চা বাগান ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রায় সবারই আছে। সিলেটে জেলার বিশাল অঞ্চল জুড়ে আছে চা বাগান। অপরুপ সৌন্দর্য্যের এক লীলাভুমি আমাদের চা বাগানগুলো। কিছুকাল পুর্বে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালি ভ্রমনে গিয়েছিলাম। ইউরোপিয়ান টুরিস্টদের কাছে খুবই জনপ্রিয় টুরিস্ট গন্তব্য । প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য আহামরি কিছু নয়। আসলে কেন জানিনা অন্য কোন দেশের প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য আমাদের কক্সবাজার , বান্দরবন , রাঙ্গামাটির কাছে তুচ্ছ মনে হয়।তবে বালি দ্বীপবাসীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে দ্বীপটিকে। এয়ারপোর্টকেও এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মনে হয় যেন হয় যেন কোন কালচারাল হেটিটেজ এর মিউজিয়ামে ঢুকেছি। হোটেল লবিতে হাতে ধরিয়ে দেয়া ব্রুশিয়ারে দেখার কি আছে জানার জন্য চোখ বোলাতে গিয়ে '' কফি গার্ডেন'' স্পটটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হল। এর আগে কখনও কফি গার্ডেনে যাইনি।তাই প্রথমেই সেখানে যাবার প্ল্যান করলাম। সেখানে যেয়ে সবচেয়ে যে জিনিষটা ভাল লেগেছে তা হল ব্যবস্থাপনা। চলুন ঘুরে আসি কফি বাগানে ---
টিকিট কেটে বাগানে ঢোকার আগেই গেটে হাতে ধরিয়ে দেয়া হল লুয়াক কফির প্ল্যমফেট। লুয়াক কফি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কফি। এই কফির উৎপাদন প্রক্রিয়া, স্বাদ-গন্ধ একদম অনন্য। এক ধরনের বন্য বিড়ালকে কফি সিড খাওয়ানো হয়। এরপর তার মল থেকে তৈরি করা হয় এই কফি। তবে যত দামীই হউক না কেন বা স্বাদ গন্ধ যাহাই হোক না কেন, চেখে দেখার ইচ্ছে একেবারেই হয়নি। ইউরোপিয়ান টুরিস্টদের দেখলাম খুব আগ্রহ নিয়ে খেতে।
কফি গাছ
পাহাড়ের গা ঘেসে তেরী হয়েছে কফি বাগান। সেই বাগানের এক পাশে তৈরী করা হয়েছে একটি রেস্তোরা। রেস্তোরায় বসে কফি পান এর সাথে কফি বাগানের সৌন্দর্য্য অবলোকনের চমৎকার একটি আয়োজন।
রেস্তোরার পাশের একটা ঘরে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের কফি ।
ভাজা কফি
এই সেই বন বিড়াল, যার মল থেকে তৈরী হয় এই বাগানের বিখ্যাত লুয়াক কফি ।
কফি ভাজা হচ্ছে । ছবি তোলার অনুমতি চাইতেই, সুন্দর করে হেসে অনুমতি দিলেন। পাহাড়ি এই মানুষগুলো সব দেশে, সব অঞ্চলেই বড় সহজ , সরল, সুন্দর।
রেস্তোরার বেঞ্চে বসে ভাবছিলাম কোন কফি অর্ডার করা যায়। কিন্ত অতীব চমৎকৃত হয়ে দেখলাম অর্ডার করার আগেই ১৪ ফ্লেভারের কফি এনে হাজির এক মহিলা। জানালো এটা পুরোপুরি ফ্রি। বাগানের কফি দিয়ে অতিথিদের আপ্য্যায়ন করা হয় । এত বিভিন্ন ফ্লেভারের কফি আগে কখনই খাইনি।
রেস্তোরার পাশেই কফির দোকান। বিভিন্ন ফ্লেভারের কফি কিনে ফিরে এলাম হোটেলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৫