স্কুল জীবনে ভাইভা তেমন একটা না দিলেও কলেজ লাইফ এ ভাইভার গ্রুপ ম্যাচ আর এখন ভার্সিটি লাইফ এ ভাইভার ফাইনাল ম্যাচ খেলতেসি। ভাইভার প্রথম ডেলিভারি মোকাবেলা করি আমি যখন ক্যাডেট কলেজ এ ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেলাম। আমাকে জিজ্ঞেস করল আমার আব্বুর নাম কি? আমি বলসি আমার বড় কাকার নাম কারন আমি তাকে বড় আব্বু ডাকি। যা ই হোক আমাকে ক্যাডেট কলেজ এর মাঠে আর ব্যাট করা লাগে নাই,ভাইভাতে আমি বাদ। স্কুল জীবনে ল্যাব ভাইভা আমার কাছে
পা দিতে গোলকিপিং করার থেকে ও কঠিন মনে হতো। রসায়ন ল্যাব ভাইভা দিবো প্রস্ততি কেমন টা বুঝাতে একটা উদাহরন ই যথেষ্ট। ভাইভার তিন দিন আগে ফাইনাল পরীক্ষায় পটাশিয়াম এর সংকেত p আর ক্যালসিয়াম k লিখসি। স্যার আমাকে পেয়ে খুব মজা নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ওজোন এর সংকেত ,আমি প্রশ্ন শুনে দাঁত বের করলাম বাইচা গেসি সহজ জিনিস জিজ্ঞেস করসে আমি রসায়ন এ ওজোন খুজে না পেয়ে ফিজিক্স থেকে ধার নিয়ে বললাম' স্যার ওজোন এর সংকেত m (ফিজিক্স এ ভর m তাই )। কলেজ এ ভাইভা ছিল বিভীষিকাময়,স্যাররা ছিল নিখাদ ফাস্ট বোলার, স্ট্যাম্প সোজা বল না খেলে উপায় নাই । ভার্সিটি লাইফ এ ভাইভা মানে সব চিকন বুদ্ধির স্যার, প্রশ্নের মাঝে ই রহস্য থাকে, সবুজ বেটা বাজারে যায় পথে ঘাটে চিমটি খায় এই টাইপ প্রশ্ন । এই রকম প্রশ্ন দেখে শুনে মোকাবেলা করা, সব থেকে ভাল না খেলে ছেড়ে দেয়া। অথবা আকাশের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকা যে এই প্রশ্ন লাইফ এ প্রথম শুনলাম। আমতা আমতা করলে খবর আছে repeat ছাড়া গতি থাকবে না । ফাস্ট ইয়ার এ ভাইভায় স্যার জিজ্ঞেস করলেন ১ হন্দর কতো গ্রাম?হন্দর নামে যে কিছু থাকতে পারে ওটা তখন জানলাম এই প্রশ্নের জনক বাসার স্যার। ওনার
একটা সিস্টেম আছে তিনি কখন ও ই উত্তর এর অপেক্ষা করেন না। পারলে ও তিনি কানে শুনেনা না পারলে ও শুনেনা। ভাইভাতে দুসরার জনক হল তড়িৎ স্যার , স্যার এর প্রশ্ন উত্তর দেয়া মানে কুমির এর মাথায় হাত দিয়ে দেখা যে কুমির টা মরা না জীবিত। থার্ড ইয়ার এ নাকি সজল স্যার পুড়া কাপায়ে দেন কিন্ত তিনি তখন আস্ত্রেলিয়া তে থাকায় ওয়াসিম আকরাম কে সবুজ পিচ এ মোকাবেলা করার হাত থেকে বেচে গেলাম। আস্ত্রেলিয়ার যে ভার্সিটিতে তিনি গেছেন ঐ ভার্সিটির ভিসি যে ভাল মানুষ
তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কামাল স্যার এর ভাইভা হল পুড়া টা ই হাই থট সায়েন্স ফিকশন ,যার রহস্য কামাল স্যার বাদে কেউ জানে না। তবু ভাইভা দিয়ে যাই । সেন্ট্রাল ভাইভার প্রথম দিন repeat পেলে ২য় দিন repeat দেয় না এই আনন্দ নিয়ে ঘুমায় থাকি। এটা ও কম মজার না । কুয়েট লাইফ এর শেষ সেন্ট্রাল ভাইভার দার প্রান্তে এখন ত স্যাররা শুধু ফুলটস বল করবে এই আনন্দ যেমন আছে
তেমনি আছে কষ্ট হায়রে হয়ত আর সেন্ট্রাল ভাইভার repeat খেয়ে দুই হাত তুলে আঙ্গুলএ ভিক্টরি সাইন দিয়ে বলব না ' দোস্ত কিচ্ছুই পারি নাই সব স্যার repeat'