আমার প্রিয় লেখকের তালিকায় হুমায়ুন আহমদের নাম ছিলোনা কখনো এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা তার নাম।তার বিরুদ্ধে আমার অভি্যোগ অনেক,প্রতি বছর বই মেলাতে গিয়ে তার নাম শুনে শুনে আমি বিরক্ত হয়েছি,তার বই কেনা নিয়ে আমার বন্ধুদের হুমরি খাওয়া দেখে অবাক হয়েছি।আজ তার বিদায়ে আমি লক্ষ্য করলাম,আমি আমার খুব বেশি প্রিয় লেখক- আলব্যার কাম্যু,ইয়েস্তেন গার্ডার,পাওলো কোয়েলহো,মার্কেজ,রাসেল,আজাদ এদের সব বই যেমন পরোছি তেমনি হুমায়ুন আহমেদের প্রায় সব বই আমি পড়েছি,তবুও আমি নিশ্চিত ভাবেই জানি তিনি আমার প্রিয় লেখক নন,কিন্তু আমার যত বার মন খারাপ হয়েছে,যত বার আমি আনন্দ পেয়েছি,যত বার আমি চিন্তাহীন সরল আনন্দ পেতে চেয়েছি ততবার আমি তার বই পরেছি।তার শঙ্খনিল কারাগার,নন্দিত নরকে,কবি,বৃষ্টি বিলাশ,কিছুক্ষন মেঘ বলেছে যাবো যাবো,হিমুর দিত্বীয় প্রহর অবশ্যই মিসির আলি,নিরন্তর,আরো অসংখ্য লেখা আমাকে আবেগী করেছে,মাঝে মাঝে হয়তো অভিভুতও করেছে কিন্তু আমি নিশ্চিত ভাবেই জানি তিনি আমার প্রিয় লেখক ছিলেননা,তবে সম্ভবত তিনি আমার সব চেয়ে আপন লেখক ছিলেন,আমার খুব বেশি কাছের একজন লেখক ছিলেনন,যিনি খুব ভালো করেই জানতেন কিসে আমার হাসি পায়,কিসে আমার কান্না,কোন কোন মুল্যবোধ কে আমি অরথহীন জেনেও মুল্য দেই,এই সভ্যতায় আমি ঠিক কতটা লাগাম ছাড়া হতে চাই,ঠিক কত টুকু রোমান্টিকতা আমার এই মধ্যবিত্ত হৃদয় মেনে নিতে পারে সব যেন তিনি জানতেন……তাই তিনি আমার প্রিয় লেখক না হলেও হয়ত আমার আপন লেখক ছিলেন……
……প্রতি পুর্নিমার মধ্যরাতে আমি আকাশের দিকে চেয়ে থাকি,আর অপেক্ষায় থাকি গৃহ ত্যাগী হওয়ার মত জোতস্নার জন্য ………হুমায়ুন আহমেদ কে আর কখনই জোস্নার জন্য অপেক্ষা করতে হবেনা কিন্তু আমাদের করতে হবে…………তিনি আমাদের জোতস্নার নেশায় ডুবিয়ে চলে গেছেন।