somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিন্তু এরা, এরা কি এই মসজিদ এর দালাল?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেক দিন কোথাও বেরুনো হয় না। ঠিক কোথাই যাবো সেটাই ঠিক করে উঠতে পারিনা। মনে হল কাছেই কোথাউ থেকে ঘুরে আসি। আমাদের বাসা থেকে খুবই কাছে একটা ঐতিহাসিক মসজিদ আছে। লোকমুখে শোনা যায়; এটা নাকি ১৫০-২০০ বছর আগের মসজিদ। এবং এটা নিয়ে একটা বিশেষ ঘটনাও প্রচলিত আছে। অনেকই বলে এই মসজিদ নাকি একরাতে হয়েছিলো। মানে মাটি ফুড়ে একরাতে তৈরি হয়েছে। সবার মুখে মুখে সোনা গল্প এটা। সবাই তাদের বাবা-দাদার, প্র দাদার মুখে শুনে আসছে এই গল্প। রাতে সবাই ঘুমিয়ে থাকলো। আর সকালে দেখল একটা সম্পূর্ণ পাকা মসজিদ!! সেই ১৭০০ সালের দিকে রাজমহল গুলাতে যেমন হাতের কারুকাজ করা সেই ধাঁচের কাজ করা এই মসজিদে। এই মসজিদটা কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অন্তর গত ঝুউদিয়া গ্রামে অস্থত।
এই মসজিদ কে কেন্দ্র করে অনেক আগে থেকে অনেক নিয়ম প্রথা চালু আছে। এখানে প্রতি জুম্মার(শুক্রবার) দিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। কেউ এখানে আসে নামাজ পড়তে, কেউ আসে মাযারে, কেউ আসে তাদের ইচ্ছে পূরণের আশায়। বিভিন্ন সমস্যায় মানুষ বিভিন্ন রকম বস্তুর বিনিময়ে আল্লাহ্‌ কাছে দোআ চাইতে আসে। একটু সাবলীল ভাবে বললে, বলা যায়; স্বপ্নে দেখা বা বিপদের দিনে আল্লাহ্‌ কাছে “মানত” করা হয় এই মসজিদ কে কেন্দ্র করে। অনেকেই অনেক ধরণের পশু যবায় করে এখানে নিয়ে আসে। বা অনেকই নিয়ে এসে যবায় করে। তাঁরপর রান্নাবানা করে খেয়ে বাড়ি ফিরে। আর এভাবেই প্রতি শুক্রবার মসজিদ প্রাজ্ঞনে গণমানুষের ঢল নামে।


শুক্রবারের দিন এখানকার স্থায়ী মানুষ গুলা নিজেদের রান্নাবান্না করে না(লোকমুখে শোনা)। অনেক মঝার ঘটনাও ঘটে এখান; যেমন অনেকেই এখানে জীবিত পশু দিতে আসেন। মাজার প্রাঙ্গণে একটা মুরগী ছেড়ে দিলে; একটু পরে দেখা গেল স্থানীও কেউ সেই মুরগী ধরে নিজের করে নিলো। আবার এমনও হয় ওই মুরগী দিয়ে ব্যাবসাও হয়। ওখানে মুরগী কিনতেও পাওয়া যায়। মানে একই মুরগী ঘুরে ফিরে আসে।
আমি মসজিদ বা মাজার নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না। ও ব্যাপারে আমার জ্ঞান অতি সামান্য। কিন্তু একটা ব্যাপার আমার কাছে খটকা লেগেছে। ঠিক আমি তাদের কি বলে ডাকবো জানি না। কি নাম দিবো তাঁদের। আচ্ছা গল্পটা আগে বলি।
আমি গত শনিবার গেলাম সেখানে। উদ্দেশ্য মসজিদ দেখা। আসলে শুকবারে গেলে তো ঠিকমতো কিছু দেখা যায় না; তাই শনিবারে গেলাম। মসজিদের কাছে নামতেই একজন লোক আমাদের কাছে আসলো।
বাবাজী কেমন আছেন?
_হ্যাঁ...ভালো আছি।
এইযে এদিকে আসেন, কল আছে হাত মুখ ধুয়ে একটু ঠাণ্ডা হন।
_ জী...মানে... ... ...
বাবাজীরা কি অনেক দূর থেকে আসলেন?
_না এইতো আমাদের বাড়ি খুব কাছেই। (আমাদের একজন বুদ্ধি করে বলল)
এইযে দ্যাখছেন, আল্লাহ্‌ ঘর। এক রাত্তির মুদি এই ঘর তয়ার হয়ছি। সে দুই-তিনশো বছর আছের কথা।
_জী, আমারও শুনেছি একটু একটু। এইবার শুরু করলেন ইলামের ধর্মের জানা কিছু কমন কথা। সাধারণভাবে সবাই জানে এই কথাগুলা। ও লোকটি বয়স ৪৫ এর বেশি হবে না। মুখে দাড়ি নেই। পরনে শার্ট লুঙ্গি। খুব বেশি সময় চালাতে পারলেন না ধর্মের কথা। কারণ তাঁর জানার পরিধি শেষ হয়ে আসছিলো।
বাবা আপনিরা মজ্জিদের ভেতরে দেখবেন না? কি সুন্দর হাতের কাজ করা আছে। না দেখলি বিশ্বাসই হবি না।
_এইতো আমার দেখেছি(বিরক্ত হয়ে)। বাইরে আগে দেখি, তারপর ভেতরে যাবো। আপনি এতো ব্যাস্ত হবেন। উনি কি যেন বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু আর বললেন না। মনে হয় কষ্ট পেয়েছেন। তাই চলে গেলেন। দুই মিনিটে মধ্যে আসলেন আরও একজন, এনার বয়স ৫৫+ হবে বলে মনেহয়।
ছোট একটু ভুকিকা করেই বললেন; বাবাজী আল্লাহ্‌ আমার সন্তান আদি দেইনি। তাঁতে আমি আল্লাহ্‌ পারে বেজার না। আপনেরাই আমার সন্তানের মতো। সকালে বাড়ি থেকে বেরুইছি এখনু কিছু মুখি দিইনি বাবাজী। যদি কইডা টাকা দিতেন...
_চাচা স্টুডেন্ট মানুষ টাকা কোথাই পাবো। যারা এখানে শখে বেড়াতে আসে তাঁদের কাছে থেকে টাকা নিবেন। আমারই এবার ভেতরের দিকে যাবার জন্য এগুলাম। আর সাথে থাকা মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছি। ছোট গেটটা খুলেছি মাত্র; একজন বললেন এখন ভেতরে যাওয়া নিষেধ। আর এতো ছবি তুলছেন কেন? এখেনে ছবি তুলা যাবি না। আমার তো হতভম্ব হয়ে গেলাম। এখন আমাদের কি বলা উচিৎ, বা কি করবো একদমই বুঝতে উঠতে পারছিলাম না।

এরা আসলে কারা? কি এদের পেশা? আচ্ছা ভোটার আই.ডি কার্ড এ এদের পেশা কি লেখা হয়েছে জানতে মন চাই।
অনেক ধরনের দালালরের কথা শুনেছি, দুএকাটা চোখে দেখেছিও। কিন্তু এরা, এরা কি এই মসজিদ এর দালাল?

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×