somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনৈতিক ভায়োলেন্সঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(১)
----------
উইকি থেকে চবি নিয়ে বেসিক ইনফরমেশন গুলো দেই।
“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছিল। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল”
আমার দৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হইলো বাংলাদেশের সোসাইটির কাছে পরিচিত বিভিন্ন ভাবে। পজিটিভ দিক দিয়ে ধরলে “ও শাটল ট্রেনের ভার্সিটি”?
আর নেগেটিভ দিক দিয়ে ধরলে “নাহ, ভাই চবি তে যাবো না। শিবির ধরে রগ কেটে দিবে”।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভিতর ডমিনেটিং মিডিয়া এবং ডোমিন্যান্ট সোশ্যাল কনভার্সেশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হইল গরীব যারা ঢাবি,বুয়েট,মেডিকাল এ চান্স পায় নাই তাদের জন্য।কারন যাদের পয়সা আছে এবং তিনটা জায়গায় চান্স পায় নাই তারা ইদানীং প্রাইভেটে যায়।
নাহ, এগুলো আসলে বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম এলাকার কথা বার্তা। চবি তে আর সব ভার্সিটির মতো ভালো- মন্দ-বলদ-এক্সিলেন্ট পোলাপান সবই আছে। এই ভার্সিটির ছেলেমেয়েরা সবখানেই ভালোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যতই মানুষ বলুক “অগা মগা ইউনিভার্সিটি” এরা আছে ভালোই। আমাদের এই পেইজ থেকেও আমরা অনেক পচাই চবি কে। কিন্তু বাস্তবতা আসলে অনেক কমপ্লেক্স। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর দেওয়া কাগজ থেকেই আমরা অনেক দূরে নিজের পায়ে দাঁড়ায় আছি।
চবির রাজনৈতিক অবস্থা আসলে সারা দেশের সেন্ট্রালাইজেশন এর ভয়ংকর এবং এক্সট্রিম উদাহরন। ঢাকামুখী দেশের জঘন্য চিত্রায়ন হইলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় সরকারী দলের নেতাদের এইখানে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ঘুরানো হইছে সরকারি দলের ছাত্র উইং এর ফ্যাকশন কর্তৃক। এইরকম নজির অনেক চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা বাইনারি ধরনের রাজনীতি। এইখানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রকোপ কম কিংবা নেই বললেই চলে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হইলো বিএনপি এর ছাত্র উইং। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের দখলদারিত্ব থাকায় সেইখানে ছাত্রদল অনেক সময় আওয়ামী লীগের ছাত্র উইং ছাত্রলীগ এর সাথে এক জোট হয়ে শিবিরের সাথে বিভিন্ন কলিশনে যোগ দিতো। এর পিছনে ইতিহাস ও আছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলাদেশের রাইজিং স্টার। কারন ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্যের ভাড়ে নুজ্যপ্রায় অবস্থায় । সেই সাথে ঢাকার সেন্ট্রাল পলিটিক্স ধাক্কায় প্রশাসনিক দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছিল।বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং মেধাবীদের দ্বারা গঠিত প্ল্যানিং কমিশন ও হয়ে যায় নখদন্তহীন বাঘের মতো দুর্বল । অসংখ্য মেধাবী লোকজন ঢাকা( শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়) ছেড়ে চিটাগং এ আসেন। এর মাঝে নোবেলজয়ী ডঃ ইউনুস ও ছিলেন। তিনি এই জোবরার তেভাগা খামারে তার গ্রামীন ব্যাংক এর কাজ শুরু করেন।সব ভালো জিনিসের শেষ আছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রেকর্ডেড এবং আমার খুজে পাওয়া প্রথম ভয়াল রাজনৈতিক ঘটনা ছিলো ১৯৮৬ সাল এ শিবিরকর্মীরা ডান হাতের কবজি কেটে নেয় জাতীয় ছাত্রসমাজ(যথাসম্ভব জাতীয় পার্টির ছাত্র উইং ছিল) দলের ছাত্রনেতা আবদুল হামিদের। পরবর্তীতে ওই কর্তিত হাত বর্ষার ফলায় গেঁথে তারা উল্লাস প্রকাশ করে।