এবারের সিটি নির্বাচনে সবচেয়ে ‘হাস্যকর’ বিষয়টি ছিলো মার্কা নির্বাচন। মুলা, মিষ্টি কুমড়া, শিলপাটা, টিস্যু পেপার বক্স, বয়াম, ভ্যানিটিব্যাগ, ফ্রাইংপ্যান, ও কাটা চামচ এর মতো অদ্ভুত ও হাস্যকর সব প্রতীক। এসব মার্কা দিয়ে নির্বাচন কমিশন চরম মেধাশূণ্যতার পরিচয় দিয়েছে বৈকি! অনেকটা অমানবিক এর পর্যায়ে চলে যায়। আম-জাম, কাঠাল দিলেও খারাপ হতো না। তামাসার তো একটা সীমা থাকে। নাকি?
আর ক’ঘন্টা পেরোলেই নির্বাচন। শুরু হবে ভোটগ্রহণ। বলতেই হয়, বাংলাদেশ ভোটবিপ্লব নির্ভর একটি দেশ। এখানে যেমন যোগ্যতার কোনো বাছবিচার হয় না ঠিক তেমনি ভালো মানুষদেরও কদর হয় না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এটিই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। বিজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে গণতন্ত্র’ই পারফেক্ট। বাকি মতবাদগুলো এদেশে কাল্পনিকই থেকে যাবে। অথবা ক্ষণভঙ্গুর। যদিও ইসলামিস্টরা মনে করেন, গণতন্ত্রের বাইরে গিয়ে গণদাওয়াতের মাধ্যমে সর্বশেষ গণআন্দোলন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব। তবে সেটা সময় সাপেক্ষ। আপাত ‘গণতন্ত্রই একমাত্র পথ’ একথা মানতে সবাই একমত।
ভোট কাকে দিবেন? কাকে দিলে কাক কাকা করবে না। সেটা বুঝার ক্ষমতা আছে বলেই আপনি নাবালক না অথবা ভোটার। আমার ভোট অমি দেবো যাকে ইচ্ছা তাকে নয়; যোগ্য দেখে দিবো ভোট/পক্ষ দিয়ে হবো জোট। একটি দেশ বা জাতির জন্য পূর্বের ইতিহাসের কোনো বিকল্প নেই। ইতিহাসের শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির সুদিন ফিরে না। অতীতে দেখেছি পাস করার পর শাসকরা শোষণে ব্যস্ত। মরিয়া হয়ে উঠে দূর্নীতিতে। ইশতেহারের কথা বেমালুম ভুলে যায়।
প্রজন্ম! সুযোগ এবার আপনার হাতে। সময় এসেছে পাল্টাঘাত দেয়ার। এ সময় নিজের। এ সময় ভাগ্যের। পরিবেশবান্ধব, সুশৃঙ্খল, দূর্নীতিমুক্ত, যানজটমুক্ত, আবালমুক্ত, ক্লিন ও শান্তির শহর গড়ে তুলতে পারেন আপনিই। সৎ, যোগ্য, আদর্শ প্রার্থী’ই যেনো হয় আপনার আমানত কা নিশানা। খেয়ানত যেনো না হয়। প্রমান করুন আগামীকালের ভোটবিপ্লবের মাধ্যমেই। শুভ হোক সিটি নির্বাচন।