রবীন্দ্রনাথ ও চিনির রস
রবীন্দ্রনাথ রস নিয়ে কী কী লিখছেন, এই নিয়ে আমাদের গবেষনা এখনো শেষ হয়নি। আপাতত আমরা রসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান চিনি নিয়ে তিনি কী লিখেছেন , আপনাকে জানাই।
মরিস সাহেব শান্তিনিকেতনে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা পড়াতেন। একদিন তিনি তাঁর ছাত্র প্রমথনাথ বিশীকে(বিখ্যাত নাট্যকার) বললেন, ”গুরুদেব সুগার বা চিনি বিষয় একটা গান লিখেছেন। গানটি খুবই মিষ্টি হয়েছে। ”
প্রমথনাথ বিশী বললেন, ” সুগার নিয়ে গান লিখলে তো মিষ্টি হবেই। গানটা কী রকম একটু গেয়ে শোনান তো !
মরিস গাইতে লাগলেন – ” আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী, তুমি থাক সিন্ধুপারে…।”
প্রমথনাথ বিশী হেসে বললেন, ” গানটাতে বেশ ক চামচ চিনি দিয়েছেন গুরুদেব। তাই একটু বেশি মিষ্টি হয়েছে। তবে এই চিনি যে সুগার, সেটা আপনাকে কে বলল ? ”
কে আবার। স্বয়ং গুরুদেব আমাকে বলেছেন, ”মরিস শোন, আমি সুগার নিয়ে একটা গান লিখেছি।”
বোনাস মজা
মার্ক টুয়েন
মার্ক টুয়েনের লাইব্রেরিখানা নাকি দেখবার মত ছিল। মেঝে থেকে ছাত পর্যন্ত বই, বই, শুধু বই। এমনকি কার্পেটের উপরও গাদা গাদা বই স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে থাকত—পা ফেলা ভার। এক বন্ধু তাই মার্ক টুয়েনকে বললেন, ‘বইগুলো নষ্ট হচ্ছে; গোটাকয়েক শেল্ফ যোগাড় করছ না কেন?’
মার্ক টুয়েন খানিকক্ষণ মাথা নিচু করে ঘাড় চুলকে বললেন, ‘ভাই, বলেছ ঠিকই—কিন্তু লাইব্রেরিটা যে কায়দায় গড়ে তুলেছি, শেলফ তো আর সে কায়দায় যোগাড় করতে পারি নে। শেলফ তো আর বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার চাওয়া যায় না।’ শুধু মার্ক টুয়েনই না, দুনিয়ার অধিকাংশ লোকই লাইব্রেরি গড়ে তোলে কিছু বই কিনে, আর কিছু বই বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার করে ফেরত্ না দিয়ে
---সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