সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে আ’লীগ কর্মীরা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেয়া একশ্রেণীর সুবিধাভোগীর হাতে দেশজুড়ে হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ। সংখ্যালঘুদের মধ্যে যারা দুর্বল তাদের জায়গা-জমি, ঘরবাড়ি, মন্দির, শ্মশান, সমাধিক্ষেত্র থেকে শুরু করে ভিটেমাটি, সহায়-সম্বল দখল ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ওইসব সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে। অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা হবে; কিন্তু বাস্তব ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, এখন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতেই বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। গত বছরের ৬ জানুয়ারি মহাজোট সরকার গঠনের কয়েকদিন পর থেকেই দখল প্রক্রিয়া ও নির্যাতন শুরু হয়ে এখনও অব্যাহত রয়েছে। মারধর, শ্লীলতাহানির পাশাপাশি আগুনে পুড়িয়ে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি। এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে নালিশ জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। কোনো কোনো এলাকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা নির্যাতিতদের সহযোগিতার বদলে দলীয় দখলবাজ সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলা ও নির্যাতনের তালিকায় কয়েকটি স্থানে পুলিশের নামও রয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত হিন্দু ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা ঢাকায় এসে বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন করেও এসব অভিযোগ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনগুলোর একটির ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নৌকার কাণ্ডারী ও মাঝিমাল্লা কর্তৃক হামলা, মামলা, নির্যাতন ও বাপ-দাদার ভিটে-ভূমি, সহায়-সম্পত্তি জবরদখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।’ এসব সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত হিন্দুরা স্পষ্ট করে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই তাদের জমি, বাড়ি দখলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এর মধ্যে অনেককে নির্যাতনের মাধ্যমে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারদলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্যকেও তারা অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তারা আরও বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছিল। তবে এ সময় তাদের দেশ বা এলাকা ছেড়ে যেতে হয়নি, এখন পালিয়ে থাকতে হচ্ছে বা দেশান্তরী হতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচারের জন্য কমিশন গঠন করেছে। অথচ তারই বিপরীতে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের হাতে জমিজমা, ভিটেমাটি, সহায়-সম্বল হারিয়ে সংখ্যালঘুদের দেশান্তরী কিংবা উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাবে, ২০০৯ সালে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনে ৫৬৯ জন এবং ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ৬১ জন আহত হয়েছে। চলতি বছরের ৯ মাসেও নির্যাতনের শতাধিক ঘটনা ঘটেছে।
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(
আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
লুঙ্গিসুট
ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=
©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন
সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা
এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।
স্বৈরশাসকের বন্দী
এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন