প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদী গোষ্ঠী নামের নাস্তিকগোষ্ঠীও (প্রগতিশীলতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবিকতা একে অপরকে ছাড়া চলতে পারে না!) যেভাবে তথ্যটি দিয়েছে সেখানেও দেখা যায় প্রতি ছয়জনে একজন প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাস করে না। কিন্তু যারা এই গবেষণা করেছে ও যাদের গবেষণার উপাত্ত জনে জনে ব্যবহার করছে তারা খবরটিকে মানুষের কুকুর কামড়ানোর মতন ঘটনা হিসেবে দেখে নাই। মূল গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান Pew Forum প্রতি দশজনে আটজন নিজেদের ধর্মীয় গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করাকে গুরুত্বসহকারেই স্থান দিয়েছে। তবে প্রতি ছয়জনে একজন যে প্রতিষ্ঠিত ধর্মের সাথে সম্পর্ক নেই সেটাও উল্লেখ করেছে।
যাক পিউ ফোরাম এর মূল লেখায় ঢুকে বিষয়টি পরিষ্কার হল। অধার্মিকদের অনেকেরই বিশ্বাস ও আধ্যাত্নিকতা আছে, নির্ভেজাল নাস্তিক না। সেটা এমন কিছু না, কারণ আস্তিকদের মধ্যেও ভেজাল আছে, মুনাফেক আছে আর আছে বর্ণচোরা। তবে মূল ঘটনা হল এই নাস্তিকরা মূলত বামপন্থী মতবাদের বাইপ্রোডাক্ট। আর সেটি স্বেচ্ছা নির্বাচনের বিষয়তো না-ই। দেখা গেছে এই ধর্মহীনদের শতকরা '৬২ ভাগ'ই চীনা। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে লক্ষ লক্ষ লোক হত্যা করেই সমাজতন্ত্র আসছে, আর তার হাত ধরে নাস্তিকতার ক্ষেত্রও তৈরী হয়েছে। আর এই অধার্মিকদের ৭৬ ভাগই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। উত্তর আমেরিকাতে মাত্র ৫% এবং ইউরোপে ১২%।
এই অধার্মিকরা যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানেও বামরাজত্ব! চেক রিপাবলিক (৭৬%), উত্তর কোরিয়া (৭১%), এস্তোনিয়া (৬০%), জাপান (৫৭%), হংকং (৫৬%) এবং চীন (৫২%)! চেক রিপাবলিকে প্রায় ৪১ বছর কমিউনিস্ট শাসনাধীন ছিল, এস্তোনিয়া ১৯৪০ সাল থেকে রাশিয়া দ্বারা দখল হবার পর প্রায় ৫০ বছর কমিউনিস্ট শাসনাধীনে, উত্তর কোরিয়াতো এখনও কমিউনিজমের লীলাভুমি! বস্তুবাদী জাপান ও হংকং এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম! নাস্তিকতা বামজাত, কিন্তু বাম নাস্তিকসহ আপামর নাস্তিকরা বাম ও নাস্তিকরে যেন তেল-জলের মতো দেখে। এই সম্পর্ক ঢাকতে তারা ভেক ধরে প্রগতিশীলতা, আধুনিকতা ও মুক্তমনার
যাক, নাস্তিকতা যেমনেই বাড়ুক (!) বাড়ছেতো। এত নাস্তিক, দিশাহীন! দিশা ঠিক করার জন্য দরকার একটা উপাসনালয়! এর জন্য একটা ভিত্তি তৈরী করা হয়ে গেছে আগেই, এথিইস্ট বাস নিয়ে লম্ফঝম্ফ কম হয় নাই, দিকনির্দেশনামূলক বইও লিখা হইতেছে। যাই হোক ওই উপাসনালয়ে থাকবে অমালিন শান্তি, ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব, আফটার অল মানবধর্মও তাই বলে! উপাসনালয় ছাড়া এগুলো যে জমে না প্রকারান্তরে সেটাই যেন তারা স্বীকার করে নিয়েছে! আর প্রতিযোগিতাটাতো ধার্মিকদেরই সাথে! ঈশ্বর ছাড়া নাস্তিকও হওয়া যায় না, উপাসনালয় ছাড়া তাদের চলবে কী করে।
তথ্যসুত্রঃ
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link
৪. Click This Link
নোটঃ আমি সদালাপে 'শামস' নামে লিখে থাকি। লেখাটি ইতিপূর্বে সদালাপে প্রকাশিত হয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




