ক্লাস টু-এর এক ছাত্র। ইংরাজি ক্লাস, কম্পিউটার ক্লাসের পড়া তার এক্কেবারে ভাল লাগে না। পেনসিল বক্সটাকে গাড়ি বানিয়ে সে খেলতে থাকে। পড়াকে তার কাছে কী করে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন বা সময় নেই শিক্ষকের। ঝামেলা এড়ানোর সহজ পন্থা হিসাবে প্রায় রোজই তাকে ক্লাসের বাইরে বার করে দেওয়া হয়। সাত বছরের ছেলে স্কুলের বাগানে, মাঠে ঘুরে বেড়ায়। পড়ার থেকে সেটা তার কাছে অনেক বেশি ভাল লাগার। তাই পরের ক্লাসে সে ইচ্ছা করে বদমায়েশি করে, যাতে টিচার তাকে আবার বার করে দেন। সেটাই তার কাম্য এসকেপ রুট।
আর একটি ছেলে, ক্লাস থ্রি। পড়াশোনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে। সর্বসমক্ষে ক্লাস টিচার তাকে সম্বোধন করেন ইডিয়েট হনুমান মাথামোটা ইত্যাদি বিশেষণে। ইউনিট টেস্টে ছেলেটি প্রায় কিছুই লিখতে পারে না। এক ইনোভেটিভ শাস্তি বার করেন শিক্ষক। সহপাঠীদের বলেন, বোর্ডে বড় বড় করে লিখে দিতে, ‘অমুক ইজ আ ব্যাড বয়।’ এবং নির্দেশ দেন, সারা দিন বোর্ডে এই লেখাটা থাকবে। মোছা হবে না। ভিতরে ভিতরে অপমানে, অভিমানে তলিয়ে যেতে থাকে ছেলে। সেখান থেকে জন্মায় বিদ্রোহ। ‘হ্যাঁ, আমি ব্যাড বয়। কেউ আমাকে ভালবাসে না, বাসতেও হবে না। ব্যাডই থাকব আমি। গুড হব না। আরও আরও ব্যাড হব।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




