not be against the morals and teachings of Islam or be accompanied by other forbidden things in Islam like alcohol.
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০১
৩৬টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×