পুরোটা শরীর জুড়ে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট, জীর্ন-শীর্ন;
গত কয়েক ঘুমহীন রাত্রীর ফসল,
রাত্রীও ক্লান্ত হয়েছে আমার সঙ্গী হয়ে।
এই আমাদের মুখরিত ঘর
নিঃসঙ্গ এখন তুমিহীনা,
আধো চাঁদের আলো শহুরে কার্নিস চুঁইয়ে
ঘরে ঢুকবার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে বারবার,
তোমার ঘরে নিশ্চই মুঠো মুঠো আলো?
লুটিয়ে পড়ছে তোমার নরম কোলে?
বারান্দায় বসে পীচঢালা পথের পানে তাকিয়ে আছি, পলকহীন;
রাত্রীর সমস্ত রহস্যময়তা যেন গ্রাস করেছে,
কখনও বিবর্ণ, কখনও মলন
আমার মতন!
তবে কি পথও তার সঙ্গী খুঁজে ফিরে বেড়ায় অবিরত?
হৃদয়ের আর্তিকে ঘরবন্দী করলাম,
ঘর ভর্তি লোডশেডিংযের অত্যাচার
প্রতিদিনকার মতন,
ভেজা মন, ভেজা চোখ নিয়ে
বসে আছি একা সাজানো মরূভূমিতে;
যেদিকেই তাকাই দেখি তুমি, মরিচীকা!
এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে ছটফট করি
মাঝরাতে আমি একা।
পুরো বিছানা জুড়ে
কেবল তোমাকেই খুঁজে বেড়াই,
তোমার ছোঁয়া নাই।
নিস্তব্ধ ঘরে চেনা অভিমান,
আর কম্বলে তোমার শরীরের গন্ধ;
উন্মাতাল আমি রাতের নীরবতার কাছে প্রশ্ন রাখি
তোমায় কোথায় খুঁজে পাই।
ধীরে ধীরে ঘুম পরী বিদায় জানায় আমাকে,
সঙ্গে তার যাদুর কাঠি, ভাঙ্গা;
চোখে ফুটেছে দুটো রক্তজবা।
শেষ রাতের শিশিরের ছোয়া বিষময় দু’চোখে
জ্বালা বাড়িয়ে দেয় আরও।
ঘুমহীন সারাটি রাতের নিঃসঙ্গতা
স্বাগত জানায় ভোরের প্রথম আলো...
আবারও সেই ছুটে চলার প্রস্তুতি,
......ব্যস্ত শহরে
...পড়ে থাকে আমার দীর্ঘশ্বাস
......তুমিহীনা।
মার্চ ১৬, ২০০৯
সন্ধ্যা ০৬-০৮ মিঃ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