লক্ষেèৗ (ভারত), জানুয়ারি ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- বুকার পুরস্কারজয়ী বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদি যেন ভারতে ঢুকতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে দেশটির মুসলিম স¤প্রদায়ের নেতারা। তবে রুশদির ভ্রমণে বাধা দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জয়পুর সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে চলতি মাসে রুশদির ভারত আসার কথা রয়েছে। এটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ সাহিত্য উৎসব বলে পরিচিত।
ভারতীয় মুসলিম স¤প্রদায়ের নেতাদের এই দাবির মধ্যদিয়ে রুশদির বিরুদ্ধে কয়েক দশকের পুরনো বিতর্ক আবারো উস্কে দেওয়া হলো।
১৯৮৮ সালে রুশদি তার উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’র জন্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হন। অনেক মুসলিম মনে করেন, উপন্যাসটিতে ইসলাম ধর্মকে হেয় করা হয়েছে। এরই জেরে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ‘ফতোয়া’ ঘোষণা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
এরপর দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন রুশদি।
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের মতো ভারতেও এখনো নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ওই ফতোয়া জারির পরও ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদি বেশ কয়েকবার কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভারতে ভ্রমণ করেছেন। কমনওয়েলথ রাইটার প্রাইজ গ্রহণের জন্য ২০০০ সালে এবং ২০০৭ সালে জয়পুর সাহিত্য উৎসবেও যোগ দিয়েছিলেন।
ভারতের মুসলিম স¤প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য নেতা মৌলানা খালিদ রশিদ রয়টার্সকে বলেন, “ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে প্রত্যেক স¤প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আর সে কারণেই এই ধরনের কোনো মানুষকে (রুশদি) এই দেশে আসার অনুমতি দেওয়া উচিৎ হবে না।
তার এই মন্তব্যের প্রতিধ্বনি পাওয়া গেছে দেশটির ইসলামধর্মীয় অন্যান্য নেতাদের কণ্ঠেও।
তবে এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন রুশদি। তিনি বলেছেন, ভারতে আসার জন্য তার কোনো ভিসার প্রয়োজন নেই।
রুশদির পার্সন অব ইন্ডিয়ান অরিজিন (পিআইও) কার্ড রয়েছে। এই কার্ডধারীরা ভারতে যেকোনো সময় কোনো ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, “পিআইও কার্ডধারীদের কোনো হয়রানি ও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভারতে ভ্রমণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ কারণে রুশদিকে ভারতের সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের কাছেই ভ্রমণের জন্য ছাড় নিতে হবে না। রুশদি আগেও এই কার্ড নিয়ে ভারত ভ্রমণ করেছেন। আমরা কখনোই তাকে বাধা দেই নি। পিআইও কার্ডধারী কাউকে তার নিজ দেশে ভ্রমণে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমাদের নেই।”
আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি ভারতের ঐতিহাসিক জয়পুর শহরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসবে রুশদির অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে তার ‘মিডনাইটস চিল্ড্রেন’ উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার পান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/সিআর/১১২৯ ঘ. বুকার পুরস্কারজয়ী বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদি যেন ভারতে ঢুকতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে দেশটির মুসলিম স¤প্রদায়ের নেতারা। তবে রুশদির ভ্রমণে বাধা দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জয়পুর সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে চলতি মাসে রুশদির ভারত আসার কথা রয়েছে। এটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ সাহিত্য উৎসব বলে পরিচিত।
ভারতীয় মুসলিম স¤প্রদায়ের নেতাদের এই দাবির মধ্যদিয়ে রুশদির বিরুদ্ধে কয়েক দশকের পুরনো বিতর্ক আবারো উস্কে দেওয়া হলো।
১৯৮৮ সালে রুশদি তার উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’র জন্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হন। অনেক মুসলিম মনে করেন, উপন্যাসটিতে ইসলাম ধর্মকে হেয় করা হয়েছে। এরই জেরে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ‘ফতোয়া’ ঘোষণা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
এরপর দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন রুশদি।
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশের মতো ভারতেও এখনো নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ওই ফতোয়া জারির পরও ভারতীয় বংশোদ্ভূত রুশদি বেশ কয়েকবার কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভারতে ভ্রমণ করেছেন। কমনওয়েলথ রাইটার প্রাইজ গ্রহণের জন্য ২০০০ সালে এবং ২০০৭ সালে জয়পুর সাহিত্য উৎসবেও যোগ দিয়েছিলেন।
ভারতের মুসলিম স¤প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য নেতা মৌলানা খালিদ রশিদ রয়টার্সকে বলেন, “ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে প্রত্যেক স¤প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আর সে কারণেই এই ধরনের কোনো মানুষকে (রুশদি) এই দেশে আসার অনুমতি দেওয়া উচিৎ হবে না।
তার এই মন্তব্যের প্রতিধ্বনি পাওয়া গেছে দেশটির ইসলামধর্মীয় অন্যান্য নেতাদের কণ্ঠেও।
তবে এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন রুশদি। তিনি বলেছেন, ভারতে আসার জন্য তার কোনো ভিসার প্রয়োজন নেই।
রুশদির পার্সন অব ইন্ডিয়ান অরিজিন (পিআইও) কার্ড রয়েছে। এই কার্ডধারীরা ভারতে যেকোনো সময় কোনো ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, “পিআইও কার্ডধারীদের কোনো হয়রানি ও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভারতে ভ্রমণের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ কারণে রুশদিকে ভারতের সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের কাছেই ভ্রমণের জন্য ছাড় নিতে হবে না। রুশদি আগেও এই কার্ড নিয়ে ভারত ভ্রমণ করেছেন। আমরা কখনোই তাকে বাধা দেই নি। পিআইও কার্ডধারী কাউকে তার নিজ দেশে ভ্রমণে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই আমাদের নেই।”
আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি ভারতের ঐতিহাসিক জয়পুর শহরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসবে রুশদির অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে তার ‘মিডনাইটস চিল্ড্রেন’ উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার পান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/সিআর/১১২৯ ঘ.