সিরিয়া আর ইরাকে আইএস নামক মুসলিম গোষ্ঠীর দ্বারা শোষিত হচ্ছে অন্য মুসলিমরা । আর শোষিত মুসলমানদের পাশে দাড়ানোর জন্য আরব দেশসমূহ (বাহরাইন, জর্ডান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) এর প্রতিবাদ জানিয়েছে । শুধু প্রতিবাদই না , এসব “ বড় “ মুসলিম দেশ নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অভিযানে অংশ নিচ্ছে বা অভিযানে সমার্থন দিচ্ছে । একটা মুসলিম দেশ হিসাবে এটা হয়তো ঠিক আছে অন্য মুসলমানদের পাশে থাকা । কিন্তু আই এসের হামলার প্রতিবাদ করে ঐসব মুসলিম আরব দেশ শুধু ভন্ডমী ই করেছে আর কিছু না ।
.
যখন ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল কতৃক ফিলিস্থানের উপর বর্বচিত হামলা করে হাজার হাজার নিরীহ শিশু , মহিলা ও অন্যদের হত্যা করেছে তখন ঐ সব ফিলিস্থানীদের ভাগ্যে বাহরাইন, জর্ডান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর সাহায্য তো দূরের কথা সামান্য নিন্দা জোটে নি । তখনতো তো তারা ফিলিস্থানী মুসলমানদের পাশে দাড়ায়নি ?
.
হয়তো মুসলিম ভাইয়ের চেয়ে আজ এসব বড় মুসলিম দেশের কাছে নিজেদের স্বার্থটাই বেশী বড় হয়ে গেছে । নিজের স্বার্থের জন্যই হয়তো তারা ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ করে নি কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার হামলার কঠোর নিন্দা করেছে । দিন দিন ইহুদিরা নিজেদের মধ্যে ঐক্য বাড়াচ্ছে আর মুসলিম দেশগুলো নিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে মুসলিম জাতিকেই দুর্বল করছে । আসলে প্রতিটা ব্যক্তিই স্বার্থপর না শুধু , প্রতিটা দেশই স্বার্থপর ।
.
বিধর্মীরা মুসলমানদের জন্য হয়তো ফাদ সৃষ্টি করেছে আর মুসলিম দেশগুলো সে ফাদে বার বার পা দিচ্ছে । একসময় মুসলমানদের উপর হামলা করেছে আল কায়দার কথা বলে । অথচ আল কায়দা তৈরীতে যুক্তরাষ্ট্রেরর সহযোগীতা ছিল । আর এখন আবার হামলা করছে আই এস এর প্রসঙ্গ তুলে আর আন্তর্জাতিক মহলে একটা কথা এখনও প্রচলিত আছে যে আই এসও নাকি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, ইরাকের পর এবার সিরিয়ায় আগ্রাসন চালাতে আইএসকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
## কাউকে আঘাত করার জন্য কথাগুলো বলা হয় নি তারপরও যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে দুঃখিত