somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শোকরান শোকরান ৩৫০

২৬ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২০ বছরে লাখে জীবনে প্রশান্তির উচ্ছ্বাস উপহার দিয়ে কোয়ান্টাম মেথড আজ পৌঁছেছে এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস সৃষ্টির দোরগোড়ায়। আয়োজন করতে যাচ্ছে কোয়ান্টাম মেথডের ৩৫০ তম কোর্স। এককভাবে একজন প্রশিক্ষকের পরিচালনায় জীবনকে সুন্দর করার এমন কোনো আয়োজনন সারা পৃথিবীতে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। এই শুভ মুহূর্তে আমরা পরম করুণাময়ের কাছে জানাই গভীর শুকরিয়া। কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্য হিসেবে এ সৌভাগ্যের আপনিও একটি উজ্জ্বল অংশ। সবার প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণেই আজ কোয়ান্টামের এ সাফল্য।



মেডিটেশন কী? মেডিটেশন করলে কী লাভ?

মেডিটেশন বা ধ্যান মনের এমন এক অবস্থা যখন মন অপ্রয়োজনীয় সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে নির্দিষ্ট বিষয়ে নিমগ্ন হয় এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ও নিখুঁতভাবে ব্যবহার করতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ধ্যানাবস্থায় ব্রেনে আলফা ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি থাকে অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৮-১৩ সাইকেল। তারা বলেন এই ফ্রিকোয়েন্সিতেই ব্রেন সবচেয়ে সুন্দরভাবে কাজ করে। আসলে প্রতিভার রহস্য এখানেই। আমরা যাকে প্রতিভা মনে করি, তা অলৌকিক কিছু নয়। প্রতিভা মানে ইচ্ছেমতো তৎক্ষণাৎ মনে ‘ধ্যানাবস্থা’ সৃষ্টি করার ক্ষমতা, সবার অলক্ষ্যে মুহূর্তে তন্ময় ভাবনায় নিমগ্ন হয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়ার সামর্থ্য।

আসলে ধর্মবেত্তা দার্শনিক দরবেশ ঋষি কবি সাহিত্যিক বিজ্ঞানী সবাই মনের ধ্যানাবস্থার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন, বরণীয় হয়েছেন। সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। কারণ মনই সূচনা করেছে চিন্তা বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও সভ্যতার। মনের ধ্যানাবস্থা তথা তন্ময় ভাবনার মধ্যেই আবিষ্কৃত হয়েছে বৈজ্ঞানিক সত্য। মনোশক্তির সৃজনশীল প্রয়োগে উদ্ভাবিত হয়েছে নতুন প্রযুক্তি। নীরব মুহূর্তেই সৃষ্টি হয়েছে অমর কাব্য, সাহিত্য, সংগীত। আত্মনিমগ্ন অবস্থায়ই মহাপুরুষেরা দুনিয়াকে দিয়েছেন নতুন দর্শন, ধর্ম, জীবনবিধান।

পৃথিবীর সকল বড় বড় বিপ্লবের সূচনা হয়েছে মৌনতার মাঝে মনের ধ্যানাবস্থায়। দুনিয়ায় মানুষের তৈরি দৃশ্যমান সবকিছুই প্রথম বাস্তবতা লাভ করেছে মনে।
কেন আমি কোয়ান্টাম মেথড করবো?

কোয়ান্টাম মেথড হলো জীবন যাপনের বিজ্ঞান। অর্থাৎ জীবনকে কীভাবে সুন্দর করা যায়, জীবনে ভুল কত কম করা যায়- জীবনের কাজগুলোকে কত সহজে করা যায়- জীবনের অংক কীভাবে মেলানো যায়- জীবনকে কীভাবে শান্তিময়, আনন্দ ও সাফল্যময় করা যায়। কারণ জীবনের ৫টি মৌল প্রয়োজন- ১. মানসিক প্রশান্তি ২. শারীরিক সুস্থতা ৩. আর্থিক সচ্ছলতা ৪. পারিবারিক সমৃদ্ধি ৫. আত্মিক পূর্ণতা- এই উপকরণগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে কোয়ান্টাম চেতনায় সন্নিবেশিত হয়েছে।

কোয়ান্টাম মেথড কোর্স করে একজন মানুষ যে যে উপকারগুলো লাভ করতে পারেন তা হলো:

আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব : টেনশন নার্ভাসনেস ভয়-ভীতি হতাশা বিষণ্নতা রাগ-ক্ষোভ ও বদমেজাজ থেকে মুক্তি। নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা, মানসিক প্রশান্তি ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। আমরা আমাদের কোয়ান্টাম সূত্রে বলি সমস্যা+টেনশন=সংকট। সমস্যা+মেডিটেশন=সমাধান। সমস্যা আসবে জীবনে। কিন্তু প্রশান্তভাবে কীভাবে সমস্যার মোকাবেলা করবেন সেই সূত্র আপনি পাবেন।

সম্পর্ক উন্নয়ন- ব্যক্তিগত, দাম্পত্য, পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক সম্পর্কের উন্নয়ন। ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে ঠান্ডা মাথায় সংলাপে বসা প্রয়োজন।

আত্মশক্তির বিকাশ : আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সাহস, মনোযোগ, একাগ্রতা, মানসিক দৃঢ়তা, মেধা ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি।

সুস্বাস্থ্য : রোগ নিরাময়ে মনের ক্ষমতা বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক স্বীকৃত সত্য। মনের শক্তি দিয়ে দেহের রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় ক্ষমতা বাড়িয়ে পেতে পারেন রোগ-ব্যাধিমুক্ত সুস্থ, সুন্দর, দীর্ঘ জীবন।