আমার আত্মীয় ওইদিন গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কাজ করতে। পরে কানে ধরছেন যে জীবনে যতকিছু হোক চবিতে পড়বেন না। খুনোখুনি এবং রাজনৈতিক হানাহানির বল এইখান থেকে গড়ানো শুরু হয়। এরপর ৮৮ তে শিবিরের একজন মারা যায় তার নাম আইনুল হক। ১৯৯০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারি শাসকের পতনে ছাত্র-শিক্ষকদের আনন্দ মিছিলে শিবিরের হামলায় নিহত হন ছাত্র মৈত্রীর নেতা ফারুকুজ্জামান। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে তার মাথা বাসার গেটের সামনে ঝুলিয়ে রাখে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর শিবিরের হামলায় আহত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মুছা ৯ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১৯৯৭ সালে মোজাম্মেল কটেজে ও পরের বছরের ৬ মে শাহ আমানত হলে শিবিরের হামলায় নিহত হন আমিনুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী। ১৯৯৮ সালের ১৮ মে বালুচরা এলাকায় শিবিরের সন্ত্রাসীরা শিক্ষক-ছাত্র বহনকারী বাসে গুলি চালালে নিহত হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী মুশফিক সালেহীন। একই বছরের ২০ আগস্ট বটতলী পুরানো রেলস্টেশনে শিবিরের কর্মীদের হামলায় আহত হয়ে ২২ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তলাপাত্র। এ ছাড়া ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় ১৯৯৯ সালের ১৫ মে জোবায়ের হোসেন এবং একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর রহীমুদ্দিন ও মাহমুদুল হাসান নিহত হন। এঁরা তিনজনই শিবিরের নেতা-কর্মী।২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হাটহাজারীর ছড়ারকূল এলাকায় শিবিরের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নেতা আলী মতুর্জা চৌধুরী, ২০১০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলায় রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র্রমহিউদ্দিন মাসুম এবং একই বছরের ২৯ মার্চ রাতে চৌধুরীহাট স্টেশনের কাছে মার্কেটিং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হারুন-অর-রশিদ কায়সার খুন হন। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মারা যান ছাত্রশিবিরের মাসউদ বিন হাবিব ও মোজাহিদুল ইসলাম।২০১৪ তে ১২ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের শাহ আমানত আবাসিক হলের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন খুন হন।
মামলার বর্তমান অবস্থা: ১৭ টি খুনের প্রতিটিতেই মামলা হলেও এ পর্যন্ত একটিমাত্র মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিখোঁজ হওয়া আইনুল হকের লাশ গুম করার অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ২০০৯ সালের এপ্রিলে আসামিরা খালাস পান। ছাত্রলীগ নেতা আলী মর্তুজা হত্যা মামলাটি এখনো বিচারাধীন। আসাদ হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মাসুদ ও মুজাহিদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় দুই দফা তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার পর বর্তমানে তা সিআইডির হাতে রয়েছে। এ ছাড়া, অন্য মামলাগুলোর ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি নেই।।
আমরা পড়ার সময় মারা যায় তাপস সরকার।
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। এ ঘটনার তিন বছর পার হলেও এখনো ধরা পড়েনি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা।

যদিও মামলার অন্যতম আসামি আশরাফুজ্জামান আশা চলতি বছরের ৪ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করেন। তবে ২৯ জন আসামির মধ্যে ২৮ জন আসামিই রয়েছেন বহাল তবিয়তে। যারা অনেকেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সক্রিয় রয়েছেন মাঠের রাজনীতিতেও।

