যখন তুমি আর আমার গৃহস্থালীতে রক্ত জবা হয়ে ফুটোনি,
আমার তরঙ্গায়িত স্পর্শে কেপে কেপে উঠোনি।
যখন তোমার একান্ত আপন সমুদ্র লুন্ঠন করে
আমার শিহরন আর উৎসব হয়ে উঠেনি ,
ঠিক তখনই আমি প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হয়েছি
আমি প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হয়েছি স্বয়ং ঈশ্বরের নামে
স্থলাভিষিক্ত করতে তোমায় আমার অভিলীপ্সার মত করে।
মূঠো,মুঠো জোৎস্না দিয়ে আমি যখন দূর করেছি
বিভিষিকা ময় আধার,জেনে নিয়েছি রহস্য
ওই পিপিলিকা কিংবা তারার ,
প্রশ্ন করেছি অস্তিত্বে শত-সহস্র দেবতার
তখনো জনসমুক্ষে অহং নিয়ে বলিনি
তোমায় ভালবাসি ,
বরং সক্রেটিস কিংবা প্লেটো হয়ে
সিম্পোজিয়ামে মেতেছি সমলৈঙ্গিক প্রেম নিয়ে ।
যখন উদ্ভাবন করেছি জীবের গতিশীল দান্ধিকতা
তখন তোমায় প্রসব করেছি নান্দনিক জড় রুপে।
যখন উন্মোচন করেছি অবচেতনের রহস্য
তখন সে কি দাম্ভিকতায় তোমায় একেছি হীন করে ।
রোম্যান্টিক রবী বাবু হয়ে তোমায় চেয়েছি
স্নেহের বাধনে ,সোনার শিকলে মোহনীয় রূপে , বেধে রাখতে ঘরে
নয়তো কবিতার কোন পুত-স্রোতা অনুরাগিনী করে ,
কিন্তু কখনোই নয় রাজ পথে দাঁড়ানো উদ্ধত কোন কবির সাজে ।
যখন বাতাসে ছড়িয়েছি বিপ্লব কিংবা সাম্যবাদ
তখনো তোমায় সাজিয়েছি অতি ভোগ্য এক আধুনিকা করে ।
আমার ক্ষনজন্মা সুখ রাজ্যে তুমি কখনো হয়েছো দেবী
কখনো হয়েছো সমুদ্র ,রজনীগন্ধা,চন্দ্র ,সিরিউস
এমনকি অজর সব কবিতাও,
শুধু একবারো হয়নি মানুষ ।
আজ যখন তুমি প্রকাশিত লস-এঞ্জেস থেকে রিয়াদে
গহীন অরন্য থেকে সাগরে,আলোয় নয়তো আধারে
জেনে রেখো তাতেও রয়েছে অভীপ্সা আমার
ক্ষনে , ক্ষনে ঈপ্সার আগুনে দগ্ধ হওয়ার ।