দারিদ্রক্লিষ্ঠ ও কঠোর জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়া রুদ্র ও পাষান সন্ত্রাসী ডেভিড। বোস্টন, বুচার, আপ এই তিনজন কে সাথে নিয়েই ডেভিড এর গ্যাং প্রতিরাতেই হানা দেয় শহরে ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে । একদিন ওদের হাতে খুন হয় এক বৃদ্ধ । এ নিয়ে ছোট বেলার সঙ্গী ও বন্ধু বোস্টনের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় ডেভিড। বন্ধুকে আঘাত করে বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় ডেভিড। পথে তার কাছে লাঞ্চিত হয় এক ভিক্ষুক। শহরতলীতে গাড়ি ছিনতাই করে, কোথায় যাবে সে? হঠাৎ গাড়ির ভেতর শুনতে পায় বাচ্চার কান্না। কি করবে ডেভিড??- ফিরিয়ে দিয়ে আসবে নাকি নিজের কাছে রাখবে দিশা না পেয়ে গাড়ি ফেলে রেখে বাচ্চাটাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। সবই পারে ডেভিড হুমকি, মারধর , গুন্ডামী সবই তার নখদর্পণে কিন্তু বাচ্চা নিয়ে কি করবে সে? এব্যাপারে সে নিতান্ত্যই আনাড়ী
বাচ্চাটাকে নিয়ে ডেভিড এর নানবিধ ব্যাস্ততার মধ্য দিয়ে ছবির কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। এরই সাথে পালটে যেতে থাকে দক্ষিন আফ্রিকার বস্তিতে বড় হওয়া, নিগৃহীত গুন্ডা ডেভিড এর মানসিকতা। এই নতুন সত্বার উপস্থিতি তার প্রত্যহ জীবনেও পরিবর্তন নিয়ে আসে। সে বুঝতে পারে শিশু লালন পালন করা তার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই মিরিয়াম নামে এক নারীর দারস্থ হয় সে। এমনই নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ছবিটি এগিয়ে যেতে থাকে। অসাধারন ক্লাইমেক্সের মধ্য দিয়ে মানব হৃদয়ের গভীরতম উপলব্ধি স্পর্শ করার চেস্টায় পরিচালককে সার্থক বলতেই হয়।
৭৭তম অস্কার উৎসব এ বিদেশী ছবির কোটায় পুরুস্কার প্রাপ্ত ছবিটির আই এমডিবি রেটিং ৭.৪/১০।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:১৫