এ সক্রিয়তার প্রমাণ মেলে সদ্য বিলুপ্ত করা চবি ছাত্রলীগের কমিটিতে। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন আসামিদের বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে মামলার চার্জশিটভুক্ত ৭ নম্বর আসামি রাশেদ হোছাইন ও ১০ নম্বর আসামি রেজাউল করিম সহ-সভাপতি এবং ৮ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান বিপুল (বহিষ্কৃত) উপ-দফতর বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এরা সকলেই বগিভিত্তিক সংগঠন ভিএক্স গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। পরে হাটহাজারী থানায় ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তাপসের সহপাঠী হাফিজুল ইসলাম। তখন মামলাটি তদন্তের জন্য হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
অনেকেই বলে হল দখলের জন্য এক্সকিউজ তৈরি করার জন্য প্ল্যান করে তাপস কে হত্যা করা হয়েছিল। তাপস হত্যার দুই তিন দিন পর পর্যন্ত রাস্তাঘাটে শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের পোলাপান সাধারন মানুষজন কে হ্যারাস করতেছিলো।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হলে তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি পুলিশসহ ৩২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে গত বছরের ২ মে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার কাছে থাকা অবৈধ পিস্তলেই তাপস খুন হন বলে উল্লেখ করা হয়।কিন্তু এরপর আর কিছুই হয় নাই। শুধুমাত্র বদলীর খেলা চলতে থাকে। কেউ আর এগুলো ফলো আপ করে না। নষ্ট দেশের নষ্ট সিস্টেম।
এরপর ঠিকাদারি সংক্রান্ত অন্তর্দন্দ্ব থেকে কনফ্লিক্টের কারনে মারা যায় ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসে থাকা দিয়াজ ইরফান। চবি তে এগুলো তো খুনোখুনির হিসাব মাত্র। মারামারি -পিটাপিটির তো সীমাপরিসিমা নাই। ছাত্রলীগ এই মুহুর্তে ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় সবাই ছাত্রলীগ হইতে চায়। এর হইছে অনেক ফ্যাকশন। চিটাগং শহরে যেহেতু দুইটা ভাগ আছে সেটার ধাক্কা গিয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে। কেন্দ্রের দূরে থাকা এবং ফ্যাকশনিজম এর কারনে এরকম ও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী কে জুতার মালা পড়ায় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি হয়ে গেছে কেন্দ্রের কাছে অবাঞ্চিত,অস্বীকৃত। এইখানকার নেতাদের অনেকে আবার বড় গেইম খেলেন। বিশ্ববিদ্যালয় এ শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিতে থাকে চূড়ান্ত রকমের কন্ট্রোল(এই কাজ টা শিবিরের আমলেও চলতো)। পরীক্ষাতে ওপেন নকল করে। আগে শিবিরের আমলে অভিযোগ টা ছিলো প্রশ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সার্কুলার কন্ট্রোলিং। যেমন- একজন কেই টার্গেট করে গ্রুম করা হইতো।পরীক্ষার আগের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের বাসায় স্পেসিফিক ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যাইতো। নিয়োগের সার্কুলার দেওয়ার সময় টেইলরিং করে দেওয়া হইতো একজনের জন্যই। বিজ্ঞান অনুষদ বর্তমান সরকারের আমলে অনেক বছর সার্কুলার দেয়া হয় নাই যাতে শিবির তাদের দখল রাখতে পারে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
এখন আর এসব হয় না কিন্তু ইন্টার্ভিউ তে ঢুকার আগেই বিভিন্ন দিকে লবিং করে, চেহারা দেখায়,অনেক সময় বিয়ের চুক্তি করে ,টাকা পয়সা দিয়ে শিক্ষক হওয়ার লাইন ঘাট করতে হয়। একটাই বেপার যে নির্দিষ্ট সিজিপিএ টা থাকা লাগে যথাসম্ভব অনেক ক্ষেত্রে। এছাড়াও আছে লোকালিজমের ভয়ানক সব বেপার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বেশিরভাগ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী চট্টগ্রাম/কক্সবাজার সংলগ্ন এলাকার। ডিসিশান মেকিং এ চলে লোকাল কোরাম। আমরা অনেক সময় বর্তমানে আটকা থাকি। মৃত্যু গুলো নিয়ে চিন্তা করি কিন্তু লংটার্ম চিন্তা করি না। ভাবি কাজ তো চলেই যাচ্ছে। কি দরকার ঠিক করার?
