এ সময় সপ্তপদী মার্কেট থেকে নামতে গিয়ে যুবদল গোয়ালগাড়ী আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহন শেখ ছাত্রদল-শিবির কমর্ীদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে মার্কেটের দক্ষিণ পাশে নিয়ে বেধড়ক মারধরের পর গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষণে ঘটনাস্থলেই মোহনের মৃতু্য হয়। তখন হত্যাকারীরা লাশের পাশে আনন্দ-উল্লাস করে। পরে পরিচয় জানার পর তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোহন শহরে সুলতানগঞ্জপাড়ার আজাদ শেখের ছেলে। তার মৃতু্যতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরে শহরের সাতমাথা থেকে ককটেল হামলায় জড়িত সন্দেহে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কল্যাণী গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমানকে (28) আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। ঘটনার সময় আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। দুপুরে ময়নাতদন- শেষে মোহনের লাশ নিয়ে যুবদল নেতাকমর্ীরা শহরে মিছিল বের করে। পরে দাফনের জন্য তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস-ান-র করা হয়। নিহত মোহন শেখ সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকে খুঁজছে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্বে উন্নীত হয়েছিল। সে একজন সম্ভাবনাময় গায়ক ছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে মোহনের মৃতু্যর পর সাতমাথায় ছাত্রদল-শিবিরের সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য 14 দলকে দায়ী করেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওরা যুবলীগ কমর্ী সন্দেহে নিজ দলের নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, সংঘাত এড়াতে 14 দল প্রায় 4 কিলোমিটার দূরে বনানী এলাকায় সমাবেশ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিকাল 5টায় এ খবর পাঠানোর সময় পর্যন- থানায় কোন মামলা হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



