রংপুরে এক হিন্দু বাড়িতে আগুণ
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এবং এরই
প্রাসঙ্গিক ঘটনায় ২০০০ জনের
বিরোদ্ধে দুইটা মামলা, পুলিশের গুলিতে
একজন নিহত, বিশজন আহত ও ৫৩
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত একটা ফেইসবুক
পোস্ট। স্থানীয় জনগণ দাবী করছে যে
টিটু নামের এক হিন্দু ছেলে ফেইসবুকে
ধর্মকে অবমাননা করে পোস্ট দেয়।
রংপুরের লালচাঁদপুর গ্রামের এক মুদি
দোকানদার ঐ ছেলের বিরোদ্ধে মামলা
করে ২৯ অক্টোবর। অতঃপর সাত
নভেম্বর স্থানীয় জনগণ বিক্ষোভ
মিছিল করে, এবং পরিশেষে ১০
নভেম্বর এই লোমহর্ষক ঘটনা!
.
এই ঘটনায় মনে কয়েকটা প্রশ্ন উঁকি
দিয়েছে। জানি উত্তর পাব না, তবু
প্রশ্নগুলো উত্থাপন জরুরি।
১. পুলিশ বলছে টিটু ধর্মকে অবমাননা
করে কোনো পোস্ট দেয়নি, তবে পোস্ট
কে দিয়েছে, এটার কি কোনো তদন্ত
পুলিশ করেছে?
২. যদি এমন কিছুই না ঘটে, তবে এত
বড় একটা ঘটনা ঘটে কী করে?
৩. ২৯ তারিখ টিটুর বিরোদ্ধে মামলা
হয়, ঘটনা ঘটে ১০ তারিখ, মাঝের
বারো দিন পুলিশ মামলাটাকে কিভাবে
দেখেছে এবং এ নিয়ে কতটা অগ্রগতি
করেছে?
৪. একটা বৈদ দাবী (ধর্ম অবমাননা
কারীর বিচার) নিয়ে আট-দশ হাজার
মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, পুলিশ তাদের
দাবী মানার বদলে ডিরেক্ট গুলি
চালালো কেন?
৫. পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করার পরই
বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ হিন্দু
বাড়িতে আগুন দেয়, তবে আগুন দেবার
ঘটনার পূবেই কেন পুলিশ জনতাকে
এতটা হিংস্র রূপ দেখালো?
.
এবং পরিশেষে, ৬. আমজনতা/মুসলমান
ভাইয়েরা, কোথাও কোনো সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কি একটা
বলেছে, আর তাতেই গা মাখিয়ে লগি
নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে কেন? কেন
হিন্দু বাড়িতে আগুণ দেওয়া হলো? এ
কোন প্রকৃতির ঈমানী দায়িত্ব পালন
করেছেন?
এই অবস্থার পরিবর্তন কি হবে না?
প্রশাসনের কাছে কি ধর্মিয়
অবমাননার বিচারের আইন বা কোনো
দায়ভার নেই?
এমন অসংখ্য প্রশ্ন শুধুই...??