তোমাকে বলা না বলা অনেক অভিমানী কথাগুলো
পড়ে আছে মনের এক কোনে,
ছোট্ট কুঠুরীতে-
অবরুদ্ধ!
চাতক পাখি অপেক্ষায় নীল বৃষ্টির
আজন্ম মেটাবে তৃষ্ণা তার
তোমাকে কাছে পাবে বলে।
এই কি তবে প্রেম?
গতকাল রাতে যখন হারিয়ে গিয়েছিলাম
নিত্য খুনসুঁটিতে
তুমি শুনতে চাইলে আমার কবিতা
হঠাৎ করেই!
অবাক আমি তোমায় শোনালাম
আমার নির্বাসিত হৃদয়ের মহাকাব্য...
তুমি কি কবিতা ভালোবাস?
তুমি বললে প্রেমে না পড়লে নাকি
লেখা যায়না কবিতা?
প্রেম?
প্রেমে কি আমি পড়িনি?
যখন নির্বাসিত হৃদয়ের বিবর্ন স্বপ্নগুলো
একে একে সত্য হতে শুরু করলো-
আমার ফেরারী জীবনে,
চাতক পাখি যখন মুমূর্ষ প্রায়
এক ফোটা জলের অভাবে,
বুকের তপ্ত মরূতে যখন সব ইচ্ছাই মরীচিকা,
ঠিক তখনই দেখা হলো তোমার সাথে...
কোন এক টর্ণেডোর মতন আঘাত হানলে
আমার পাথরসম হৃদয়ে...
এলোমেলো এক পশলা বৃষ্টিতে স্নান করলাম
তোমার সুশীতল নবধারা জলে...
ঠিক ঝড়ের পরে শান্ত প্রকৃতির মতন
নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে রইলাম তোমার স্নিগ্ধতার আবেশে!
বার বার সন্দেহ এ কি তবে স্বপ্ন?
যে স্বপ্ন কেবল আমার কাছে বিলাসই মনে হতো;
আবার ভেঙ্গে যাবেনাতো!
প্রথম দেখে প্রেমে পড়েছি অনেক ললনারই,
রাত্রি ডুবে গেলে ভুলে গিয়েছি ভোরের শিশিরের মতন
কষ্টের কোলাহলে!
কিন্তূ এ কেমন জ্বালা হলো তোমাকে দেখার পর!
প্রেমের সংজ্ঞা খুঁজতে শুরু করলাম জীবনের অভিধানে-
খুঁজে পাইনি!
শুধালাম তোমাকে-
মিষ্টি হেসে তুমি জানিয়ে দিলে প্রেমের মানে।
শুরূ হলো আমার নব জীবনের উপাখ্যান
তোমাকে নিয়ে...
জানুয়ারী ২৯, ২০০৯
বিকেল ৫-৩৬