একটি যন্ত্রনাদায়ক প্রাণিগোষ্ঠির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলনে কি বলনে, শিহরনে কি ভোজনে এরা যেন ভিন কোন দেশের। উহাদের থুতনিতে কিন্চিৎ ছাগইল্যা দাড়ি (মাফ করবেন- অন্যকোন শব্দ খুঝে পেলামনা), মাথার ভিতরে মগজ থাকুক কি নাই থাকুক হেয়ার জেলে সয়লাব। চুল ছোট ছোট ইকোনোমি ছাঁট দেয়া। প্রাণিগুলো খামাকা ইংরাজি ফটকায়। এমনকি বাংলাটাও ইংভাবে না বললে গোস্তাকি হয় মনে করে। ঘাঁটলে প্রচুর ভুল বেরুবে, বলা বাহুল্য। লিখতে দিলেও বেশি একটা পারেনা। কিন্তু কে যায়- পরগাছা নিয়ে টানা টানি করতে।
কথায় কথায় জন্তুগুলো 'এক্সিউজ মি' 'এক্সিউজ মি' শব্দ করে। প্রবীণ বা অপরিচিত লোককেও তারা 'রফিক, আপনি' এভাবে সম্বোধন করে। 'রফিক ভাই' বললে তাদের কূল যায়। ভ্যাপসা ভাদ্র কি শুষ্ক ফাল্গুন স্যুট-টাই তাদের লাগবেই। এদের মেকি ব্যস্ততা, বিনয়, ভাব দেখলে বোধহিন মানুষেরও গা জ্বালা করবে। কাকলি সিগনাল থেকে কামাল আতাতুর্ক রোড হয়ে নাবিস্কো মোড় এদের মুল আখড়া। মতিঝিল ও সাতমসজিদ রোডে আছে আরেকদল। ঢাকার বাইরে খুব একটা এই প্রানিগোস্টির দেখা পাওয়া যায়না। তবে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ অন্চলে অধুনা প্রানিটির চলাফেরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গবেষনায় দেখা গেছে নাম জানা/নাজানা প্রাইভেট কলেজ/ ভাসির্টির 'ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ' উহাদের গরিস্টজনের উৎপত্তিস্থল। সাথে মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো ইহাদের ক্রমবিকাশে ব্যপক ভুমিকা পালন করেছে। ডিজুস নামক একটা শয়তানি সীম, কিছু ব্যান্ড সং, পশ্চাৎদেশের কিয়দাংশ দেখা যায় এমনতর ট্রাউজার উহাদের জাতীয় যোগাযোগ/সংগীত/পোশাক হিসেবে পরিগনিত হতে পারে।
ইহারা আচরনে বেয়াদব প্রকৃতির। ধান্দাবাজ ধরনের। মিথ্যাচারি গোচের। ঠেলায় পড়লে বস বস করতে থাকে। নিতান্ত 'কেরানি'র চাকরি করে ব্যাপক ভুং ভাং করতে থাকে।
ইহারা ভুং ভাং কর্পোরেট।