somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার নিজের একটি ঘটনা........................

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমারি নিজের একটি ঘটনা আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করি। তখন ২০০৫ কি ২০০৬ সালের ঘটনা। আমি আসলে কোন দূর ঘটনা বা কষ্টের দিন গুলো মনে রেখে নতুন করে কষ্ট পেতে চাইনা। আজ কি কারনে যেন মনে পরে গেলো তাই লিখতে বসলাম।
আমি তখন আরামবাগে চাকুরি করতাম এক প্রেস (ছাপা খানা)। আমার বেতন তখন ছিল কম ৫,০০০ টাকা। আমার স্ত্রি আর আমি জমিয়ে খুব সখ করে একটা দামি মোবাইল সেট কিনলাম। তখন কালার ডিসপ্লে মোবাইলের দাম বেশি ছিলো। অনেক কষ্টে অনেক দিন দরে টাকা জমিয়ে আমি নোকিয়া ৩২২০ মডেলের মোবাইল কিনলাম মোবাইলটার চারপাশে লাইট জ্বলে কয়েকটা কালারের গানের তালে তালে লাইট জ্বলত নিবত কালার ডিসপ্লে ভাবটাই ছিল অন্যরকম। তখন আমার মেয়ের বয়স ছিল ৭ কি ৮ মাস। ওর অনেক ছবি ঐ মোবাইলে তোলা অনেক হাঁসি মানে আমি যখন আমার মেয়কে আদর করে কাক পাখি ডাকতাম তখন ও হাঁসত। আমার মেয়টা কালো ছিলো বলে ওকে আমি কাক পাখি বলতাম আর ও হাঁসত এখন বলি। আমার মেয়টা কালো বলে অনেকেই একটু অন্যভাবে তাকায় ওর অন্য বোনরা ভাইরা মানে খালত ও মামাত সবাই ফর্সা। যাই হোক অনেক সখের মোবাইল ত বঝতেই পারছেন কতটা যতন করতাম। আমি বরাবর লোকাল বাস গুলোতে উঠতাম আরামবাগ থেকে গজিপুরের বলাকা বাস গুলোতে উঠতাম অনেকে চিনেন বা চরেছেন যার আমার মত কম বেতনের লোক আছেন বা ছিলেন। প্রায় সময় দেখতাম অনেক মানুষ বাসে উঠে বলত এই আমার মোবাইল নাই, আমার পকেট মাইর হইছে আবার বাসের জানাল পাশে যারা মোবাইলে কথা বলত অনেক সময় তাদের মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে যেত। যাই হোক এরকম ছিন্ন ঘটনা আমার দৈনন্দিনের সাথি অনেক আফছুছ করতাম যখন অন্যের মোবাইলের কথা শুনতাম তখন নিজের পকেটে হাত দিতাম দেখতাম ঠিক আছে কিনা।
আমি বাসে উঠলে প্রাই পকেট থেকে মানি বেগ ও মোবাইল বের করে হাতে রাখতাম যেন চুরির কোন ভাবে চুরি না হয়। এই ভাবে প্রতিদিন চলাফেরা করতাম। সেদিন আমার পরনে ছিল টাইট জিনছের পন্টে ও টি শার্ট। বরাবর যেই ভাবে বাসে চরি বাসের গেইটে জুলে বা জুরকরে ঠেলা দিয়ে ভিতরে ঢুকা এই ভাবে। এখানে একটা কথা না বলেই না। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে আমার নিজে বাসে উঠতে পারলেই হলো অন্য মানুষ কি ভাবে উঠবে তা চিন্তা করি না। আমারা বাসের গেইটের সামনে বির করে রাখি কিন্তু বাসের পিছনে খালি। খালি মানে ছিটগুলো ফিলাপ কিন্তু দাঁড়িয়ে যাবার মত জায়গা আছে কিন্তু পিছনে যাবেনা বা পিছনে যেতেও দিবেনা এমন ভাবে দুই রড দরে দাড়াবে অন্যরা যাবার মত কোন জায়গা থাকে না যেত হলে ওদের ঠেলে ধাকা দিয়ে যেতে হয়। এই ভাবে উঠি প্রতি দিন বাসে সেদিনও উঠলাম। আরাম থেকে যখন মালিবাগ তখন কিছু যাত্রি নামে তখন একটু দারবার মত জায়গা হয় আর না হয় কারো পায়ের উপরে পা গায়ের সাথে চেপে