যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) গ্রেফতারকে ‘বিজয় দিবসের উপহার’ বলে বর্ণনা করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গোলাম আযমকে গ্রেফতারেও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ শিগগিরই আসবে। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে চার থেকে ছয়জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হবে বলেও জানান তিনি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই মন্তব্য করে কামরুল বলেন, ৪০ বছর আগের ঘটনা তদন্ত করতে সময় লাগবে। এক্ষেত্রে হতাশ হলে চলবে না।
সাকা চৌধুরীর গ্রেফতার প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, আশা করছি, রোববার ট্রাইব্যুনালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে। সাকা চৌধুরীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিএনপির ডাকা হরতালের সমালোচনাও করেন তিনি। বিজয়ের দিবসে সাকা চৌধুরীর গ্রেফতারের প্রসঙ্গ ধরে তিনি স্লোগানের সুরে বলেন, ‘বিজয় দিবসের উপহার, সাকা চৌধুরী গ্রেফতার’। একাত্তরের ঘাতকদের বিএনপি মদদ দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বেই ঘাতকরা পরিচালিত হচ্ছে। সাকা চৌধুরীর মতো চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে রক্ষায় তারা হরতাল দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ দোসর হিসেবে পরিচিত, যুদ্ধপরাধীদের শিরোমনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আযমকে শিগগিরই গ্রেফতারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনাল দেবে আশা করে কামরুল বলেন, যারা গণহত্যা করেছে, তাদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না। তিনি বলেন, ঘাতকদের বিচারের সব প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। কেউ জেলে আছে। যারা বাইরে আছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেফতারেও পদক্ষেপ নেয়া হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালকে ‘একটি জাতীয় ট্রাইব-্যনাল’ আখ্যা দিয়ে কামরুল বলেন, প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে চার থেকে ছয়জনের বিচার শুরু হবে। ২০১১ সালের মধ্যে আরও ১১ জনের বিচার শুরু হবে। এরপর বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাতকদের বিচার হবে।
খোরশেদ আলম খসরুর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আলমগীর কুমকুম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সুত্রঃ Click This Link