শাহাবাগ এর গণজাগরণ নিয়ে অনেক লেখা পড়লাম। ভালোও লেগেছে। কিন্তু আমি কিছু লেখা দেখেছি ফেসবুক ও সামুর ব্লগে
যেখানে বলা হয়েছে আন্দোলনের ইস্যু যদি আওয়ামীলীগের বিপরিতে থাকত তাহলে তারা কোনোভাবেই এরকম করতে দিতোনা।
এছাড়া এরকম ধরনের আরো অনেক কথা। যাই হোক তাদের কথার সাথে আমি একমত পোষণ করলাম কিন্তু তাদের কে একটা
কথা বলতে চাই মানুষ আন্দোলন কোনো দলের ইস্যুকে কেন্দ্র করে করছেনা। এটা আমাদের সবার চাওয়া।
আমি এই আন্দোলন থেকে কিছু ভবিষ্যৎ দেখেছি যা আমার আত্মাকে তৃপ্ত করেছে।
প্রথমত আমার যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে
সাধারন মানুষ আন্দোলন করতে শিখলো অন্তত। আমরা তো একরকম আন্দোলন করা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমরা শাহাবাগের আন্দোলন থেকে
বুঝতে শিখলাম যে গণআন্দোলনই অধিকার আদায়ের একমাত্র পথ। এখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারে রাজ পথে নেমেছি হয়তো এমন এক সময়
আসবে তখন বিশ্বজিৎ, পদ্মা সেতু, হলমার্ক, এর মত ইস্যুগুলো নিয়ে জনগন এরকম গণআন্দোলনে নেমে পড়বে। কেউ মানুক আর না মানুক
আমি মানি যে এই গণজাগরণ আওয়ামীলীগ এবং বি,এন,পি সবার মনেই একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এটাই আমাদের দরকার। অন্তত ভবিষ্যতে
জনগন একটা জাতীয় ইস্যুতে যেকোনো সময় রাজপথে নামতে পারে এই ধারণা দুই দলই পেয়ে গেছে।
দ্বিতীয়ত আরেকটি বিষয় যা আমাদের অতীব জরুরি ছিল তা এই জাগরনের মাধ্যমে হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়ে যারা
এখন ৭ থেকে ৮ বছরের হবে তারা "জয় বাংলা" আর "রাজাকার" সম্পর্কে ধারনা মনে গেথে নিলো। এছাড়া স্কুল পড়ুয়া, কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও
আরও ভালো ভাবে জানল, চিনলো। এই কচি মন গুলোকে আমরা এক ঝাটকায় বুঝিয়ে দিলাম মুক্তিযুদ্ধ কি, রাজাকার আলবদর কি, এছাড়া
তাদের মনে বপন করলাম আন্দোলনের বীজ। এরা আজ থেকে ১৫ বছর পর তরুন হয়ে উঠবে আর প্রয়োজনে ডাক দিবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে
গনজাগরনের। কারন আমরাই তাদের শিখিয়েছি।
ধন্য শাহাবাগ, ধন্য গণজাগরণী সকল মানুষ।
জয় বাংলা, রাজাকারদের ফাঁসী হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