somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ মুজিব যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, তার প্রমাণ দাবী করেছেন দেলোয়ার

২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
খন্দকার দেলোয়ার তার তীর্যক বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য নিন্দিত ও নন্দিত। গতকাল তিনি প্রশ্ন তোলেছেন এবং আহ্বান জানিয়েছেন শেখ মুজিব যে স্বাধীণতা ঘোষণা করেছেন, তার প্রমাণ দিতে। গত দু বছর যাবত আমি নিজেও প্রমাণ খোজ করছি। কিন্তু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণার স্বপক্ষে প্রত্যক্ষ কোন প্রমাণ নেই। নীচে ২৫ ও ২৬ মার্চের একটি নিঘন্ট দেয়া গেল।
২৫ মার্চঃ

সন্ধ্যা ৬টা শেখ মুজিব দেখা করেন তারেক আলীর পিতা ও রেহমান সোবহানের সাথে।

সন্ধা ৭টার মধ্যে শেখ মুজিব ২৭ মার্চ আহ্বান করেন হরতাল ও এ বিষয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন সর্বত্র। ফজলুল হক মনি সন্ধ্যায়ই চলে যান টুঙ্গিপাড়া।

রাত ৮টায় এইচ.এম. কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে চলে যান যার যার গন্তব্যে।

রাত ৯টায় শেখ কামাল সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান।
রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শহরে বিভিন্ন ব্যারিকেডের নিকট পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে শুরু হয় জনগণের মুক্তিযুদ্ধ।

রাত সাড়ে ১০টায় আসেন পূর্ব পাকিস্তান শিপিং কর্পোরেশনের এমডি ক্যাপ্টেন রহমান, নৌবাহিনীর দুজন প্রাক্তন কর্মকর্তা কমান্ডার ফারুক ও লে. মতিউর রহমান।

রাত ১১টায় আসেন সিরাজুল আলম খান, আ.স.ম.আব্দুর রব ও শাজাহান সিরাজ। তারা শেখ মুজিবের সাথে কথা বলে কিছুক্ষণ পর চলে যান।

রাত ১১ টার কিছু পর আসেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রধান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি শেখ মুজিবের সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে আত্মগোপন করার অনুরোধ জানান।

রাত ১১.৩০ মিনিটে আসেন ঝন্টু (জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা জাকারিয়া চৌধুরীর ভাই)। ঝন্টু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানী সৈন্যদের অপারেশন সার্চলাইটের নৃশংস হত্যা ও ধ্বংস যজ্ঞ ঘটানো শুরু করার কথা অবহিত করে। ঝন্টুর বর্ণনা শুনে শেখ মুজিব ‘হাসিনা, রেহানা ও জেলীকে নিয়ে’ ভাড়াকৃত ফ্লাটে চলে যেতে বলেন এবং তারা
৩২নং রোডের বাসা ত্যাগ করে চলে যান।

রাত ১২টায় পাকিস্তানী সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার সর্বত্র। শুরু হয় তুমুল প্রতিরোধ যুদ্ধ।

২৬ মার্চ রাত ১টায় পাকিস্তানী সৈন্যরা শেখ মুজিবের বাসায় অভিযান শুরু করে এবং আধঘন্টার মধ্যে শেখ মুজিব তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শেখ মুজিবের সাথে যাদের দেখা হয়েছিল, তাদের কাউকে শেখ মুজিব বলেন নি যে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছেন বা উদ্যোগ নিয়েছেন বা প্রয়োজন হলে করবেন।
সেক্ষেত্রে দেলোয়ার যে দাবী করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে যারা বিশ্বাস করেন যে শেখ মুজিব সত্যই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন, জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটানোর জন্য তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেশ করা উচিত বলে মনে করি। শেখ মুজিব নিজেও স্বাধীনতা ঘোষণার কোন প্রমাণের বিষয় উল্লেখ করে থাকলে তাও জাতির নিকট প্রকাশ করা উচিত।

এ প্রসঙ্গে আমার একটি অনুসন্ধানী পোস্ট ছিল। কারো কৌতুহল হলে দেখতে পারেন "১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের শ্বাসরুদ্ধকর সাড়ে ৭ ঘন্টা : স্বাধীনতার ঘোষণা ও কতিপয় বিভ্রান্তি
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩
৩৮টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×