somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতার ৪০ বৎসর পর নির্মিত হতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর- এই গৌরবের স্থাপনায় আপনিও একজন গর্বিত অংশীদার হউন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বৎসর পর সবার সহযোগীতায় নির্মিত হতে যাচ্ছে আমাদের সবার গৌরবের “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর” । আগামী ৪ঠা মে-২০১১ইং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। আগারগাঁওস্থ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিটিউটের পাশে জাদুঘর ট্রাস্টের অনুকুলে বরাদ্দ প্রাপ্ত ০.৮২ একর জমিতে গড়ে উঠবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আধুনিক এই স্থাপনা।


এই উপলক্ষে গত ২৬শে এপ্রিল-২০১১ইং, মঙ্গলবার, বিকাল ৪টায় ৫নং সেগুন বাগিচাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গনে “নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিল সংগ্রহ” এর উপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সাথে দাতাদের কাছ থেকে অনুদানও গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জনাব এইচ.টি.ইমাম।


এ ছাড়াও এই অনুষ্টানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টিগণের মধ্যে জনাব আসাদুজ্জাম নূর, জনাব ডা. সারওয়ার আলী, জনাব আক্কু চৌধূরী ও জনাব মফিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক গ্রহণ করা হয়।
বক্তৃতায় জনাব এইচ.টি.ইমাম দেশের জনগনকে স্বতঃর্স্ফূত ভাবে এই স্থাপনা নির্মাণে আর্থিক সহযোগীতা করে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।


ট্রাষ্টি আসাদুজ্জামন নূর তাঁর বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বাঙ্গালীরা স্বতঃর্স্ফূত ভাবে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ঠিক তেমনি প্রাণের টানা তাঁরা আবারো এগিয়ে আসবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে নিজের বোধ থেকে।

ফেইসবুক গ্রুপ “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিল সংগ্রহ অভিযান” এর পক্ষ থেকে ট্রাস্টিদের কাছে নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সর্ম্পকে কিছু প্রশ্ন বা তথ্য জানতে চাওয়া হলে ট্রাষ্টি জনাব ডা. সারওয়ার আলী ও জনাব আক্কু চৌধূরী.প্রশ্ন গুলোর প্রতি উত্তরে বলেন-

প্রশ্ন-১: প্রজেক্টের কাজ হবে থেকে শুরু হচ্ছে?
—> আগামী ৪ঠা মে-২০১১ইং সকাল ১০:৩০মিনিটে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

প্রশ্ন-২: প্রজেক্ট শেষ হতে আনুমানিক কত দিন সময় লাগবে?
—> আনুমানিক ৩ বৎসর।

প্রশ্ন-৩: প্রজেক্টের আনুমানিক নির্মান ব্যয় কত ধরা হয়েছে?
—> ১০০ কোটি টাকা।

প্রশ্ন-৪: এই নির্মান ব্যয়ের কত টাকা এ পর্যন্ত সংগ্রিহিত হয়েছে?
—> প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

প্রশ্ন-৫: প্রজেক্ট নির্মান তহবিল সংগ্রহ পর্যন্ত কতদিন চলবে?
—> অবশ্যই শেষ পর্যন্ত চলবে এবং পরর্বীতে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্যও অনুদান গ্রহণ করা হবে।

প্রশ্ন-৬: নতুন জাদুঘর নির্মান কাজ শেষ হলে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য টাকার উৎস কী কী?
—> টিকেট, দাতাদের অনুদান, সরকারী অনুদান ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৭: নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মানের জন্য যুদ্ধাপরাধী সংশ্লিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করা হবে কিনা?
—> এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা উভয়ে দৃঢ়তার সাথে বলেন এটা চিন্তা করার কোন অবকাশ নেই, এই গৌরবের সাথে যুদ্ধাপরাধী সংশ্লিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তিকে জড়ানোর কোন প্রশ্নেই আসেনা।

:) অনুদান গ্রহণের কয়েকটি ছবি


:) মনিপুর টি কোম্পানীর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকগণ


:) “কোডা” কলেজের পক্ষে তাঁদের নিজস্ব প্রতিনিধি


:) টকশো উপস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যক্তিগত অনুদান


:) ট্রাষ্টি আসাদুজ্জামন নূরের সাথে আমি এবং পিছনে দাতাদের একাংশ।

:) এই অনুষ্ঠানের বিটিভি সংবাদ দেখুন এখানে

:) বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অবস্থা
১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ৫, সেগুন বাগিচায় স্বল্প পরিসরের একটি ভাড়া বাড়ীতে ৮জন ট্রাষ্টির উদ্যোগে বর্তমান জাদুঘরটি গড়ে উঠে। বর্তমান জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মাত্র ১৪০০ স্মারক প্রদর্শিত হচ্ছে কিন্তু সংগ্রহ ভান্ডারে জমা আছে আরো ১৫,০০০ এরও বেশী স্মারক, যাহা শুধু স্থান সংকুলনের অভাবে প্রদর্শন সম্ভব হচ্ছে না।

এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্থায়ী জাদুঘর নির্মানের জন্য ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্ধ পায় জাদুঘর ট্রাষ্ট। ২০০৯ সালে এক উন্মুক্ত স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড নতুন স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নকশা নির্বাচন করেন।
বাংলার জনসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে যেমন আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি তেমনি জনসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত সহয়তায় নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা ইতিহাস নিয়ে একটি স্থাপনা “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর”।

:) কি ভাবে সাহায্য প্রদান করবেন

:) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মানের জন্য প্রদত্ত যে কোন অংকের অনুদান বা অর্থ-সাহায্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্ব-সম্মানে গ্রহণ করবে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে এছাড়াও বড় ধরনের অনুদান বা অর্থ-সাহায্যের জন্য কিছু অপশন রয়েছে নির্ধারিত ফরম পূরন সাপেক্ষে, যেমন:-

:) পৃষ্ঠপোষক সদস্য : ৫০ লাখ বা তার বেশির ক্ষেত্রে।
:) স্থাপনা সদস্য : ১৫ লাখ টাকা।
:) উদ্যোক্তা সদস্য : ৩ লাখ টাকা।
:) আজীবন সদস্য : ১ লাখ টাকা।
:) একটি প্রতীকী ইট ক্রয়: ১০ হাজার টাকা।
:) সাধারণ সদস্য : ২ হাজার টাকা।

:) এছাড়া ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,১০০,৫০০, ১০০০ যে কোন অংকের টাকা নিম্নোক্ত হিসাবে জমা দেয়া যাবে।

অনুদান বা অর্থ-সাহায্য জনতা ও ব্র্যাক ব্যাংকের নিম্নোক্ত হিসাবে জমা দেয়া যাবে

১. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ
এসটিডি হিসাব নং-৩৬০০০৪০৮
জনতা ব্যাংক লিমিটেড, তোফখানা রোড শাখা, ঢাকা।
(এছাড়া বাংলাদেশ ও বিদেশস্থ জনতা ব্যাংকের সকল শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে)

২. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ
এসটিডি হিসাব নং-১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান-১ শাখা, ঢাকা।
(এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের সকল শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে)

আপনি সরাসরি বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ৫ নং সেগুন বাগিচায়ও নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ-সাহায্য জমা দিতে পারেন অথবা বসুন্ধরা সিটির ৭ম তলায় “দেশীদশ” ফ্লোরের যে কোন দোকানে আপনার সাহায্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন।

:) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সর্ম্পকে আমার পূর্বের পোষ্ট:- সবার সহযোগীতায় নির্মিত হবে নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর- আপনিও এগিয়ে আসুন
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×