মান বৃদ্ধি পাওয়ার একটা ফেইক ইনফ্লেশন আমরা দেখতেছি বিশ্ববিদ্যালয় এ। কারন অনেক কিছু ডিসেন্ট্রালাইজ হয়ে গেছে। অনেক কিছু ঘরে বসে করা যায়। ইন্সটিটিউশনাল কোনো কিছু ছাড়া কাজ করা টা সম্ভব হয়ে গেছে। টেকনোলজির উন্নয়ন হইছে অনেক। ইন্সেন্টিভ স্ট্রাকচার গ্লোবালি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। কিন্তু এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কে ছুয়ে দিচ্ছে খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে, এডমিন হিসেবে, ছাত্র রাজনীতির দিক থেকে এখনো চবি মধ্যযুগীয় ভাবে চলতেছে মোটাদাগে বলতে গেলে। কিছু এক্সেপশন তো আছেই। যেমন ইদানীংকালে, ছাত্রলীগ কোভিডের ভিতর প্রশাসন এর সাথে নেগোশিয়েট করে বিভাগীয় শহর গুলোতে চবি থেকে বাস পাঠাইছে ছাত্রদের পরিবহনের জন্য।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসলে এখনো অনেক দূরের পথ বাকি আছে। কারন এই গত সপ্তাহেই আবার হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ভিতর হয়েছে সংঘর্ষ।
একটা ইউনিক জিনিস বলে শেষ করি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই যথাসম্ভব একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধী দের অর্গানাইজেশন গুলোর ভিতর প্রায়শই সংঘর্ষ হয় এবং আহত ও হয়। ডাইজেস্ট দ্যাট।
একটা গ্রাফ দিচ্ছি যেখানে কিনা চিটাগাং শহরে এবং চবি সংলগ্ন হাটহাজারি উপজেলায় সময়ে সময়ে রাজনৈতিক ভায়োলেন্স এর কিছু পরিসংখ্যান আছে। চট্টগ্রামের কলেজ গুলোতেও অনেক বছরের তথাকথিত রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিরাজমান।
এই কনভার্সেশনে একটা কথা আসতেই পারে। হত্যাগুলো জাস্টিফাইড কিনা? হত্যা কে জাস্টিফাই করা আসলে কঠিন। অনেকে বলতে পারে আত্মরক্ষার্থে করা। আমরা না করলে আমাদের কে মারতো। এগুলো আসলে গভীর ফিলোসফিকাল প্রশ্ন হইতো যদি একচুয়াল যুদ্ধক্ষেত্র হইতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলের জন্য খুনোখুনি টা সোজা কথায় “ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড প্রবলেম”। যারা বলে “সবাই করে আমরাও করি” তাদের কে এটা চিন্তা করতে হবে যে আপনি সবাই হবেন নাকি এই খুনের সাইকেল টা ভাংগবেন?
রেফারেন্সঃ

ref. Click This Link
২৫ বছরে ১৭ হত্যা, রায় মাত্র একটির (prothomalo.com)
চবিতে ২৫ বছরে ২০ হত্যাকাণ্ড (risingbd.com)
১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের যত খুন! (jugantor.com)
লাশ ফেলে 'ভাই লীগ' অসহায় আ'লীগ (samakal.com)
ক্যালেন্ডারের পাতায় ইসলামী ছাত্র শিবির কর্তৃক হত্যাযজ্ঞের বিবরণ (ekattor.org)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ভয়াবহ ঘটনার পূর্বাপর পর্যালোচনা (priyo.com)
Student Politics and Political Violence in
Bangladesh
Julian Kuttig,Bert Suykens and Aynul Islam




সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×