কিছুদিন ধরেই " আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র " ... এই পরিচয়টি দিতে আমার বিবেকে বঁাধে ,
গতকালের পর থেকে এই বিষয়টা আরো স্পস্ট হয়েছে ...
কারণ হল ,
- যখন দেখি আমার ক্যম্পাসের মাঝে পহেলা বৈশাখ এর অনুষ্ঠানে মেয়েরা নিরাপত্তা পায় নাহ ,
- যখন দেখি আমার ক্যম্পাসের মাঝে , অভিজিত রায় এর মত ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়
- যখন দেখি আমার ক্যম্পাসের মাঝে , হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা চালানো হয়
- যখন দেখি আমার ক্যম্পাসের মাঝে বহিরাগত এসে তান্ডব চালিয়ে যায় , কিন্তু প্রশাসন কিচ্ছু করতে পারে নাহ ...
উপরের ঘটনাগুলোর মাঝে একটি বেসিক মিল পাওয়া যায় , সেটি হল ... , ক্যম্পাসের মাঝে ঘটনাগুলো যখন ই ঘটেছে , সেই সময় ক্যম্পাসে বইমেলা বা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা(!) ছিল ( সরকারি ভাষ্য মতে ) ...
একটা বিষয় লক্ষ করুন ,
এদেশে
মন্ত্রীর জন্যে এক প্রকার নিরাপত্তা(!) ব্যবস্থা ...
ভি আই পি দের জন্যে এক প্রকার নিরাপত্তা(!) ব্যবস্থা ...
সাধারণ মানুষের জন্যে এক প্রকার নিরাপত্তা(!) ব্যবস্থা ...
এমনটা কেন হবে ...?
নিরাপত্তার স্তরবিভাগ বিষয়টা কি ?
আমি মনে করি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সবার জন্যে একই নিরাপত্তা হওয়া উচিত ...
পহেলা বৈশাখ এর অনুষ্ঠানে মেয়েদের শ্লীলতাহানি র ঘটনা শুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলেছিলাম, বিকাল ৪টার মধ্য উদ্যানের গেইট বন্ধ করে দিতে। কিন্তু সেটা করা হয়নি।”
এখন প্রশ্ন হল ,
- যে দেশে বৈশাখ উদযাপন করার জন্যে , আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হয় ... তাইলে, সেদেশে স্বাভাবিক অবস্থায় সাধারণ মানুষ কি চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকে নাহ ?
- এত স্তরের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনাগুলি কিভাবে ঘটল ?
এসব ঘটনার দায়ভার প্রশাসন কিছুতেই এড়াতে পারে নাহ ...
তবে আশার বিষয় হ্ল ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে , মানূষের পাশে দাড়িয়েছে ...