বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
প্রথম কথা হল কুরান বিজ্ঞানের ধার ধারেনা । এরপরও যখন অবিশ্বাসীরা বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছু মানতে নারাজ তাই বিজ্ঞানের আলোকে পবিত্র কুরআনকে বিশ্লেষন করা যাক । যদিও আমাদের বিশ্বাসীদের কোন প্রয়োজন নায় বিজ্ঞান দিয়ে মহান গ্রন্ত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞান পবিত্র কুরআনকে প্রমান করার।
আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে কোরানের কিছু আয়াতের সামাঞ্জস্যঃ
১.মানুষ সৃষ্টি পানি দিয়ে।[সুরা ফুরকান;৫৪]-
আধুনিক বিজ্ঞান এটার সাথে একমত ।
২.মানুষকে ৩টি স্তরে সৃষ্টি করা হয়েছে।[সুরা জুমার;৬]
মেডিকেল সায়েন্স বলছে ভ্রুন মায়ের পেটে ৩টি স্তরে আস্তে আস্তে বড় হয় ।
৩.ভ্রুন ১১ ও ১২তম পাজরের হাড়ের মধ্যে থেকে বড় হয়।[সুরা তারিক;৫-৭]
মেডিকেল সায়েন্সে এটা প্রমানিত ।
৪.নঘন্য পরিমান মিস্র শুক্রানো থেকে সৃষ্টি হয় মানুষ।[সুরা সাজদাহ;৮]-
মেডিকেল সায়েন্সের মতে বলে শুক্রানোর কিছু অংশ থেকে মানুষ
সৃষ্টি হয়।
৫.আল্লাহ সমস্ত জীব-জন্তু সৃষ্টি করেছেন পানি দিয়ে।[সুরা নুর;৪৫]-বিজ্ঞান ও এই কথাই বলছে।
৬.পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।[সুরা নাযিয়াত;৩০]
আজকের আধুনিক বিজ্ঞান বলছে পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার না, বরং একটু চাপট (কমলালেবুর মত) আর উট পাখির ডিমও কমলালেবুর মত। অর্থাৎ,পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত।
৭.মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল।[ সুরা যারিয়াত;৪৭]-
বিজ্ঞানীরা একমত । এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নায় ।
৮.আমি(আল্লাহ্) আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ। [সুরা আম্বিয়া;৩২]-
বিজ্ঞান আমাদের বলছে বায়ুমন্ডল এর ওজন স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে সুরক্ষন করে। কোরানে এই ওজন স্তর এর কথা বলছে।
৯.সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করে।[সুরা আম্বিয়া;৩৪]-
বিজ্ঞান কিছু বছর আগেও মনে করত সূর্য স্থির,কিন্তু মডার্ন সায়েন্স বলছে সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ পথে বিচরণ করে, যা কোরআন প্রায় ১৪০০ বছর আগেই বলেছে।
১০.সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবর্তন করে।[সুরা রদ/ রাদ;০২]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত।
১১.আল্লাহ্ বায়ু প্রেরন করেন,ফলে তা মেঘমালাকে সঞ্চালিত
করে।[সুরা রুম;৪৮]
-বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত।
১২.ভ্রুন দেখতে জোঁকের মত। [সুরা আলাক;১-২]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত । প্রফেসর কিথমুর এটি প্রমান করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “এটি আমার বলতে কোন আপত্তি নেই যে এই কোরআন আল্লাহর বানী এবং নবী মুহাম্মাদ আল্লার রাসুল”(সাঃ)
১৩.চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো। [সুরা ফুরকান;৬১]-
বর্ত মান বিজ্ঞান এর সাথে একমত। চাঁদের আলো ধার করা ।
১৪.পরমানুর ক্ষুদ্র কনা রয়েছে।[সুরা সাবা;৩]-
বর্তমান বিজ্ঞান এর সাথে একমত । ক্ষুদ্র কনা গুলো হল ইলেকট্রন,প্রোটন ,নিউট্রন।
পবিত্র কোরানে এরকম বহু আয়াত আছে ।
উপরের তথ্যগুলো বিজ্ঞান মাত্র ২০০-৩০০ বছর আগে প্রমান করেছে কিন্তু কোরআনে তা লিখা হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। যেহেতু ১৪০০ বছর আগে কোন মানুষ
এসব তথ্য জানতো না সেহেতু কোন মানুষের পক্ষে এসব লিখা সম্ভব না ।
কোরআন মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয় । এই কোরআন আমাদের স্রষ্টার বানী যিনি এই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।তার পরও যারা কোরানকে আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করে না তাদের ক্ষেত্রে আমি কোরআনের এই আয়াতটা বলবোঃ
“তারা অন্ধ তারা বধির,তারা দেখেও দেখে না শুনেও শুনে না”
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




