somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অতপর সিনেমা আড্ডা, প্রকাশিত,অপ্রকাশিত অনেক কথা !!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুশকিন ভাইয়ের পোষ্ট থেকে শুরু হলো আড্ডার ভাবনা। একে একে আগ্রহ বেড়েই চললো। যখন দেখলাম অনেকে আসবে ভাবলাম প্রস্তুতি গ্রহন করি। কথাতেই কাজ। আট ঘাট কম্পপিলিট।

২৩ তারিখ।
সাথে ২ বন্ধু যারা আদৌ ব্লগার নয় তাদের নিয়ে চরম পাটপাটির সাথে রহনা হলাম ঠিক ২ টায়। ৩ টায় গিয়ে পৌছলাম। হটাত মনে হলো পুশকিন ভাইয়ের নাম্বার আনতে ভুলে গেছি। কি করি কি করি। মোবাইল খুজে পাওয়া গেল নষ্টকবি তথা রাজীব ভাইয়ের নাম্বার।

দিলাম ডাক। জানালো টি সে সি তে আস। গেলাম।

কেউ নাইক্কা।

আবার ডাক।

ছবির হাট আসো।

গেলাম। গিয়ে গোটা ৩০ মানব মানবি নৃত্যরত। আনন্দ নৃত্য।
রাজিব ভাই পরিচয় করিয়ে দিল জিসান ভাইয়ের সাথে।
সে বুকে টেনে নিল আর বললো, " এটা দিপ, এই পিচ্চি। "

আলিঙ্গন মুক্ত হতেই হেলাল ভাই। আবার কোলাকুলি।
"আপনি অনেক ছোট। আমি হেলাল।"

নিজের পরিচয় দিলেন। লোকটা অনেক অমায়িক।

সবাই গোল হয়ে বসে গেল। এত কোলাকুলি। বাইরের লোকজন ভাবছে, আজ মনে হয় ঈদ। তাই গতিময় ভিড়।

হেলাল ভাই আড্ডার মুলমন্ত্র বললেন। রুশো ভাইকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। রুশো ভাইকে দেখে মনটা ভরে গেল। দেখার খুব শখ ছিলযে......

এবার শুরু হলো পরিচয় পর্ব। একে একে সবাই সবার পরিচয় দিল। নিক এবং নাম বললো। সবাইকে চিনি দু একজন ছাড়া। মানে নিক চিনি আর কি !!!

আমি কিন্তু ।।আর,যে নিশাদের পাশেই বসা। ঐইযে টম ক্রুজের মত দেখতে যে ছেলেটা ওটাই আমি।

দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিতেই দেখি, আরজু পনি আপু নিপাত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। ওখানে কি যেন একটা ছিল। সম্মোহনবিদ্যায় পটু আজগর সাপের ন্যায় অবশ করে ফেললো আমায়। প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে মানিয়ে নিলাম। আমার কলেজের সব থেকে কড়া টক আর ২ জিবি সাইজের ঝাল ম্যাডামের মত দেখতে।

ভুল ভাংলো।

পরে শেষ হলো পরিচয় পর্ব।

আবার, আমি ছূটে গেলাম দারাশিকো ভাইয়ের কাছে।

" আরে দিপ। তুমি । অনেক ছোট। কিন্তু সাইজে আমার সমান। "

পরে কথা প্লাবনে ভেসে ভেসে রুশো ভাইয়ের দোড়গোড়ায়।
বুকে টেনে নিলেন। তার একটা ব্যক্তিগত ব্যাপারে উদ্ভাস জানালেন।

ওখানে এসেছিল, আমার প্রিয় ভাই শীবলী ভাই, রুবেল ভাই এবং তার এক বন্ধু। আমার বন্ধু মোমিন ও শাওন। সবার সাথে আমি ওদের পরিচয় করিয়ে দিলাম। প্রথমাংসে ওরা ব্যস্ত হয়ে পড়লো মুভি চালাচালি করতে ।


আড্ডা হলো শিপু ভাইয়ের সাথে। বাংলা মীডিয়া নিয়ে ঝাড়া আধা ঘন্টা দেদার কথা বললেন তিনি। তার কথা সে সিনেমা বানাবে ১৪ কোটী বাঙ্গালির জন্য।

শিপু ভাইয়ের থেকে সময় নিয়ে গেলাম অন্যদের কাছে। বেশ কয়েকজনের সাথে পরিচয় হলাম। সবার এক কথা দিপ তোমার সাকিব খানকে নিয়ে পোষ্টটা বেশ ব্যতিক্রম ছিল। এটাই বোধহয় মিডিয়ার সব থেকে টানটান পোষ্ট। ব্লগে এবার কেউ অহংকার করবে বলে জানতাম না। তুমি পারবে। এরকম আরো অনেক পোষ্ট চাই। সাকিবকে তুমি ব্যক্তিগত ভাবে চেন?


রুশো ভাই, দারাশিকো ভাই,তন্ময় ভাই,ফেলুদার চারমিনার সবাই আমার প্রশংসা করলেন।, মিথ্যা হোক আর সত্য হোক এটা আমার জন্য যে কতটা দরকার ছিল তা নিশ্চই তিনি জানেন। দারাশিকো ভাই প্রায় ৩০ মিনিট টানা লেকচার দিলেন। কিভাবে ফিল্ম বানানো যায়।

নিজের নাম্বার দিলেন রুশোভাই , দারাশিকো ভাই , শিপু ভাই, খালিদ ভাই , তন্ময় ভাই, ফেলুদার চারমিনার ভাই আরো দুই জন। তাদের নিক মনে নেই।

অনেক চাপে ছিলাম, যেখানে যাচ্ছিলাম কেউ না কেউ ডাকছিল। মাঝে মাঝে মন হচ্ছিল যে আমি সবথেকে ফেমাস।

পিঠা খাওয়া হলো। পরে চলে আসলাম।

সেরা কমেন্টঃ

১। এই ছেলে পারবে। ওরে দিয়ে সিনেমা হবে।
- কাউসার রুশো

২। দিপ সিনেমা বানাবে ভাল। কিন্তু মনে রাখবে, সব থেকে দরকার প্যাশন, ধৈর্য থাকতে হবে অজশ্র। পাগলা হতে হবে।
- দারাশিকো

৩। তুমি যদি ১০ জন সমালোচকের জন্য সিনেমা বানাও তাহলে তোমাকে সাদুবাদ। আমি বানাবো ১৪ কোটী বাঙ্গালির জন্য।
- শিপু ভাই

৪। তুমি যেভাবে সাকিবের টান নিলে, সেটা সত্যি ভয়ংকর। ব্লগের হাজারো গদামের ভয়ে এটা কেউ করেনি। তুমি প্রথম করলে।
- খেয়াল আসছেনা।

৫। সাকিব খানকে আপনার আন্তীয় ?
- খেয়াল আসছেনা।

৬। আপনার মিডিয়াফায়ারের পোষ্টটা যে আমি কত জায়গায় শেয়ার করেছি, তার ইয়াত্ত্বা নেই।
- নামটা কিছুতেই মনে করতে পারছিনা।

পুশকিন ভাই। এই লোকটাকে ভেবেছিলাম, পিচ্ছি করে একটা বালক। গিয়ে দেখি হায় হায়। কি তার গলা রে বাবা। অনন্ত মেহেদি পাতা দেখেছ ...।। টাইপ

নাফিয মুনতাসির ভাইকে দেখে খুব অবাক হলাম। ভাই এইযে এরকম ভাবতেই পারিনাই। খুব অমায়িক।


একটা মানুষের কথা না বললেই না সে হলো খালিদ ভাই। ওরফে অথৈ সাগর। এই মানুষটা যে কত মানবিক তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি যে আমাকে কতটা পছন্দ করেন আমি বুঝতে পেরে কতটা আনন্দিত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। তিনি আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছেন, পিঠা খাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তার নাম্বার দিয়েছেন এমনকি বাসায় দাওয়াত দিয়েছেন যেকোনো মুহুর্তে,।

আড্ডার যেটা সব থেকে আকর্ষনিয় ছিল সেটা হলো, অচেনা অথচ কতটা আপন একটা রেখা আমরা সৃষ্টি করে নিয়েছি। মানুষ সহজেই সব পারে। ভাল কাজ করতে সর্বোপরি একটা সাহসের প্রয়োজন হয়। আর সেজন্যেই ভাল থেকে একটু দূরে থাকি। মাত্রিতো আমাদের শুরু। একতা সময়ে হয়তো এরকম হাজারো আয়োজন আমরা করবো। আমি আমার বন্ধুরাও হয়তো হয়ে যাবে একালের জিসান, হেলাল, পুশকিন কিংবা রুশো।

পোষ্ট কিন্তু শেষ না।

আরো আপডেটিত হবে। যখন মনে আসবে আপডেট করবো আর রিপোষ্ট দিব।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×