মৃত্যুদণ্ড দেয়ার একটি পদ্ধতি হল শিরচ্ছেদ করা। ব্লগে একবার মৃত্যুদণ্ডের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে একটি পোষ্ট দেখেছিলাম।
সেখানে শিরচ্ছেদও ছিল।
আরও কিছু তথ্য জানতে পারলাম এটা নিয়ে। টাই আপনাদেরও জানাতে ইচ্ছা হল।
নিজের নিকের সার্থকতা রক্ষা করছি আর কি!
শিরচ্ছেদ 
সাধারণত শিরচ্ছেদ করা হয় ধারালো তলোয়ার বা কুড়াল (Axe) দিয়ে।

বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত অনেক জায়গায় শিরচ্ছেদ প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে কেবল সৌদি আরব, কাতার এবং ইয়েমেনে এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

শিরচ্ছেদ খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি এবং বর্তমানে প্রচলিত যে কোন মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে কম কষ্টদায়ক (Humane)

যদি তা সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়। তবে সবচেয়ে ভীতিজনক মৃত্যুদণ্ডও মনে হয় এটিই!

দণ্ডিত ব্যক্তির চোখ সাধারণত বেঁধে রাখা হয় যাতে করে কোপ নামার মুহূর্ত সে বুঝতে না পারে। মাঝে মাঝে আরেকজন লোক দণ্ডিত ব্যক্তির চুল ধরে রাখে যাতে করে সে মাথা সরিয়ে নিতে না পারে।

শিরচ্ছেদের ক্ষেত্রে জল্লাদকে দক্ষ হতে হয়। তা না হলে ব্যপারটা আর কম কষ্টদায়ক থাকে না। দক্ষ জল্লাদ সাধারণত ১-৩ টি দ্রুত কোপের মাধ্যমে মাথা ধড় থেকে আলাদা করে ফেলে। জল্লাদ অদক্ষ হলে একই জায়গায় দ্রুত একাদিক কোপ দিতে নাও পারতে পারে। পরিণতি... (কল্পনাও করতে পারছি না!

)

প্রত্যেকটা শিরচ্ছেদেরই পরিণতি Extreme Bloodshed. আলগা হওয়া ধমনী ও শিরা (আওরটা ও জাগুলার সহ) দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। মূলত এই রক্তপাতের কারণেই অধিকাংশ দেশে শিরচ্ছেদের প্রচলন নেই।


যদি দণ্ডিত ব্যক্তির মাথা এক কোপেই আলাদা হয়ে যায় তবে সে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এবং ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে সে মারা যায় শক, অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে সৃষ্ট Anoxia আর রক্তচাপ কমার কারণে। তবে ঘাড়ের পেশী এবং মেরুদণ্ডের কারণে অনেক সময়ই এক কোপের বেশী লাগে।


মাঝে মাঝে বলা হয় যে কাটা মাথার মুখ ও চোখে মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া দেখা যায়। হিসাব করে দেখা গেছে যে মানুষের মাথা কেটে ফেলার পরেও তাতে আরও ৭ সেকেন্ড চলার মতো অক্সিজেন মজুত থাকে।




এর পর অন্য কোন দণ্ডের কথা বলবো!