somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকাশ্যে জামায়াত গোপনে জেএমবি একাধিকবার যৌথ মহড়া!

০৮ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রকাশ্যে জামায়াত গোপনে জেএমবি একাধিকবার যৌথ মহড়া!
জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতার রিমান্ড চলছে


প্রকাশ্যে জামায়াত, গোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) করছেন জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২৫ জন রুকন পর্যায়ের সদস্য। এসব রুকন দেশের উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতা। এ ছাড়া জেএমবি ও জামায়াতের 'স্বাস্থ্য বিভাগের' যৌথ মহড়ার ব্যাপারে নানা তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
রিমান্ডে থাকা জামায়াত ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব তথ্য উঠে আসে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া এসব তথ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জেএমবির আমির সাইদুর রহমানের সঙ্গে জামায়াতের তিন নেতাকে মুখোমুখি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পল্টন থানার ওসি শহিদুল হক গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে জানান, জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবার নতুন মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সূত্র মতে, এর আগে জেএমবি প্রধান সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হলে তাঁকে কয়েকদফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির থেকে সর্বশেষ তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আমির ছিলেন। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াত-জেএমবির অজানা সম্পর্কের অনেক কিছুই খোলাসা করে দিয়েছেন তিনি। সাইদুরকে জিজ্ঞাসাবাদের সব কিছু ভিডিওতে ধারণ করে রাখা হয়। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে সাইদুর জানিয়েছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেএমবির সদস্যের একসঙ্গে একাধিকবার মহড়া হয়েছে। এসব মহড়া সাধারণত ঘরোয়া পরিবেশে হয়েছিল। শারীরিক কসরত ছাড়াও ক্ষুদ্রাস্ত্র চালনার পদ্ধতি শেখানো হয় এসব মহড়ায়।
গতকাল পৃথকভাবে জামায়াতের তিন নেতাকে জেএমবি-জামায়াতের যৌথ মহড়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনজনই এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। পরে তিনজনকে পাশাপাশি বসিয়ে সাইদুরের বক্তব্য সংবলিত ভিডিও চালিয়ে দেখানো হয়। তখন তিনজনের একজন প্রশ্ন তোলেন, সাইদুর যে সব সত্য বলেছে, তাঁর প্রমাণ কী? জিজ্ঞাসাবাদকারীরা তখন বলেন, সাইদুর তাঁর দলের সব কর্মকাণ্ড ভিডিওতে ধারণ করতেন। গ্রেপ্তারের সময় যৌথ মহড়ার একাধিক ভিডিও সিডি উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আছে। চাইলে আপনাদের দেখনো যেতে পারে। তখন তিনজনের কেউ এ বিষয়ে কথা বাড়াতে আগ্রহী হননি।
পরের দফায় জিজ্ঞাসাবাদে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার জামায়াতের ২৫ রোকনের জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা তিন নেতাকে জানানো হয়। তখন তাঁরা যুক্তি দেখান, কেউ তাঁদের অজান্তে কিছু করলে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কারো কিছু করার থাকে না। কারণ জামায়াতের কর্মী সংখ্যা অনেক। তখন গোয়েন্দাদের সংগৃহীত জামায়াত-শিবির সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তাঁদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে সাংগঠনিক পরিষ্কার নির্দেশনা আছে যে দলের কোনো কর্মী কোনো কাজ করলে অবশ্যই শীর্ষ নেতাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো কাজ করলে অবশ্যই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। পরে ২৫ রোকনের নাম-পরিচয় তাঁদের সামনে তুলে ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদকারীরা তখন তিন নেতার কাছে জানতে চান, ওই ২৫ জনকে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না। জবাবে তাঁরা বলেন, জেলা পর্যায়ের সব নেতাকে তাঁরা সরাসরি চেনেন না বা চেনা সম্ভব নয়।
জিজ্ঞাসাবাদকারীরা সাইদুরের দেওয়া তথ্যের পাশাপাশি ২৫ জনের বর্তমান দলীয় অবস্থাও তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, ওই ২৫ জন এখনো সরাসরি জামায়াতের রাজনীতি করছেন।
সূত্র জানায়, এর কিছুক্ষণ পরে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মুখোমুখি করা হয় সূত্রাপুর থানার একটি মামলায় রিমান্ডে থাকা জেএমবির এহসার সদস্য সৈকতকে। সৈকত মুজাহিদের সামনেই বলতে থাকেন, 'আপনার দলের অনেকেই তো আমাদের দল করছে। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিভিন্ন সময় আপনার দলের লোকজনের সহযোগিতাও পেয়েছি। তাঁরা তো আমাদের জিহাদ চালিয়ে যেতে উৎসাহও যুগিয়েছেন।'
মুজাহিদ প্রথমে সৈকতকে ধমকাতে থাকলেও পরে এসব কথা শুনে চুপসে যান।:P
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×