-স্যরি ক্ষেপে যাবেন না আমি বলতে চাচ্ছি চরিত্রটা শেষ পর্যন্ত সত্য উদ্ঘাটন করে, আপনার মধ্যেও একটা জোশ দেখা যায় সত্য উদ্ঘাটনের তাই কমপেয়ার করছিলাম।
-প্রথমত কথা হলো জোশ মূলাবাঁশীয় শব্দ এসব আমি পরিহার করি, আর সত্যবাদীতার ঢেড়া আমি পিটিয়ে বেড়াই না, যদিও বাতালাপ হচ্ছে তবুও বলি আমি মানুষটা আসলে জটিল নই তবে একটা জটিলতা আমি ধারণ করি ঠিকই এই বেশ আমার বেশ লাগে, লুকিয়ে প্রেম আমি করি না আমার ধাতে নেই। বিষয়টা আমি ব্যাখ্যা করি, আপনি বারবার আমাকে গুরু/শিষ্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন তো আপনাকে বলি গুরু’ত্বের দাবীদার ওই বঙ্গালু একজন জেহাদী জোশী এটা আমি সাম্প্রতিক কালেই জানতে পারলাম, জানার সোর্স কিন্তু এই বঙ্গালুর এককালের মায়ের পেটের ফ্রেন্ড, আপনিই বলুন রাশিয়া ফেরত প্রাক্তন বিপ্লবী জেহাদী জোশীকে কিভাবে আর গুরু মানি, তাই ছুড়ে ফেলেছি, ছুড়ে ফেলাতে আমি বেশ পারদর্শী এর আগেও আমি আরো অসংখ্য গুরুকে এভাবে ছুড়ে ফেলেছি, ভবিষ্যতে ফেলবো।
-নৃত্য পটিয়সী সাথে বেশ সখ্য গড়ে উঠেছে মনে হচ্ছে।
-ঠিক সখ্য না, জেহাদী জোশীর একটা প্লাটফ্রম ছিলো ওখানে বেশ দাপটে বেড়িয়েছি অনেকদিন, জেহাদী আমাদেরকে বেশ রংচং লাগিয়েছে, পাশুকের একটা দুঃখ কী জানেন, জোশী কেন এই রংচং পাশুকেকে লাগায় নি যোগ্যতাতো ওর ও ছিলো তবে কেন রঙ লাগানো হলো না একটা তিক্ততা ছিলো নিশ্চয় তাইতো এ জোশী তথ্য আবিস্কৃত হলো। নৃত্যপটয়সী এখন আমাদের একটা প্লাটফ্রম, তবে সাময়িক প্লার্টফ্রম, একদিন ছুড়ে ফেলবো যদ্দিন না ছুড়ে ফেলছি তদ্দিন নৃত্য পাটনার হিসেবে পটিয়সী থাকবে।
-জোশীওতো পটিয়সীর পছন্দের ছিলেন
-ছিলেন ছিলেন তবে আমরা বুঝিয়েছি জোশী তথ্য ব্যাখ্যা করেছি, আপনি নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন, পটিয়সীকে আমরা ইচ্ছা করেই এখন উপরে তুলে রাখি যোগ্যতা না থাকলেও, একটাই কারণ জোশী থেকে দূরে রাখা।
-পাশুকের সাথে পটিয়সী একাসনে কিভাবে বসালেন শুনেছি সাপ-বেজী সম্পর্ক ছিলো।
-দেখুন আমি রাশিয়া ফেরত, কিছুটা ডিপ্লমেসি নিশ্চয় জানা আছে কেজিবিকে পর্যবেক্ষনও করেছি, পাশুকের ‘কাকে’ পটিয়সীকে তেল ইচ্ছা করেই দিয়েছি, তেল কার না পছন্দ হয় বলেন, পটিয়সীর এখন পাশুকেকে দারুন পছন্দ।
-ছড়াকার আর মায়ের পেটের বন্ধু দারুন জমেছিলো কিন্তু!
-জোশীকে ছড়াকার কিন্তু ইচ্ছা করেই প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করেছি, কবি হিসেবে খ্যাতি পেলে স্বীকৃতি দেয়া হয়ে যায়, যদিও স্বরে-অ তে দিতে চেয়েছিলাম শেষে অস্বীকার করেছি। তা আমি খুব পারি, কিছুদিন পরে কিন্তু পটিয়সীকেও অস্বীকার করবো, সত্যি বলছি।
-এতো দুর থেকে লাঠি ঘুড়ান, কিভাবে পারেন
-আপনি একেবারে বাচ্চা রয়ে গেছেন মাত্র দুশো মাইল দূর হয় কীভাবে? আমি নিয়মিত মঙ্গলগ্রহে ব্লগিং করি আর লন্ডন কোন ছার।
-মঙ্গল গ্রহে ব্লগিং মানে
-আরে কথার কথা, মানে ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী জানেন নিশ্চয়, এখানে প্রস্রাব করলে শাহবাগে শব্দ পৌছায়, এককালে শাহবাগ দাপটে বেড়িয়েছি, এখনো হাঁক দিলে জামিন-আমিনরা ছুটে আসে। মানে বলতে চাচ্ছি প্রভাব এখনো রয়ে গেছে, এখান থেকে শাহবাগে গন্ধ পৌছাই আর লন্ডনে পারবো না, পাশুকেদের রেখেছি কেন।
-খুব সম্প্রতি নাকী পুরস্কার পাচ্ছেন
-ওভাবেই কথা হয়েছে, নিমাইকে দেয়া হয়েছে এখন আমার পালা, তবে আমি না নিয়ে পাশুকেও ধরিয়ে দিতে পারি, খুব অনুগত তো একটু দয়া দাক্ষিন্ন দেখানো যেতেই পারে।
-পটিয়সী দেয়ানো যায় না-
-না পটিয়সীকে গাছে তুলা যাবে না, শেষে মগডালে চড়ে বসবে নামানো মুশকিল হয়ে যাবে, একটা বুদ্ধি অবশ্য আছে, সান্তনা পুরস্কার ধরিয়ে দিতে পারি সাপ মরলো লাঠিও আস্ত রয়ে গেলো।
-আসুন একটু সাম্প্রতিক কাব্য চর্চা নিয়ে আলোচনা করা যাক
-আজ না অন্য আরেকদিন এখন একটু মিউজিক চালাতে হবে, মানে ধুয়ায় ভাসতে হবে। আপনি এখন আসুন।
ক্রমশঃ-