somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ লাঞ্চিয়ন এট ব্রুকলীন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ছিল থ্যাংক্স গিভিং, আমেরিকানদের বড় মাপের উৎসব, ফলে বেশির ভাগ অফিস আদালত বন্ধ। প্রচুর লোক এ ছুটিতে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যান। আমিও গিয়েছিলাম, ছোট ছেলে থাকে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলীনে, তার বাসায়। ওর মা গেছেন ঢাকায়, তাই আমাকে একাই যেতে হয়েছে।
এই ব্রুকলীনেই থাকেন এ ব্লগের একজন অত্যন্ত সুপরিচিত সিনিয়র ব্লগার, সোনাগাজী। আমি যখন এ ব্লগে প্রথম আসি তখন তিনি চাঁদগাজী নামে লিখতেন! ভাবলাম দেখি উনার সাথে দেখা করা যায় কিনা। বেশ আগে একবার সুযোগ হয়েছিল উনার কাছ থেকেই উনার ব্যাক্তিগত ফোন নম্বরটি নেয়ার। তাই দেরী না করে কল করলাম, উনি বললেন, উনি সাব‌ওয়েতে, বের হয়ে কল করবেন। এর আগেও কথা হয়েছে, দেখা করতে চেষ্টাও করেছি, সুযোগ মিলেনি। তাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মাঝেই কল করলেন!
আলাপ করে বুঝতে পারলাম কাছেই কোথাও থাকেন। পরদিন ছিল শনিবার, দুপুরে কোথাও লাঞ্চ করার সময় হবে কিনা জানতে চাইলে সহজেই রাজি হয়ে গেলেন। ভাবী, ছেলে দেশ থেকে সদ্য আসা আত্মীয়স্বজন নিয়ে ব্যাস্ত, তাই একাই আসবেন।
ভেন্যু হিসাবে একটা আরবী রেস্তোরাঁ ঠিক হলো, আমার ছেলের বাসার কাছেই ।
পরদিন উনি এলেন! অনেকদিন থেকেই যাকে দেখার একটা ইচ্ছা, যাকে ভেবেছি একজন শক্ত সমর্থ জাঁদরেল, দেখলাম তেমন কিছু নন, সাধারণ আর দশজন প্রবীণ বাংলাদেশীর‌ই মত! সালাম, পরিচয়, কুশল বিনিময় পর্ব শেষে এক টেবিলে বসলাম। ব্লগে অনেকের লেখা পড়ি, অনেককেই দেখতে ইচ্ছে করে, এই প্রথম একজনকে সামনা সামনি দেখা!
আমার লেখার বিষয় ও মান সম্পর্কে উনার যে ধারণা তাতে সামনে পেয়ে কি না কি বলে বসেন‌ সেই ভয়ে আমার ছেলেকেও সাথে নিয়েছিলাম উনার অনুমতি নিয়েই, ছেলে থাকলে বেশি খারাপ কিছু বলতে হয়তো লজ্জা পাবেন এই ভরসায়! তিন জন এক কোণায় একান্তে বসে অনেক আলাপ হলো। ব্লগ, রাজনীতি, দেশ, মুক্তি যুদ্ধ, বিভিন্ন বিষয়ে। এতদিন উনার লেখা, কমেন্ট পড়ে উনাকে আমার যতটা ভীতিপ্রদ মনে হয়েছিল, দেখলাম তিনি ঠিক ততটাই ভদ্র, অমায়ীক, মিষ্টভাষী! সম্প্রতি কিছুটা অসুস্থ‌ও, পাল্স রেট কমে যায় বলে ডাক্তার সাবধানে থাকতে বলেছেন। কিছুদিন আগে কোন এক পার্কে পড়েও নাকি গিয়েছিলেন!
আমার ছেলের বোঝার সুবিধার্থে বাংলার সাথে সাথে অনেক কথা উনি ইংরেজিতেও বলছিলেন।
ছেলেও উনার কথা বেশ মন দিয়ে শুনছিল, সব কথা ও বোঝেনি, যতটুকু বুঝেছে তাতেই ও মুগ্ধ!
ঘন্টা দুই পর রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে যখন বিদায় নিয়ে প্রচন্ড শীতে বাসার দিকে হেঁটে আসছিলাম, আমার ছেলের মন্তব্য ছিল, cool guy, pretty impressive!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪৩
১৫টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে মুসলিম চরিত্রের অনুপস্থিতি: এক অনালোচিত প্রশ্ন?

লিখেছেন মুনতাসির, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৫

সত্যজিৎ রায়, যিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পরিচিত, তাঁর চলচ্চিত্র, গল্প এবং গোয়েন্দা সিরিজ ফেলুদা বাস্তববাদী চরিত্র, সমাজচিত্র, এবং গভীর দার্শনিকতা নিয়ে আলোচিত। তবে তাঁর কাজের মধ্যে একটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুরের জাদু: গিটার বাজালে কি ঘটবে?

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪১



গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....

জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

এআই দ্বারা তৈরিকৃত রাজনৈতিক কার্টুন—যেখানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অসাম্যতা ও রাজনৈতিক নির্ভরতার প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৬


বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×