পেপার হিসাবে আমার জন্ম হলেও ভাগ্যদোষে, কপালের ফেরে আমি আজ টয়লেট পেপার। আগে আমাকে টয়লেটে নিয়ে যেত আর টয়লেট সীটে বসে আমাকে মনযোগ দিয়ে দেখতো। এখন আমাকে টয়লেটে রাখে আর সময়মতো শৌচকার্য সম্পন্ন করে ওয়াসার পাইপে চালান করে দেয়ে। টয়লেটের স্যাঁতস্যাতে, ঘিনঘিনে পরিবেশে থাকতে থাকতে, জন্মসূত্রে পাওয়া আমার শ্বেত-শুভ্র চেহারা আজ হলদেটে হয়ে গেছে। তাই অনেকে আমাকে হলুদ পেপার বলে।
তাছাড়া শৌচকার্যে ব্যবহারে আমার চেহারা আসলে কিছুটা হলদে হয়ে গেছে। আমার মনে অনেক দুঃখ, অনেক ক্ষোভ। কাঁদতে-কাঁদতে আমার এক চোখ অন্ধ। আমি এখন এক চোখা। আমি একরোখা। আমার মনে যা লয়, তাই লিখি। আমি গোলাপিরে ভালবাসি। আমি তার সুখে হাসি, দুখে কাঁদি।
আমি লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলি, কিন্তু নিজে মেনে চলিনা। এটা আমার দোষ নয়। আমার যে এক চোখ নাই। আমি চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফতকে ভালবাসতাম। তাই এখন পেপার হিসাবে থাকতে ভাল লাগেনা। এখন আমি ধারা ভাষ্যে আছি।
পোড়া লাশের গন্ধযুক্ত আকাশ, থুক্কু। যানজটমুক্ত মাঠ, মাঠের পাশে পাবলিক টিয়লেট। আমারা এখন সেখানে আছি। সাথে আছেন পন্টু ভাই।
____উনি ঠিক টয়লেটের সামনে।
____আজ উনার পেট ভাল নেই।
____বদনা হাতে!
____ না না ঠিক বদনা নয়!
____লোটা হাতে!
____মনে হচ্ছে টয়লেটে যাবেন না!
____আজ বোধ হয় পেট ভাল আছে।
____রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাবেন।
____রাস্তায় অনেক বজ্জাতের দল।
____না না উনি বাসায় গিয়ে ঘুমাবেন।
আজ এখানে শেষ। আগামীকাল আবার দেখা হবে।
বিঃ দ্রঃ- রস আলুর মত একটু রস বানাতে গিয়ে কষ বানিয়েছি। স্রেফ মজা করতে গিয়ে দেখছি অনেকের মাজা ভেঙ্গে যাচ্ছে। দুঃখিত, দুঃখ নিবেন না। আমাদের জাতীয় দৈনিক গুলোর এই অবস্থা। এটি মুদ্রার একদিন, অপরদিকেও গন্ধ। ওটা রেখে দিলাম, কারণ আমিও যে এক চোখা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২