somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিঃ আমার অভিজ্ঞতা । পর্ব ৬ ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পর্বে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কয়রা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। যারা পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করবেন। তো বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করলেন, এর পর শিক্ষকদেরও খুঁজে বের করলেন কার কাছে ইমেইল করবেন। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা তালিকা করা দরকার - Ambitious, Moderate এবং Safe এই তিন ভাগে। Ambitious বলতে বুঝানো হচ্ছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেগুলোতে আপনার নিজের প্রোফাইল বিবেচনায় ভর্তির সম্ভাবনা ১০-২০%, Moderate হলো যেখানে সম্ভাবনা ৫০-৬০% এবং Safe মানে যেখানে আপনি আবেদন করলে ভর্তি হবেই। একটু বলি, এই হিসাব পুরোটাই আমার নিজের করা, কোনো তথ্যসূত্র নাই :P

আসুন দেখে নেই কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই তিন ভাগে ভাগ করবেন। এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি যেমন সিজিপিএ, GRE-TOEFL/IELTS নম্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং ইত্যাদি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাঙ্কিং এবং ছাত্র/ছাত্রী গ্রহনের হার (Acceptance rate) দেখে নিন আগের পর্বে দেয়া লিঙ্ক থেকে। যদিও এই গ্রহনযোগ্যতার হার আপনার ভর্তি প্রক্রিয়ায় তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না কিন্তু এই হার দেখে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একটু ধারণা পেতে পারেন। এইবার চলে আসুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট এ। প্রথমে গ্রাজুয়েট স্কুল এর পেজ এ ঢুকুন। দেখে নিন তাদের প্রয়োজনীয় শর্তগুলো আর তাদের আবেদনের ফিস। এরপর চলে যান যে বিভাগে ভর্তি হতে চান সেই বিভাগ এর পেজ এ। এখানে বলে রাখা উচিত, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রতিটি বিভাগের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত থাকে, তাই আপনার কাঙ্খিত বিভাগের শর্তগুলো জেনে নেয়া দরকার। এই কাজ গুলো করলে মোটামুটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে ধারণা পেয়ে যাবেন কোনটাকে কোন ভাগে রাখবেন।

এখনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় কোন ভাগে যাবে? একটু অপেক্ষা করুন, একটা ধারণা হলো মাত্র। আপনার প্রোফাইল দেখুন। এরপর সিদ্ধান্ত নিন। আসুন একটি প্রোফাইল দেখি (আমার নিজের :P) এবং এরউপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় ভাগ করি।

সিজিপিএ : আন্ডারগ্র্যাড ৩.৯৮, গ্র্যাড (এমএস) ৪.০০।
GRE-IELTS : ৩০৭ (১৫০, ১৫৭, ৪.০) , ৭.0।
গবেষনার পূর্বঅভিজ্ঞতা : প্রায় ৫ বছর।
প্রকাশিত গবেষনাপত্র : ৮।

এই চারটি প্রধান বিষয়, তাই এই চারটিই উল্লেখ করলাম। এই গবেষনার বিষয়ভিত্তিক অনুসন্ধান এর পর ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মেলে। এর মধ্যে কয়েকটি হলোঃ হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, জন্স হপকিন্স, ইউসি ডেভিস, ইউসি রিভারসাইড, ইউসি আরভাইন, জর্জিয়া, মিশিগান স্টেট, পেনস্টেট, নটরডেম, ম্যারিল্যান্ড কলেজপার্ক, ভার্জিনিয়া টেক, ওকলাহোমা নরম্যান, নিউ মেক্সিকো ইত্যাদি।

এখন তালিকা করতে হবে। আসুন তালিকা করি। Ambitious: হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, জন্স হপকিন্স, ইউসি ডেভিস, জর্জিয়া, Moderate: ইউসি রিভারসাইড, ইউসি আরভাইন,মিশিগান স্টেট, পেনস্টেট, নটরডেম, ম্যারিল্যান্ড কলেজপার্ক, ভার্জিনিয়া টেক এবং Safe: ওকলাহোমা নরম্যান, নিউ মেক্সিকো। এই তালিকার সাথে শিক্ষকদেরও তালিকাটা করে ফেলুন। এরপর একেকজনকে মেইল করা শুরু করুন (এই বিষয়ে আমি মনে করি একটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার, আগামী পর্বে)।

একটু খেয়াল করুন। আমরা বেশিরভাগই শুধু GRE-TOEFL/IELTS এর উপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করি। যেটা মোটেই ঠিক নাহ। এই ধারণা থেকে বের হোন। এই ধারণার কারনেই অনেকেই তার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভালো বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হতে পারে না। আপনার সিজিপিএ এবং GRE-TOEFL/IELTS একটি আরেকটির সম্পূরক।

(চলবে...)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×