
সকালে উত্তরায় কিছু কাজে গিয়েছিলাম। কাজ বেশী হওয়ায় বিকেল হয়ে যায় ফিরতে ফিরতে। যাহোক কাজ শেষে বাসে উঠলাম বাসায় ফিরবো বলে। কিন্তু গাড়ি যেন চলতে চাইনা। একটু আগাচ্ছে তো আবার থেমে যাচ্ছে। পেটে ক্ষুদা নিয়ে বাসে উঠায় মেজাজ বিগড়ে যায়। ক্ষুদার জালায় টিকতে না পেরে বাস থেকে নেমে একটি হোটেলে ভাত খেলাম। হোটেল থেকে বের হয়ে লক্ষ্য করলাম জ্যাম আরো বেড়েছে। ভাবলাম কিছুক্ষন হেটে সামনে গিয়ে বাসে উঠবো। হাটতে হাটতে হটাৎ নজরে পড়লো একটি এমবুলেন্স এর। সাইরেনের শব্দ বেজে যাচ্ছে অনবরত, কিন্তু কোনমতেই সামনে যাওয়া যাচ্ছেনা। একটি লোক সামনে থেকে গাড়ি সড়ানোর নিস্ফল চেষ্ট্রা করে যাচ্ছে। কাছাকাছি পৌছলে লক্ষ্য করি ভিতরে এক মা কাঁদছে একটি মেয়ের গায়ে হাত রেখে আর বাহিরের ছেলেটিকে বলছে ও হাসান এখন কি হবে? মুনিয়ার ব্যাথা মনে হয় আরো বেড়েছে....হাসান আবার চেস্ট্রা করো এমবুলেন্সটাকে সামনে এগুতে কিন্তু এবারো ব্যার্থ। জানতে পারলাম ভিতরের মেয়েটা সন্তান সম্ভবা এবং সম্ভবত সে প্রসব বেদনায় ছটপট করছিলো....যাহোক আমি সামনে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট কে ব্যাপারটা জানালে তিনি বলেন "কিছু করার নেই...প্রধানমন্ত্রী আসছেন তাই রাস্তায় এত ভীড়, সবাই উনাকে বরন করতে এসেছেন....ব্লা ব্লা....." ভাই মেজাজ হারিয়ে তাকেই বলে ফেললাম আজকে যদি এটা আপনার বউ হতো কি করতেন?? উত্তর না দিয়ে সে অন্যদিকে ফিরে থাকলো......নিজকে জগৎ এর সবচেয়ে অসহায় মনে হচ্ছিল তখন। কিছ ভেবে না পেয়ে ভগবানের কাছে মেয়েটার জন্য আশির্বাদ করে সেখান থেকে চলে এলাম।
কিন্তু সেই বোনটির চটপট করার সেই দৃশ্যটি বারবার চোখের সামনে ভাঁসছে আর মনে মনে প্রশ্ন জাগছে, আজকে এই অবস্থায় যদি প্রধানমন্ত্রীর পুত্রবধু জয় কিংবা মেয়ে থাকতো তাহলে সেখ হাসিনা কি করতেন?? যারা দেশের মানুষের জীবনে সহজ এবং সাচ্ছ্যন্দ করবেন বলে ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসেছে তারা কেন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করছে??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




