somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতীয় সেনা অফিসার সংকট :#) B-))

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়ের আগেই অবসরে যাচ্ছেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা। গত তিন বছর ধরে, প্রতিদিনই গড়ে একজন করে সেনা কর্মকর্তা অবসরে যাচ্ছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা আগাম অবসরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বলতে গেলে, এটি একটি নিয়মে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্তের দাবী জানিয়েছেন হারিদোয়ারের বিজেপি এমপি রামেশ পখরিয়াল নিসাঙ্ক। তার লিখিত তদন্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার বিষয়টি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন। সেনাবাহিনীর পদখালীর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য নিসাঙ্ক আবেদন জানিয়েছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে রাজ্য সভায় এ ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। পারিকার জানান, আগাম অবসরের কারণে এখন সেনাবাহিনীতে ১১ হাজার কর্মকর্তার সঙ্কট রয়েছে। নিসাঙ্কের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১২ সালে ৫৬৪ জন কর্মকর্তা সময়ের আগেই অবসরে গেছেন। এর পরের বছর ২০১৩ সালে এর সংখ্যা ৪৪৮ জন। এবং চলতি বছরে আগাম অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার সংখ্যা ৩১৯ জন। আর এখন পর্যন্ত আগামী বছর ৯৭ জন আগাম অবসরে যেতে বিবেচিত হয়েছেন। এর ফলে দেখা যাচ্ছে, গত তিন থেকে সাড়ে তিন বছর প্রতিদিনই গড়ে একজন করে অবসরে যাচ্ছেন। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে ৬৬৪ জন অবসরে গেছেন। এতো অধিক সংখ্যক কর্মকর্তার অবসরে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে কে খান্না বলেন, পদোন্নতি না হওয়ায় কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট। উপরের দিকে মাত্র কয়েকটি পদই খালী আছে এবং সেগুলো মেধার ভিত্তিতেই দেয়া হয়। এর ফলেই হয়ত তারা অবসরে যাচ্ছেন এবং অন্য কাজ করছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া



ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষের ঘটনায় দেশটির সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এখন যারা জওয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করা সেনা কর্মকর্তাদের কর্তব্য।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্সে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টোনি বক্তৃতা করেন। সম্মেলনে ভারতীয় সেনাপ্রধান জানান, আইনশৃঙ্খলা ভঙের মতো ঘটনার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নীতি হবে ‘জিরো টলারেন্স।’


ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হাতাহাতির ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে। অক্টোবর মাসে মিরাটে মোতায়েন করা শিখ লাইন ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষে সেকেন্ড-ইন-কমান্ডসহ দুই সেনা কর্মকর্তা আহত হন। ভারতের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং শিখ লাইট ইনফ্যানট্রির সঙ্গে যুক্ত।
২০১২ সালের ৮ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় মোতায়েন করা সাঁজোয়া ইউনিট সিক্সটিনথ লাইট ক্যাভালরি’র এক সেনা সদস্যের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় বিদ্রোহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এ ঘটনার পর ওই ইউনিটের সব সেনা কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেয়া হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তড়িঘড়ি করে ওই এলাকায় অন্য দুটি সেনা ইউনিট পাঠানো হয়।

এছাড়া, ২০১২ সালের ১০ ও ১১ মে চীন সীমান্তবর্তী লাদাখে মোতায়েন করা ২২৬ রেজিমেন্টের জওয়ানরা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময়ের ৪৮ ঘণ্টা পর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনায় ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার, দুই মেজর এবং দুই জওয়ান মারাত্মক আহত হন। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিলে গুরুদাসপুরে মোতায়েন করা ৪৫ ক্যাভালরি ইউনিটের সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যেও হাতাহাতি হয়েছিল। এ সব ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী এরইমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছর দুইশ’র বেশি সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সূত্র : আউটলুক ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×