রেখে রড দরতে হয়। যাত্রি নামলে নিশ্বাষ ফেলার মত জায়গা হয়। আমি বরাবর যা পকেট থেকে মানিবেগটা হাতে নিলাম কিন্তু আজ মোবাইলটা হতে নিলাম না কারন পেন্টের সামনের পকেটে ছিল মোবাইল আর আগেইত বলেছি টাইট পেন্ট মোবাইলটা নিতে হলে বলে চুরকে করতে হবে আমি মোবাইল চুরি করতেছি। এই ভাবে জামটাম কাটিয়ে গরমের ভিতরে বাসের বিতরটা দূরগন্ধ কাটিয়ে তখন ৭ রাস্থা আসলাম তখন পকেটে আস্তে করে হাত দিলাম যে মোবাইলটা ঠিক আছে কিনা। না ঠিক আছে আর মানিবেগত হাতে। এই ভাবে তিব্বত, নাবিস্ক পার হয়ে যখন মহাখালি আসলাম হঠাৎ কি মনে করে পকেটে আবার হাত দিলাম যে অনেক সময় হলো প্রায় ১ থেকে দের ঘন্টা দাড়িয়ে আছি পকেটে হাতদিয়ে দেখি মোবাইলটা ঠিক আছে কিনা। যখনি হাত দিলাম উচমাক বুকের কাপনি দিয়ে উঠলো আর এ পাশ ও পাশ মোবাইল খুজতেছি আমার পকেটে মোবাইলটা নেই। আমার মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না। এরকম নরাচরা দেখে একজনলোক রাগ হয়ে বলল ভাই কি হইছে এত লরালরি করতাছেন কেন। যখন লোকটি কয়কেবার বল আর ধাকা দিলো মনে হয় হুস আসল আমি মুখ থেকে কথা বের হলো ভাই আমার মোবাইলটা পকেট মাইরে নিয়া গেছে। লোকটা আমার সমস্যা বুঝতে পারল উনি বলল দেখেন নিচেন পরছে নাকি নিচে বাসে খোজার মত পেলেজ নাই যাই হোক অনেক কষ্টে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু তখন রাত্র ছিল আর বাসের যেই লাইট আর বিরের ভিতরে দেখা যাচ্ছে না। উঠে দাড়ালাম আমি বলে উঠলাম ভাই আমার একটা মোবাইল হারিয়ে গেছে যদি কেউ পেয়ে থাকেন বলেন। কেউ কিছু বলছে না আমি আস্তে আস্তে গেইটে সামনে দাড়ালাম কারন মহাখালি থেকে চিয়ারম্যান বাড়ী মানুষ নামবে তাই আমি আগে গিয়ে গেইটে দাড়ালাম যদি কোন যাত্রি নামর সময় দেখতে পাই মোবাইলটা বা কেউ বলে আমি পেয়েছি। কিন্তু না কেউ বলছে না তখন আমার চোখে পানি আসেনি প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে কত সৃতি বরা এই মোবাইলটা মধ্যে আমার কথ কষ্টের টাকা আমার এই মোবাইল আমার মেয়ের ছবি কথা আছে এগুলো ডাটাকেবলদিয়ে রেখেদিব। বড় হলে আমার মেয়কে শোনাব, ছবি দেখাব ছোট সময় তুমি এরকম দেখতে এই ভাবে কথা বলতে। তা আর বুঝি রাখা হলো না। পরে কেউ বলছে না শেষে কোন কুল না পেয়ে মাথা বুদ্ধিখাটিয়ে বললাম ভাই আমার মোবাইলে কেউ একটা কল দেন তখন আমার নাম্বার ছিল একটেল এখন যেটা রবি ০১৮১৭৫৪৯৮০৯। অবাক হলোম কেউ আমার কথা সারা দিল না কেউ এগিয়ে বলল না নাম্বারটা বলেন আমি কল দেই, আমার প্রচন্ড দুঃখ হলো আমার চোখের পানি দরে রাখতে পারলাম অনরবত পানি পরতে লাগলো যখন একজন মানুষ আমার বিপদে এগিয়ে আসল না। সবাই নিরহ মানুষের মত তাকিয়ে আছে মনে কিছু বলবে বা করবে কিন্তু মনে হয় ভয় হচ্ছে তাদের। আমি চুপচাপ দাড়িয়ে রুইলাম আর কোন ভাষা আমি খুজে পেলাম না কিছু বলার মত কোন কথা আমার মাথায় আর আসছে না কি করব আর ভেবে পাচ্ছিলাম না। বনানি বাসষ্টান্ডে গাড়ি আস মানুষ নেমে যাচ্ছে আমিও তাদের মত বাস থেকে নেমে গেলাম আবার পিছন ফিরে তাকালাম যদি কোন সুহৃদয় মানব যদি আমার এই অবস্থা থেকে তাদের মায়া হয় বলে পেয়েছি আপনার মোবাইল।
