" যুদ্ধ নয়,
শান্তি চাই"
-মাও সে তং (নোবেলজয়ী)
"আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার বাংলায় আজ ভয়ংকর ভাইরাসের বীজ শিকড় গেড়েছে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ আজ একটি মৃত্যকূপ। এটি অস্বীকার করার কোন যুক্তি নেই। মিডিয়াগুলোও আজকাল পোঁ ধরতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। রাতজাগা টকশো আর প্রতিদিন খবরের কাগজে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হবার নিউজ শুনতে শুনতে পাবলিকেরাও আজ বিব্রতবোধ করছে। মানুষ গড়ার কারিগর যে শিক্ষক সেও আজ বাজারের মূলা, বেগুন, পটলের মতো শিক্ষা বিক্রি করতে শুরু করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীর বিরুদ্ধে চূরি- ডাকাতির ফৌজদারী মামলা দায়ের করে বিচারের মাধমে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরী।
৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রকে যখন গণতন্ত্রের দলীয় নেতা গাইবান্ধা- ১ (সুন্দরগঞ্জ) এমপি মনঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে লিটন গুলি করে তখন বলার অপেক্ষা রাখে না- দেশে কি চলছে। জাপানি নাগরিক হোশে কুনিও খুন হল, ঈটালী নাগরিক সিজার টাবেলা খুন হল।
বাংলাদেশে আজ মায়ের কোলের শিশুও নিরাপদ নয়, সেখানে ভিনদেশী খেলোয়াড়রা কোন নিশ্চয়তায় আসবে?
গুম-খুন-ধর্ষণ-অপহরণ, চুরি-ডাকাতি, লুটৎরাজ, টেন্ডারবাজী, পেট্রোলবোমা প্রতিদিনের রুটিন হোয়ে দাঁড়িয়েছে আজ বাংলাদেশে। ক্ষমতাসীনদের বোঝা উচিৎ চারেদিকে ডিজিটাল হাহাকার চলছে। এ হাহাকারের রোষানলে তারা পড়তে পারে যে কোন সময়। যে পরিণতি হয়েছিল গাদ্দাফির। তাই এখনো সময় আছে প্রখর পথে বৃক্ষ রোপন করুন।
মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কেন করছে? টাঙ্গাইলে কেন পুলিশ গুলি চালালো? শীতলক্ষ্যা নদীতে কেন লাশ ভাসে? কেন বিশ্বজিতের মা আজো কাঁদে? সাংবাদিক সাগর- রুনীর হত্যাকারীরা কোথায়? ৪৮ ঘণ্টা কবে শেষ হবে? আপনাদের নোংরা রাজনীতীর অবৈধ ফসলে কেন পেট্রোলবোমায় নিরীহ মানুষ বলী হবে? তাজরীন ফ্যাশন, রানা প্লাজা কেন দাঁড়িয়ে থাকবে? কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন শিশু খুন হবে? ট্রেন কেন কালো বিড়াল খাবে? কোথায় গেল ডেসটিনি, সোনালী ব্যাংকের টাকা? গণজাগরণ মঞ্চের উপর হামলা কেন? জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হয়না কেন? দেশে এতো অস্ত্রের ঝনঝনানি কেন? কেন মাদকে ভাসছে সোনার বাংলা? কেন সোনার বাংলায় রক্তের বন্যা? কেন ব্লগাররা খুন হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব অবশ্যই দিতে হবে জনতার আদালতে। তাই সাবধান!