কেউ দাওয়াত দেয় নি
তেত্রিশটা হারামি বিয়ে করল
কেউ দাওয়াত দেয় নি।
ছেলেবেলায় প্রণয়কালে সবাই বলত
বিয়ের দাওয়াতে কত কিছু খাওয়াবো
এরপর কত বিয়ের সানাই বেজে থেমে গেল
কিন্তু সেই দাওয়াত আর এলো না
আজ অব্ধি অপেক্ষায় আছি।
লেংটাকালের বন্ধু কাদের আলী বলেছিল
বড় হতে দে আমায়,
বিয়েতে হাতিতে চড়িয়ে বরযাত্রী যাবো,
বাঘের পিঠে বসে বানর যেথায় খেলা করে।
কাদের আলী তুই আর কত বড় হবি
তোর পেটটা ঐ হাতির পেটের সমান হোৎকা হলে
তবেই কি তুই বিয়ে করবি?
একটাও বিয়ের দাওয়াত পাইনি এখনো
গায়ে হলুদে দেখিয়ে দেখিয়ে নেচেছে
ঐ পাড়ার ছেলেরা।
বলদের মত ছাদে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখেছি
নগেনের বিয়ের উৎসব।
অবিরল হরিদাভের খাঁড়ায়
রক্তবর্ণ ফুলের মালায় সেই রমণীরা
কতরকম আমোদে মেতেছে
আমার ছাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি।
নাদের আমার কাধ ছুয়ে বলেছিল
দেখিস, একদিন আমরাও।
কাদের নাদের আজ বেকার
বিয়ে করার মুরোদ নেই কারোই।
সেই বিয়ের দাওয়াত, সেই হাতির বরযাত্রী
সেই হলুদ উৎসব, আমায় আর কেউ এনে দেবে না।
হলুদ খামের চিঠিটা ছুড়ে ফেলে সরুনা বলেছিল
সেদিন আমায় প্রপোজ করতে এসো
যেদিন সত্যিকারের মরদ হবে।
মরদ হওয়ার জন্য আমি সকাল বিকাল বুকডন দিয়েছি
দুরন্ত গরুর লেজে বেধেছি লাল সুতা।
মেডিকেলে পাঁচটি বছর সাপ্লির পর সাপ্লি খেয়ে
বহুকষ্টে তুলে এনেছি পাশ
তবুও কথা রাখেনি সরুনা।
আজ সে যে কোন নারী
ঠেলবে অন্যের ঘরের হাড়ি।
কেউ দাওয়াত দেয় নি
তেত্রিশটা হারামি বিয়ে করল
কেউ দাওয়াত দেয় না।
...............
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




