somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শব্দকাহন ...

১২ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন আর শব্দ দেখতে পাই না। শব্দ খুঁজে পাই না। জানালার ভাঙা কাঁচটার মধ্য দিয়ে হু হু করে আসা হিম বাতাসের মতই শব্দরা বেরিয়ে গেছে অন্য কোনও এক চোরা ফাটল দিয়ে।
চোরা ফাটলে হঠাৎই হয়ত চমকে যায় কোনও আলো। আবারো অন্ধকার। ফাটলটা হারিয়ে ফেলি। শব্দরা আবার পালাতে থাকে।
অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই। সবদিক শূণ্য। হাতে ঠেকে না কিছুই। শব্দেরা হারিয়ে গেছে। শব্দ অথবা অক্ষর অথবা যতি চিহ্ন আর সাদা স্পেসের বিরতি কিংবা বিন্দু, তিনটা ডট । অদৃশ্য হয়েই আবার হয়ত শব্দেরা ফিরে আসছে পর্দার আড়ালে । এদিকে পর্দাটা স্বচ্ছ হতে গিয়েও হতে পারছে না। অর্ধস্বচ্ছ অবস্থাতেই ফেরত পাঠাচ্ছে শব্দগুলোকে। শব্দগুলোকে পর্দার আড়াল থেকে বের করতে পর্দায় ফুটো করা দরকার আর এজন্য চাই সুঁচাগ্র ছেদন যন্ত্র । অথবা তার চেয়েও ছোট, চায়ের লিকার বাঁধা থাকে যে ব্যাগে, তার মত । ব্যাগেপোড়া চা-পাতার মত শব্দগুলোকে বন্দী করে ছেড়ে দেই টগবগে ফুটন্ত কেটলীর ভেতরে । কিংবা কেটলীর নলের বাষ্পতে ক্রমশ সিক্ত হওয়া শব্দগুলোকে দেখবো কাঁচা সোনা অথবা ধূসর কিছু রঙ ছড়াতে।

*

অদৃশ্য এক লাইনে অদ্ভুত এক রেলগাড়ি চলছে। বগির সংখ্যা অনির্দিষ্ট। ছোট ছোট স্কয়ার, রেক্ট্যাঙ্গুলার বাক্স চেপে তৈরি হচ্ছে এক একটি বগি। বগিগুলোকে বিচ্ছিন্ন দেখা গেলেও আসলে কিন্তু বিচ্ছিন্ন নয়। একসাথে বেশকয়েকটি মিলে তৈরি হচ্ছে গাড়ি।
চলছে গাড়ি। কখনো উলটো তীরের বাক্স চেপে বগিগুলোকে অদৃশ্য করে ফেলা হচ্ছে। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে রেলপথ অসমাপ্ত। তখন অসমাপ্ত পথ থেকে দিক পরিবর্তন করে আবার নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছে গাড়ি।


চলছে গাড়ি,
কুঁ ঝিক ঝিক শব্দ তুলে
ভাবনাগুলো দিচ্ছে পাড়ি।



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×