লেখাপড়ায় সাফল্য : জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, অখণ্ড মনোযোগ সৃষ্টি ও বিশেষ প্রক্রিয়ায় লেখাপড়ার মাধ্যমে অল্প সময়ে পড়া তৈরি, পরীক্ষাভীতি দূর ও আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষা দিয়ে অসাধারণ ফল।

অর্থ-বিত্ত-খ্যাতি-প্রতিপত্তি : ব্রেনের ডান ও বাম বলয়কে সমন্বয় এবং ব্রেনকে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে পেশাগত সাফল্য, পদোন্নতি, ব্যবসা, অভিনয়, ক্রীড়া ও জনপেশায় জনপ্রিয়তা ও অর্থ-বিত্ত-খ্যাতি-প্রতিপত্তি লাভ।

সম্পর্ক উন্নয়ন : ব্যক্তিগত, দাম্পত্য, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক সম্পর্কের উন্নয়ন, অন্যকে বোঝা ও তার উপকার করার ক্ষমতা।

বদ-অভ্যাস দূর: ধূমপান অ্যালকোহল ড্রাগ নেশা ও মাদকদ্রব্য বর্জন এবং যেকোনো বদ-অভ্যাস থেকে মুক্তি।

অতিচেতনা : অতিচেতনা, প্রজ্ঞা অর্থাৎ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, মুক্ত বিশ্বাস ও প্রশান্ত প্রত্যয়।

ইবাদতে একাগ্রতা : একাগ্রচিত্তে ইবাদত বা প্রার্থনা, দোয়া, জিকির, আরাধনা বা নামজপের মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ।
আমি কীভাবে কোয়ান্টাম মেথড শিখতে পারি?

কোয়ান্টাম মেথড ৪ দিনব্যাপী একটি কোর্স। বাংলাদেশের ঢাকায় প্রতিমাসেই অনুষ্ঠিত হয় এ কোর্স। এছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও অন্যান্য জেলাশহরেও নিয়মিত বিরতিতে কোর্স হয়। কোর্সের সময়সূচি জানতে পারবেন এখান থেকে। আর কোর্সে অংশ নেয়ার ফরম সংগ্রহ ও অন্যান্য প্রস্তুতির জন্যে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন এখানে। তবে কোর্সে আসার আগ পর্যন্ত আপনি অংশ নিতে পারেন আমাদের সাপ্তাহিক সাদাকায়ন ও আলোকায়ন প্রোগ্রামে। আর সে পর্যন্তও অপেক্ষা করতে না চাইলে ওয়েবসাইট থেকে মেডিটেশন ডাউনলোড করে এক্ষুণি বসে পড়তে পারেন মেডিটেশনে।
ধর্মের সাথে কি কোনো বিরোধ আছে?

কোয়ান্টাম মেথেডর সাথে ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। আমাদের দেশের বহু বিশিষ্ট আলেম এ কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং তারা সবাই এক বাক্যে বলেছেন যে কোয়ান্টামের কোনো সূত্রের সাথে আমাদের ঈমান-আকিদার কোনো বিরোধ নাই। বরং অধিকাংশই খুব দুঃখ করে বলেছেন যে, আমরা তো বলি হুদরিল ক্বালব ছাড়া নামাজ হয় না। নামাজের জন্যে প্রয়োজন হুদরিল ক্বালব, একাগ্রচিত্ততা। শুধু রুকু-সিজদা দিলে নামাজ হয় না। শুধু সূরা- কেরাত পড়লে নামাজ হয় না। নামাজের জন্যে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একাগ্রচিত্ততা, হুজরে ক্বালব। এই হুজরে ক্বালব কীভাবে সৃষ্টি করতে হয় এখানে এসে শিখে গেলেন। যারা এ কোর্সে অংশ নিয়েছেন, প্রত্যেক আলেম একটি কথা বলেছেন যে তাদের নামাজের একাগ্রচিত্ততা, মনোযোগ আগের চেয়ে বেশি। অতএব যারা ইবাদত-বন্দেগী, উপাসনা-আরাধনায় একাগ্রচিত্ত হতে চান কোয়ান্টাম মেথড তাদেরকে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে।
৪ দিনে কি কোয়ান্টাম মেথড শেখা সম্ভব?

অবশ্যই সম্ভব। অসংখ্য মানুষ ইতোমধ্যেই তা সম্ভব করেছেন। সহজ ও কার্যকর প্রশিক্ষণ পদ্ধতির কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতেই প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার পরেই হয় মেডিটেশন। মেডিটেশন চলাকালে প্রশিক্ষকের ধ্যানশক্তি-তরঙ্গের প্রভাবে অংশগ্রহণকারীরা সহজে মেডিটেটিভ লেভেলে পৌঁছে যান। তৈরি হয় কোয়ান্টাম চেতনা বলয়। জ্ঞান তখন শুধু শব্দ দ্বারা বাহিত হয় না, জ্ঞান ও অনুভব তখন সঞ্চারিত হয় মন থেকে মনে। কোয়ান্টাম কোর্সে মন থেকে মনে অনুভব সঞ্চারণ ও মনের গভীরে নিমগ্ন হওয়ার পরিমাণ এত ব্যাপক যে, প্রশিক্ষণার্থীরা নিজেরাই বিস্মিত হন।

কোয়ান্টাম ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ করে শেয়ার করা হলো।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×