দুই বছর আগে সিডন্স দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যেই কথা বলা হচ্ছিল সেটা হল বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবং তার দায়িত্ব কালে বাংলাদেশ দল অভূতপূর্ব সাফল্য দেখায় বিশেষত উইন্ডিজ আর নিউজিল্যান্ড সফরে। আর জিম্বাবুইয়ে তো ডাল ভাতে পরিনত হয়েছিল আগে থেকেই।আর ফ্লুক হিসেবে অপরাজেয় জায়ান্ট বধ। অন্যান্য কোচ থেকে সিডন্স যেটা ভালো পেরেছিলেন তা হল খেলোয়ার দের আস্থায় এনে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আদায় করে নেয়া আর তার গাইডেন্স টেকনিক। ফলে এই এমেচার ও অনভিজ্ঞ দলটি উন্নতি করছিল তার দর্শক দের প্রত্যাশার গ্রাফ কে ঊর্ধ্বমূখী করে। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য জে প্রস্তুতি দরকার ছিল তা কি হয়েছে .। চলুন একটু ভেবে দেখি
যে টীম সিডন্স এর হাতে গড়ে উঠছিল তাতে অভিজ্ঞরা ছিলেন আশরাফুল, কাপালী, মাশরাফী , নাফীস, আফতাব আর উঠতি দের মাঝে তামিম, সাকিবুল, মাহমুদুল্লাহ, নাঈম, মুশফিক ।পেস বোলার এর সংকট ছিলো তবে তার কিছুটা সমন্বয় হয় শাফিউল এর ভারিয়্যাশন আর রুবেল এর দ্রুত গতি র মাধ্যমে । বলা যায় বাংলাদেশের হিসেবে চলন সই বোলিং লাইন আপ।
বেশ ভালো প্রত্যাশা জাগিয়েছিলো দলটি। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বুঝি সঠিক দিকেই অগ্রসর হচ্ছে তারুন্য আর অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে। তবে মাঝখানে সাইক্লোনের মত আইসিএল এ নাফীস, আফতাব আর কাপালীর মত ট্যালেন্টের চলে যাওয়া ভুগিয়েছে দলটিকে। কিন্তু টীম স্পিরিট এর কারনে দল ক্রমাগত উন্নতি করতে থাকে, বড় দল গুলোকে হাড়িয়ে সমীহ আদায় করে।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে তারুন্য নির্ভর দলের প্রথম প্রাধান্য হতে পারে ইন্ডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট প্লাস এক্সপেরিয়েন্স( অর্থাৎ যোগ্যতা আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়)। ট্যালেন্ট এর কোন অভাব দলে ছিল না এখনও নেই এটা সর্বজন স্বীকৃত। সবচেয়ে বেশী যার অভাব তা হল অভিজ্ঞতা। আইসিএল বিতর্ক ছেড়ে আমাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত ছিল দেশের ও দলের স্স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া অর্থাৎ আফতাব, কাপালী , নাফীস কে বিবেচনা করা। তবে তা করা হল না। অভিজ্ঞ দের বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ দল গঠনে এগিয়ে যাওয়া হল।
বিস্বকাপ পূর্ব ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে নতুন দের প্রাধান্য স্পস্ট করে দেয় নতুন দের নিয়েই গথন হচ্ছে বিশ্বকাপ দল।বিশেষত নিউজিল্যান্ড কে হোয়াইটওয়াশ করার পর নিশ্চিত হয় অভিজ্ঞ দের অবহেলাই করা হচ্ছে। বলে রাখা ভাল ট্যালেন্ট আর এক্সপেরিয়েন্স এর পরের বিবেচনা অবশ্যই হওয়া উচিত পারফরম্যান্স এবং ধারাবাহিকতা।
এই চারটি দিক এর সাথে ব্যালান্সড একাদশ( সাম্ভাব্য) গড়া র জন্য সমন্বয় করা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যা না হওয়ায় পাকিস্তানের সাথে পরাজয় এবং যার প্রভাব থাকতে পারে পুরো বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সেই।
সাম্ভাব্য ১৫ জন যারা হতে পারতোঃ
১।তামিম ইকবাল ১/২ নং এ ব্যাক আপ। জুনায়েদ সিদ্দিকি
২। ইমরুল কায়েস
৩।শাহরিয়ার নাফীস
৪। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
৫। মুশফিকুর রাহিম
৬। সাকিব আল হাসান
৭।অলোক কাপালী
৮। মাশরাফী বিন মরতুজা
৯। সফিউল ইসলাম
১০। আবদূর রাজ্জাক
১১। রুবেল হোসেন
পেস ব্যাক আপ ১। নাজমুল হোসেন
২। সৈয়দ রাসেল
মিডল অর্ডার ব্যাক আপ ১। রাকিবুল হাসান
আরোও যাদের দেখে নেয়া যেতঃ ১। আফতাব আহমেদ ২। মোহাম্মদ আশরাফুল ৩। জহিরুল ইসলাম ৪। সাহাদাত হোসেন। ৫। নাঈম ইসলাম ৬। সোহরাওয়ারদী শুভ
এই একুশ জন কে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শেষ তিনটি সিরিজে খেলানো উচিত ছিল যাতে সকলকেই দেখে নেয়া যেত। প্রস্তুতি ম্যাচের আগে আরেকটি সিরিজ আয়োজন করা গেলে ভালো হত।
বিঃ দ্রঃ আমার একাদশে আবেগ কে প্রাধান্য দেয়া হয় নি। অভিজ্ঞতা, পারফরম্যান্স, যোগ্যতা, ধারাবাহিকতাকে মূল্যায়ন করার চেস্টা করা হয়েছে।