গাড়ি থেকে নেমে আমি রাস্তার পাশে অনেক দোকান থাকে সেখান থেকে আমার নাম্বার টাই ফোন দিলাম। ফোন তখন বাজতেছে আমি একটু খুশি হলাম কে যেন রিসিভ করল আমি হেল বললাম ও পাশ থেকে হেল বলল। আমি বলতেছি ভাই আপনে কে এটাত আমার মোবাইল। ভাই আমি আপনার মোবাইলটা গাড়িতে পেয়েছি। আমি যে অন্যকে কি ভাবে কি বলব বুঝতেছি না, ফোনে কথা হচ্ছিল। ভাই আমার মোবাইলটা, উনি বলল- হে আপনি এখন কথায় আছেন, জ্বি আমি আছি কাকলি বাসষ্টান্ডের কাছে এক মোবাইলে দোকানে আপনি কোথায় আছেন ভাই ? আমি আছি চেয়ারম্যান বাড়ী ভাই আপনি দাড়াঁন আমি আসতেছি আর আপনি যে দোকানের সামনে আছেন সে দোকানের নাম কি ? দোকানের নাম বললাম। ভাই আপনি সে দোকানে থাকেন আমি আসছি। জ্বি ভাই আপনি আসেন আমি আছি দোকানেই দাড়াঁয় আছি। যাক তাহলে আমার মোবাইলটা শেষ তাহলে পাওয়া যাবে। আমি সেই প্রতিক্ষায় আছি উনি আসবেন। অপেক্ষা জিনিস বড় কষ্টের আপনারা হয়ত সবার জানা। মনে হচ্ছে ১ মিনিট ১ ঘন্টার মত কিযে একটা টেনশন আসছে না মিথ্যা বলতেছে কে জানে। আমি প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করলাম রাস্তার দিকে তাকিয়ে রইলাম লোকটার কোন খবর নাই, আমি আবার ফোন দিলাম ফোন দরতেছে না কয়েক বার ট্রাই করলাম ৪ বার এর মাথায় দরল ভাই আপনি এখন কোথায়, উনি একটু বিরক্ত কন্ঠে বলল ভাই আমি আসতেছি রাস্তায় আছি আপনি দারান, জ্বি ঠিকাছে। আমি একটু নিজেকে বুঝানর চেষ্টা করছি লোকটি যখন শিকার করেছে আসবে আর আমি মোবাইলটা সে আমাকে দিবে অযথা টেনশন করতেছি। তবুও ভাবতেছি আসলে কি পাব মোবাইলটা যতখন হাতে না পাব ততখন টেনশন হবে কত ভাবে কত কথা ভেবে মনকে বুঝনার চেষ্টা করতেছি। এই ভাবে মনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে সময় চলে যাচ্ছে প্রায় আবার ২০ মিনিট পরে আবার ফোন দিলাম আর দেরি সয্য হচ্ছে না। ফোন বাজতেছে দরছেন না। এই ভাবে বার বার ফোন দিতে লাগলাম ৫ বার এমন ভাবে ফোন দিতে লাগলাম ফোন আর দরতেছে না টেনশন আর বারতে লাগল। এই ভাবে বহু বার ফোন দিতেছি ফোন দরেনা কেটেদেয় আবার বাজতে বাজতে কল কেটে যায়। এক সময় ফোনটা আর বাজতেছে না মোবাইলটা বন্দ করে ফেলেছে তারপর কয়েক বার এই ভাবে দিলাম কিন্তু ফোন আর বাজেনা। আমি নিশ্চিত হলাম আমার ফোনটা আর পাব না। সে আমার সাথে খেলা খেলেছে।
পরে বুঝতে পারলাম আসলে আমার মোবাইলটা পওে যাওয়ার কথা না সে আমার পকেট মেরেছে আর সে আমার সাথে একটা নাটক করেছে সে আসলে চোর। সে আমার লোকেসন চাইল তার মানে সে ওখানে আসবে না আর সিউর হলো আমি তার আশে পাশে আছি কিনা। তার দেওয়ার নিয়ত থাকলে সে বাসেই দিতে পারত সে তখন বলল না এখন ফোন করাতে বলে সে আসছে। আসলে সে আমার মোবাইলও নিল এবং আমাকে বোকা বানাল। এটাই ছিল আমার মোবাইলের চুরির একটা ঘটনা।

বন্দুরা লেখায় কোন ভূল থাকলে ক্ষমা করবেন।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×